০৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ২১২ কোটি টাকা বরাদ্দ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:০৭:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১
  • / ৪১২২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীন বন্ধঘোষিত মিলগুলোর ২১ হাজার ৫৫২ জন বদলি শ্রমিকের বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য ২১২ কোটি ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। জাতীয় মজুরি স্কেল ২০১৫ ও জাতীয় মজুরি স্কেল ২০১০-এর পার্থক্যজনিত বকেয়া পাওনা পরিশোধের এ অর্থ দেবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) এ অর্থ বরাদ্দ দেয় অর্থমন্ত্রণালয়। বরাদ্দের এ অর্থ শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে চেকের মাধ্যমে দেয়া হবে। ওই বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ ছাড়া অন্য কোনো খাতে এ অর্থ ব্যয় করা যাবে না।

এ বিষয়ে ইস্যু করা এক চিঠিতে বলা হয়, বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রত্যেক শ্রমিকের মিল প্রদত্ত টোকেন ও ইউনিক আইডি নম্বর, এনআইডি এবং ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে। আবশ্যিকভাবে এনআইডি যাচাই করে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে। কোনোভাবেই এনআইডি এবং ব্যাংক হিসাব ছাড়া বদলি পাওনা পরিশোধ করা যাবে না। বদলি শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের সময় মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া পাওনার বিষয়টি সরকারি বিধি-বিধানের আলোকে পুনরায় যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয়ে পরিশোধ করতে হবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এতে আরও বলা হয়, বকেয়া পাওনা পরিশোধে কোনো অসঙ্গতি দেখা দিলে বিজেএমসি অথবা মিল কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে তা সংশোধনে ব্যবস্থা নেবে। বরাদ্দ অর্থ ব্যয়ে সরকারের বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। বিধি বহির্ভূতভাবে কোনো অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন। বরাদ্দ অর্থের জন্য অর্থ বিভাগের সঙ্গে বিজেএমসিকে একটি ঋণচুক্তি সম্পাদন করতে হবে ।

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীন বন্ধঘোষিত মিলগুলোর বদলি শ্রমিকদের এনআইডি ও ব্যাংক হিসাব আছে এমন ২১ হাজার ৬৪৩ জন শ্রমিকের বকেয়া পাওনার পরিমাণ ২১৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। ওই শ্রমিকদের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ এনআইডি রয়েছে ৯১ জনের ও তাদের অনুকূলে আর্থিক সংশ্লেষ ১ কোটি ৪ লাখ টাকা। ত্রুটিপূর্ণ এনআইডি আছে এমন শ্রমিক বাদে অন্যদের অনুকূলে বকেয়া পাওনা বাবদ মোট ২১২ কোটি ৮ লাখ টাকা ২০২১-২২ অর্থবছরে ‘পরিচালন ঋণ’ খাত থেকে বিজেএমসিকে বরাদ্দ দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ভাড়াভিত্তিক বা ইজারা (লিজ) পদ্ধতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বিজেএমসির বন্ধ মিলগুলোর কার্যক্রম চলছে। বেসকারি ব্যবস্থাপনায় পুনরায় চালু হওয়া এসব মিলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবেন অবসায়নে পাঠানো শ্রমিকেরা।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ২১২ কোটি টাকা বরাদ্দ

আপডেট: ০৭:০৭:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীন বন্ধঘোষিত মিলগুলোর ২১ হাজার ৫৫২ জন বদলি শ্রমিকের বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য ২১২ কোটি ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। জাতীয় মজুরি স্কেল ২০১৫ ও জাতীয় মজুরি স্কেল ২০১০-এর পার্থক্যজনিত বকেয়া পাওনা পরিশোধের এ অর্থ দেবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) এ অর্থ বরাদ্দ দেয় অর্থমন্ত্রণালয়। বরাদ্দের এ অর্থ শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে চেকের মাধ্যমে দেয়া হবে। ওই বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ ছাড়া অন্য কোনো খাতে এ অর্থ ব্যয় করা যাবে না।

এ বিষয়ে ইস্যু করা এক চিঠিতে বলা হয়, বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রত্যেক শ্রমিকের মিল প্রদত্ত টোকেন ও ইউনিক আইডি নম্বর, এনআইডি এবং ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে। আবশ্যিকভাবে এনআইডি যাচাই করে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে। কোনোভাবেই এনআইডি এবং ব্যাংক হিসাব ছাড়া বদলি পাওনা পরিশোধ করা যাবে না। বদলি শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের সময় মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া পাওনার বিষয়টি সরকারি বিধি-বিধানের আলোকে পুনরায় যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয়ে পরিশোধ করতে হবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এতে আরও বলা হয়, বকেয়া পাওনা পরিশোধে কোনো অসঙ্গতি দেখা দিলে বিজেএমসি অথবা মিল কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে তা সংশোধনে ব্যবস্থা নেবে। বরাদ্দ অর্থ ব্যয়ে সরকারের বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। বিধি বহির্ভূতভাবে কোনো অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন। বরাদ্দ অর্থের জন্য অর্থ বিভাগের সঙ্গে বিজেএমসিকে একটি ঋণচুক্তি সম্পাদন করতে হবে ।

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীন বন্ধঘোষিত মিলগুলোর বদলি শ্রমিকদের এনআইডি ও ব্যাংক হিসাব আছে এমন ২১ হাজার ৬৪৩ জন শ্রমিকের বকেয়া পাওনার পরিমাণ ২১৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। ওই শ্রমিকদের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ এনআইডি রয়েছে ৯১ জনের ও তাদের অনুকূলে আর্থিক সংশ্লেষ ১ কোটি ৪ লাখ টাকা। ত্রুটিপূর্ণ এনআইডি আছে এমন শ্রমিক বাদে অন্যদের অনুকূলে বকেয়া পাওনা বাবদ মোট ২১২ কোটি ৮ লাখ টাকা ২০২১-২২ অর্থবছরে ‘পরিচালন ঋণ’ খাত থেকে বিজেএমসিকে বরাদ্দ দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ভাড়াভিত্তিক বা ইজারা (লিজ) পদ্ধতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বিজেএমসির বন্ধ মিলগুলোর কার্যক্রম চলছে। বেসকারি ব্যবস্থাপনায় পুনরায় চালু হওয়া এসব মিলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবেন অবসায়নে পাঠানো শ্রমিকেরা।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: