০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রণোদনার সদ্ব্যবহার নিশ্চিতে ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৩১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১
  • / ৪২৩৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় প্রদত্ত ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি’ বিভাগ থেকে দেশের সব ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়। চিঠিতে প্রণোদনার ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের মাধ্যমে যাচাই করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

স্বল্প সুদে ঋণ হিসেবে দেয়া সরকার ঘোষিত প্রণোদনার অর্থ কোম্পানির চলতি মূলধন হিসেবে ব্যয় হওয়ার কথা। যদিও চলতি মূলধনে ব্যয় না হয়ে অনুৎপাদনশীল খাতেও চলে যাচ্ছিল প্রণোদনার অর্থ। বৃহৎ শিল্প ও সেবা খাতের জন্য ঘোষিত ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঋণের একটি অংশ বিনিয়োগ হচ্ছিল পুঁজিবাজারে। আবার গ্রাহকদের কেউ কেউ প্রণোদনার অর্থে জমি কিনছেন। কেউ ব্যয় করছেন গাড়ি-বাড়ি ক্রয়ে। শর্ত ভঙ্গ করে প্রণোদনার অর্থে বিদ্যমান ঋণের দায়ও সমন্বয় করছিলেন কেউ কেউ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছিল না। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকারপ্রধান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিতকরণ, শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে বহাল এবং উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রবর্তন, পুনঃঅর্থায়ন স্কিমসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ব্যাংক খাতে তারল্য সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন ধরনের নীতিসহায়তাও দেয়া হয়। করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনার কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি সঞ্চার, ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা অনেকাংশে নির্ভরশীল।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব`

ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এর আগে জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের উদ্ধৃতি দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজসহ অন্যান্য প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে গৃহীত ঋণ দিয়ে বিদ্যমান কোনো ঋণ হিসাব সমন্বয়ের বিধিনিষেধ আরোপসহ ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সুষ্ঠুভাবে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে বিশেষ সেল গঠন করে প্রণোদনা প্যাকেজের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিতে তত্পরতা জোরদার করার জন্যও পরামর্শ প্রদান করা হয়। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রণীত ‘গাইডলাইনস অন ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট (বিআরএম) ফর ব্যাংকস’-এ বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করে গ্রাহককে যে উদ্দেশ্যে ঋণ প্রদান করা হয়েছে বা হবে সে উদ্দেশ্যেই ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল। এছাড়া অন্য একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে একটি ঋণের অর্থ দিয়ে কোনোভাবেই অন্য কোনো ঋণের দায় পরিশোধ বা সমন্বয় করা যাবে না মর্মেও নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, লক্ষ করা যাচ্ছে যে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় প্রদত্ত ঋণ যথাযথ খাতে ব্যবহূত না হয়ে কিছু ঋণ অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যবহূত হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওই ঋণ দ্বারা ঋণগ্রহীতার বিদ্যমান অন্য কোনো ঋণের দায় সমন্বিত হচ্ছে। এছাড়াও মঞ্জুরীকৃত ঋণের টাকা ছাড়করণেও কোন কোনো ব্যাংক সময় ক্ষেপণ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রণোদনা প্যাকেজের জন্য অনুসরণীয় নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন করা না হলে প্রণোদনা প্যাকেজের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে, যা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়।

এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। পাশাপাশি মঞ্জুরীকৃত ঋণের টাকা দ্রুততার সঙ্গে যথাসময়ে ছাড়করণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় দেয়া ঋণ যাতে অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যবহূত না হয়, সে লক্ষ্যে ওই ঋণের সদ্ব্যবহারের বিষয়টি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের মাধ্যমে যাচাইপূর্বক নিশ্চিত হওয়ার জন্যও চিঠিতে শীর্ষ নির্বাহীদের পরামর্শ দেয়া হয়।

গতকাল ‘প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ যাচ্ছে পুঁজিবাজারে’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বণিক বার্তা। প্রতিবেদন প্রকাশের দিনই ব্যাংকগুলোকে প্রণোদনার অর্থের অপব্যবহার ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চিঠি দেয়া হলো।

প্রসঙ্গত, নভেল করোনাভাইরাসে সৃষ্ট আর্থিক দুর্যোগ থেকে পরিত্রাণ দিতে এখন পর্যন্ত ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। অর্থের পরিমাপে প্রণোদনা প্যাকেজের আকার ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকার বেশি। বিশাল অংকের এ প্রণোদনার মধ্যে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকাই ঋণ হিসেবে বিতরণের নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত বৃহৎ শিল্প ও সেবা খাতের জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ। ক্ষতিগ্রস্ত সিএসএমই খাতের জন্যও ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। ব্যাংকঋণ হিসেবে দেয়া বৃহৎ শিল্প ও সেবা খাতের প্রণোদনা প্যাকেজের সুদহার নির্ধারণ করা হয় ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর সিএসএমই খাতের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নেয়া ঋণের জন্য গ্রাহকরা ৪ শতাংশ সুদ পরিশোধ করছেন।

ঢাকা/এনইউ 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

প্রণোদনার সদ্ব্যবহার নিশ্চিতে ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ

আপডেট: ০৪:৩১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় প্রদত্ত ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি’ বিভাগ থেকে দেশের সব ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়। চিঠিতে প্রণোদনার ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের মাধ্যমে যাচাই করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

স্বল্প সুদে ঋণ হিসেবে দেয়া সরকার ঘোষিত প্রণোদনার অর্থ কোম্পানির চলতি মূলধন হিসেবে ব্যয় হওয়ার কথা। যদিও চলতি মূলধনে ব্যয় না হয়ে অনুৎপাদনশীল খাতেও চলে যাচ্ছিল প্রণোদনার অর্থ। বৃহৎ শিল্প ও সেবা খাতের জন্য ঘোষিত ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঋণের একটি অংশ বিনিয়োগ হচ্ছিল পুঁজিবাজারে। আবার গ্রাহকদের কেউ কেউ প্রণোদনার অর্থে জমি কিনছেন। কেউ ব্যয় করছেন গাড়ি-বাড়ি ক্রয়ে। শর্ত ভঙ্গ করে প্রণোদনার অর্থে বিদ্যমান ঋণের দায়ও সমন্বয় করছিলেন কেউ কেউ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছিল না। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকারপ্রধান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিতকরণ, শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে বহাল এবং উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রবর্তন, পুনঃঅর্থায়ন স্কিমসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ব্যাংক খাতে তারল্য সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন ধরনের নীতিসহায়তাও দেয়া হয়। করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনার কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি সঞ্চার, ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা অনেকাংশে নির্ভরশীল।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব`

ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এর আগে জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের উদ্ধৃতি দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজসহ অন্যান্য প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে গৃহীত ঋণ দিয়ে বিদ্যমান কোনো ঋণ হিসাব সমন্বয়ের বিধিনিষেধ আরোপসহ ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সুষ্ঠুভাবে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে বিশেষ সেল গঠন করে প্রণোদনা প্যাকেজের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিতে তত্পরতা জোরদার করার জন্যও পরামর্শ প্রদান করা হয়। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রণীত ‘গাইডলাইনস অন ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট (বিআরএম) ফর ব্যাংকস’-এ বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করে গ্রাহককে যে উদ্দেশ্যে ঋণ প্রদান করা হয়েছে বা হবে সে উদ্দেশ্যেই ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল। এছাড়া অন্য একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে একটি ঋণের অর্থ দিয়ে কোনোভাবেই অন্য কোনো ঋণের দায় পরিশোধ বা সমন্বয় করা যাবে না মর্মেও নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, লক্ষ করা যাচ্ছে যে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় প্রদত্ত ঋণ যথাযথ খাতে ব্যবহূত না হয়ে কিছু ঋণ অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যবহূত হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওই ঋণ দ্বারা ঋণগ্রহীতার বিদ্যমান অন্য কোনো ঋণের দায় সমন্বিত হচ্ছে। এছাড়াও মঞ্জুরীকৃত ঋণের টাকা ছাড়করণেও কোন কোনো ব্যাংক সময় ক্ষেপণ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রণোদনা প্যাকেজের জন্য অনুসরণীয় নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন করা না হলে প্রণোদনা প্যাকেজের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে, যা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়।

এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। পাশাপাশি মঞ্জুরীকৃত ঋণের টাকা দ্রুততার সঙ্গে যথাসময়ে ছাড়করণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় দেয়া ঋণ যাতে অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যবহূত না হয়, সে লক্ষ্যে ওই ঋণের সদ্ব্যবহারের বিষয়টি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের মাধ্যমে যাচাইপূর্বক নিশ্চিত হওয়ার জন্যও চিঠিতে শীর্ষ নির্বাহীদের পরামর্শ দেয়া হয়।

গতকাল ‘প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ যাচ্ছে পুঁজিবাজারে’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বণিক বার্তা। প্রতিবেদন প্রকাশের দিনই ব্যাংকগুলোকে প্রণোদনার অর্থের অপব্যবহার ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চিঠি দেয়া হলো।

প্রসঙ্গত, নভেল করোনাভাইরাসে সৃষ্ট আর্থিক দুর্যোগ থেকে পরিত্রাণ দিতে এখন পর্যন্ত ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। অর্থের পরিমাপে প্রণোদনা প্যাকেজের আকার ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকার বেশি। বিশাল অংকের এ প্রণোদনার মধ্যে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকাই ঋণ হিসেবে বিতরণের নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত বৃহৎ শিল্প ও সেবা খাতের জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ। ক্ষতিগ্রস্ত সিএসএমই খাতের জন্যও ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। ব্যাংকঋণ হিসেবে দেয়া বৃহৎ শিল্প ও সেবা খাতের প্রণোদনা প্যাকেজের সুদহার নির্ধারণ করা হয় ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর সিএসএমই খাতের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নেয়া ঋণের জন্য গ্রাহকরা ৪ শতাংশ সুদ পরিশোধ করছেন।

ঢাকা/এনইউ 

আরও পড়ুন: