০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

বাজেটে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড আয়ে কর কমিয়ে আনা উচিত: শাকিল রিজভী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৪০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১
  • / ৪২১৭ বার দেখা হয়েছে

হাসান কবির জনি: আসছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ডের ওপর কমিয়ে আনা উচিত বলে মনে করছেন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক ও শাকিল রিজভী স্টক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল রিজভী। এছাড়াও ট্রেডিংয়ের ওপর ধার্য্যকৃত ট্যাক্সও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে কমানো দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিজনেস জার্নালের সঙ্গে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শাকিল রিজভী এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, বাজেটে পুঁজিবাজারের বিষয়গুলোর মধ্যে ট্রেডিংয়ে এআইটি বা অগ্রীম কর কেটে নেয়ার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত। যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এক লাখে মাত্র পাঁচ রুপি এআইটি নেয়া হয়, সেখানে বাংলাদেশে এর পরিমাণ এক লাখে ৫০ টাকা। সুতরাং করের এ হার কমানো উচিত।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড আয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা যে ডিভিডেন্ড পান তা কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত। যেহেতু তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো তাদের আয়ের বিপরীতে বড় অঙ্কের ট্যাক্স দিয়ে থাকেন, সেহেতু বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ডে নতুন করে আবার ট্যাক্স ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ এর মতো। তাই বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড আয়ের কর হার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত।

করপোরেট ট্যাক্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে করহারের ব্যবধান থাকা উচিত। কারণ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো শতভাগ স্বচ্ছতা মেনে পরিচালনা করতে হয়। এছাড়াও তাদের প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন ও আর্থিক স্বচ্ছতা না থাকলে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় থাকতে হয়। কাজেই তাদেরকে কিছু বিশেষ সুবিধা না দিলে তারা পুঁজিবাজারে আসতে চাইবে না। তাই তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে করহারের ব্যবধান বাড়ানো উচিত।
বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, বাজারের বর্তমান লেনদেন ও বিনিয়োগকারীদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে করোনা মহামারির শুরুর সময়ে বাজারের যে মন্দাভাব ছিল, সে অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে বাজারের গতি স্বাভাকিই থাকবে।

বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিনিয়োগ আপনার, তাই এর নিরাপত্তার দায়িত্ব্যও আপনার। কোন শেয়ার বাড়লে বিক্রি করতে হবে, আবার কমলে কিনতে হবে- এটাই বাজারের নিয়ম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্যানিক হওয়া যাবে না, সেইসঙ্গে কারও কথায় বিনিয়োগ করা যাবে না। কাজেই বিনিয়োগের পূর্বে একটি কোম্পানির সবকিছু পূঙ্খানুপূঙ্খ বিশ্লেষন করে জেনে বুঝে বিনিয়োগে আসতে হবে।

বিজনেস জার্নালের সঙ্গে দেয়া শাকিল রিজভীর পুরো সাক্ষাৎকারটি দেখুন:

বিজনেসজার্নাল/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

বাজেটে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড আয়ে কর কমিয়ে আনা উচিত: শাকিল রিজভী

আপডেট: ০৭:৪০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১

হাসান কবির জনি: আসছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ডের ওপর কমিয়ে আনা উচিত বলে মনে করছেন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক ও শাকিল রিজভী স্টক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল রিজভী। এছাড়াও ট্রেডিংয়ের ওপর ধার্য্যকৃত ট্যাক্সও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে কমানো দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিজনেস জার্নালের সঙ্গে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শাকিল রিজভী এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, বাজেটে পুঁজিবাজারের বিষয়গুলোর মধ্যে ট্রেডিংয়ে এআইটি বা অগ্রীম কর কেটে নেয়ার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত। যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এক লাখে মাত্র পাঁচ রুপি এআইটি নেয়া হয়, সেখানে বাংলাদেশে এর পরিমাণ এক লাখে ৫০ টাকা। সুতরাং করের এ হার কমানো উচিত।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড আয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা যে ডিভিডেন্ড পান তা কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত। যেহেতু তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো তাদের আয়ের বিপরীতে বড় অঙ্কের ট্যাক্স দিয়ে থাকেন, সেহেতু বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ডে নতুন করে আবার ট্যাক্স ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ এর মতো। তাই বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড আয়ের কর হার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত।

করপোরেট ট্যাক্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে করহারের ব্যবধান থাকা উচিত। কারণ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো শতভাগ স্বচ্ছতা মেনে পরিচালনা করতে হয়। এছাড়াও তাদের প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন ও আর্থিক স্বচ্ছতা না থাকলে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় থাকতে হয়। কাজেই তাদেরকে কিছু বিশেষ সুবিধা না দিলে তারা পুঁজিবাজারে আসতে চাইবে না। তাই তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে করহারের ব্যবধান বাড়ানো উচিত।
বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, বাজারের বর্তমান লেনদেন ও বিনিয়োগকারীদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে করোনা মহামারির শুরুর সময়ে বাজারের যে মন্দাভাব ছিল, সে অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে বাজারের গতি স্বাভাকিই থাকবে।

বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিনিয়োগ আপনার, তাই এর নিরাপত্তার দায়িত্ব্যও আপনার। কোন শেয়ার বাড়লে বিক্রি করতে হবে, আবার কমলে কিনতে হবে- এটাই বাজারের নিয়ম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্যানিক হওয়া যাবে না, সেইসঙ্গে কারও কথায় বিনিয়োগ করা যাবে না। কাজেই বিনিয়োগের পূর্বে একটি কোম্পানির সবকিছু পূঙ্খানুপূঙ্খ বিশ্লেষন করে জেনে বুঝে বিনিয়োগে আসতে হবে।

বিজনেস জার্নালের সঙ্গে দেয়া শাকিল রিজভীর পুরো সাক্ষাৎকারটি দেখুন:

বিজনেসজার্নাল/এনইউ

আরও পড়ুন: