০১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৭২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১
  • / ৪১৪২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৭২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৭ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। যা ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ছিল ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা।

জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতির (৩ জুন) ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রণালয় বাজেট সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করে। সেখান থেকে বিদ্যু ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে বলেন, ‘বাংলাদেশ এরই মধ্যে স্বল্প আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২৯৪১ অনুযায়ী নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া নিশ্চিত করতে হলে প্রয়োজনীয় আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকা শক্তি হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সংস্থান।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, ‘গত ১২ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অসামান্য অগ্রগতি হয়েছে। গত ২০০৯ সালের তুলনায় বর্তমানে দেশে পাঁচগুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপান হচ্ছে। বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ২২৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। সিস্টেম লস ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ হয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে জানান, বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ১৪ হাজার ১১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণাধীন। ২ হাজার ৯৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি সই। ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া ১৫ হাজার ১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।

মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রামপাল ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প, মাতারবাড়ি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এবং রূপপুর ২ হাজার ৪০৯ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।’

তিনি বলেন, ‘পারমাণবিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন শেষে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।’

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৭২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব

আপডেট: ০৪:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৭২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৭ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। যা ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ছিল ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা।

জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতির (৩ জুন) ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রণালয় বাজেট সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করে। সেখান থেকে বিদ্যু ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে বলেন, ‘বাংলাদেশ এরই মধ্যে স্বল্প আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২৯৪১ অনুযায়ী নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া নিশ্চিত করতে হলে প্রয়োজনীয় আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকা শক্তি হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সংস্থান।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, ‘গত ১২ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অসামান্য অগ্রগতি হয়েছে। গত ২০০৯ সালের তুলনায় বর্তমানে দেশে পাঁচগুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপান হচ্ছে। বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ২২৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। সিস্টেম লস ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ হয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে জানান, বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ১৪ হাজার ১১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণাধীন। ২ হাজার ৯৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি সই। ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া ১৫ হাজার ১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।

মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রামপাল ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প, মাতারবাড়ি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এবং রূপপুর ২ হাজার ৪০৯ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।’

তিনি বলেন, ‘পারমাণবিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন শেষে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।’

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: