১০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

বিপদসীমার পাচঁ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:২৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪১৪৩ বার দেখা হয়েছে

ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ভারী ঢল বাংলাদেশ অংশে ধেয়ে আসছে। এতে লালমনিরহাট অংশে বাড়তে শুরু করেছে তিস্তার নদীর পানি। ভয়াবহ বন্যার আশংকা থাকায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকিং করছে। একই সঙ্গে চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদে স্থানে সরে যেতে বলছেন তারা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় অবস্থিত তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২.২০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার ওপরে। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১.৩৯ সেন্টিমিটার। তখন পানি বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (সিডাব্লিউসি) এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে তিস্তা নদীতে দ্রুত গতিতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে, সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়াও রংপুর অঞ্চলসহ লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এলাকায় রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যহাত থাকায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা বিএনপি টের পাচ্ছে না: তথ্যমন্ত্রী

বন্যা হলে তিস্তার বাম ও ডান তীরের নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। এতে  বিভিন্ন সবজি ও ফসলের ক্ষেত ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে সতর্কবার্তা দিয়ে বন্যা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। এছাড়াও মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয় নিতে ও সব রকম প্রস্তুতি নিতেও বলা হয়েছে।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার বলেন, আমরা নদী এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাইকিং করে ও বিভিন্নভাবে নদী এলাকার মানুষদের সচেতন করতে বলেছি। আমি সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছি। চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের লোকজনদের গবাদি পশু নিয়ে  বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ঢলে তিস্তায় আবারও বন্যা দেখা দেবে। আমরা সার্বিক খোঁজ খবর রাখছি।

ঢাকা/এসএম

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

বিপদসীমার পাচঁ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি

আপডেট: ০৬:২৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ভারী ঢল বাংলাদেশ অংশে ধেয়ে আসছে। এতে লালমনিরহাট অংশে বাড়তে শুরু করেছে তিস্তার নদীর পানি। ভয়াবহ বন্যার আশংকা থাকায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকিং করছে। একই সঙ্গে চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদে স্থানে সরে যেতে বলছেন তারা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় অবস্থিত তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২.২০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার ওপরে। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১.৩৯ সেন্টিমিটার। তখন পানি বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (সিডাব্লিউসি) এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে তিস্তা নদীতে দ্রুত গতিতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে, সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়াও রংপুর অঞ্চলসহ লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এলাকায় রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যহাত থাকায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা বিএনপি টের পাচ্ছে না: তথ্যমন্ত্রী

বন্যা হলে তিস্তার বাম ও ডান তীরের নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। এতে  বিভিন্ন সবজি ও ফসলের ক্ষেত ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে সতর্কবার্তা দিয়ে বন্যা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। এছাড়াও মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয় নিতে ও সব রকম প্রস্তুতি নিতেও বলা হয়েছে।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার বলেন, আমরা নদী এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাইকিং করে ও বিভিন্নভাবে নদী এলাকার মানুষদের সচেতন করতে বলেছি। আমি সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছি। চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের লোকজনদের গবাদি পশু নিয়ে  বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ঢলে তিস্তায় আবারও বন্যা দেখা দেবে। আমরা সার্বিক খোঁজ খবর রাখছি।

ঢাকা/এসএম