০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

বেক্সিমকো-কে ৩০৭ কোটি টাকা ফেরত দিতে হবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:১৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মে ২০১৮
  • / ৪৩৭৮ বার দেখা হয়েছে

বেক্সিমকো-কে ৩০৭ কোটি টাকা ফেরত দিতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ার সেল এন্ড বাই ব্যাক এগ্রিমেন্টের আওতায় বেক্সিমকো গ্রুপের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব অগ্রণী ব্যাংকের পাওনা ৩০৭ কোটি টাকা। আর এ টাকা তিন মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে ব্যাংকটি। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য গত ১১ এপ্রিল বেক্সিমকো-কে চিঠি দিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট ‍সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত ১৮ মার্চ শেয়ার সেল এন্ড বাই ব্যাক এগ্রিমেন্টের আওতায় বকেয়া দায় সমাধান করার জন্য অগ্রণী ব্যাংকে চিঠি দেয় বেক্সিমকো গ্রুপ। চিঠি’র দাবী সমাধানে গত ৯ এপ্রিল ব্যাংকটির ৫৫৪তম পর্ষদ সভায় উপস্থাপন করা হয়। পর্ষদে সিদ্ধান্ত হয় এগ্রিমেন্টের আওতায় ব্যাংকের পাওনা ৩০৭ কোটি টাকা কিছু শর্ত সাপেক্ষে তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হলে সমাধান হবে। সিদ্ধান্তটি চিঠির মাধ্যমে ১১ এপ্রিল বেক্সিমকো-কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ২৮ নভেম্বর ২০১০ এ শেয়ার সেল এন্ড বাই ব্যাক এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে বেক্সিমকো টেক্সটাইলের (বেক্সটেক্স) ২ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার (প্রতিটি শেয়ার গড়ে ৪১.৫২ টাকা করে) কেনে অগ্রণী ব্যাংক। পরবর্তীতে ২০১১ সালে বেক্সটেক্স-কে বেক্সিমকো লি: এর সঙ্গে একীভুত করা হয়। এতে বেক্সটেক্সের ৫টি শেয়ারের বিপরীতে একটি করে বেক্সিমকো লি: এর শেয়ার পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

একই এগ্রিমেন্টে ২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ এ জিএমজি এয়ারলাইনসের এক কোটি ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮১টি শেয়ার (প্রতিটি শেয়ার ৩৩.৭১ টাকা করে) কিনেছে ব্যাংকটি। চুক্তি অনুযায়ী বিনিয়োগ করা টাকার ওপর ব্যাংককে ২০ শতাংশ হারে রিটার্ন দেওয়ার শর্ত ছিল। আর গত ৩১ জুলাই ২০১২ এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। অপরদিকে ৩০ মার্চ ২০১২ থেকে জিএমজি এয়ারের সকল উড্ডয়ন কার্যক্রম বন্ধ।

শেয়ার দর পড়ার কারণে চুক্তির গ্যারান্টর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বেক্সিমকো লি: এর ১ কোটি ৯৯ লাখ ৪৭ হাজার ২১১টি শেয়ার এবং শাইন পুকুর সিরামিকসের ৯৯ লাখ শেয়ার ব্যাংকের নামে করে দেয়। এই শেয়ারগুলোর বাজার মূল্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ৭০ কোটি ৬৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৯৭ টাকা। তাদের কাছ থেকে ডিভিডেন্ড হিসেবে ব্যাংকের পাওনা ৩২৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ব্যাংক ডিভিডেন্ড হিসেবে তাদের কাছ থেকে পেয়েছে ১০৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, বেক্সিমকো গ্রুপ তিন মাসের মধ্যে ৩০৭ কোটি টাকা পরিশোধ করলেই চুক্তিটি অবসায়ন হবে।

অর্থকথা/

শেয়ার করুন

x
English Version

বেক্সিমকো-কে ৩০৭ কোটি টাকা ফেরত দিতে হবে

আপডেট: ০৭:১৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মে ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ার সেল এন্ড বাই ব্যাক এগ্রিমেন্টের আওতায় বেক্সিমকো গ্রুপের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব অগ্রণী ব্যাংকের পাওনা ৩০৭ কোটি টাকা। আর এ টাকা তিন মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে ব্যাংকটি। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য গত ১১ এপ্রিল বেক্সিমকো-কে চিঠি দিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট ‍সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত ১৮ মার্চ শেয়ার সেল এন্ড বাই ব্যাক এগ্রিমেন্টের আওতায় বকেয়া দায় সমাধান করার জন্য অগ্রণী ব্যাংকে চিঠি দেয় বেক্সিমকো গ্রুপ। চিঠি’র দাবী সমাধানে গত ৯ এপ্রিল ব্যাংকটির ৫৫৪তম পর্ষদ সভায় উপস্থাপন করা হয়। পর্ষদে সিদ্ধান্ত হয় এগ্রিমেন্টের আওতায় ব্যাংকের পাওনা ৩০৭ কোটি টাকা কিছু শর্ত সাপেক্ষে তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হলে সমাধান হবে। সিদ্ধান্তটি চিঠির মাধ্যমে ১১ এপ্রিল বেক্সিমকো-কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ২৮ নভেম্বর ২০১০ এ শেয়ার সেল এন্ড বাই ব্যাক এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে বেক্সিমকো টেক্সটাইলের (বেক্সটেক্স) ২ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার (প্রতিটি শেয়ার গড়ে ৪১.৫২ টাকা করে) কেনে অগ্রণী ব্যাংক। পরবর্তীতে ২০১১ সালে বেক্সটেক্স-কে বেক্সিমকো লি: এর সঙ্গে একীভুত করা হয়। এতে বেক্সটেক্সের ৫টি শেয়ারের বিপরীতে একটি করে বেক্সিমকো লি: এর শেয়ার পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

একই এগ্রিমেন্টে ২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ এ জিএমজি এয়ারলাইনসের এক কোটি ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮১টি শেয়ার (প্রতিটি শেয়ার ৩৩.৭১ টাকা করে) কিনেছে ব্যাংকটি। চুক্তি অনুযায়ী বিনিয়োগ করা টাকার ওপর ব্যাংককে ২০ শতাংশ হারে রিটার্ন দেওয়ার শর্ত ছিল। আর গত ৩১ জুলাই ২০১২ এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। অপরদিকে ৩০ মার্চ ২০১২ থেকে জিএমজি এয়ারের সকল উড্ডয়ন কার্যক্রম বন্ধ।

শেয়ার দর পড়ার কারণে চুক্তির গ্যারান্টর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বেক্সিমকো লি: এর ১ কোটি ৯৯ লাখ ৪৭ হাজার ২১১টি শেয়ার এবং শাইন পুকুর সিরামিকসের ৯৯ লাখ শেয়ার ব্যাংকের নামে করে দেয়। এই শেয়ারগুলোর বাজার মূল্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ৭০ কোটি ৬৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৯৭ টাকা। তাদের কাছ থেকে ডিভিডেন্ড হিসেবে ব্যাংকের পাওনা ৩২৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ব্যাংক ডিভিডেন্ড হিসেবে তাদের কাছ থেকে পেয়েছে ১০৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, বেক্সিমকো গ্রুপ তিন মাসের মধ্যে ৩০৭ কোটি টাকা পরিশোধ করলেই চুক্তিটি অবসায়ন হবে।

অর্থকথা/