১২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রভিশন সুবিধার মেয়াদ বাড়লো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৪২২৬ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

পুঁজিবাজারে ব্যবসায়রত মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মার্জিন ঋণের পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির (নেগেটিভ ইকুইটি) বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশনে দেওয়া ছাড়ের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিএসইসি প্রভিশনে ছাড়ের মেয়াদ বাড়িয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে। আলোচিত নির্দেশনাটি বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং ঢাকা ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠিয়েছে বিএসইসি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রভিশন সংরক্ষণে ছাড়ের সুবিধা ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। অর্থাৎ এ সময়ের মধ্যে কোনো মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারহাউজ প্রয়োজনীয় প্রভিশন বা সঞ্চিতি জমা রাখতে না পারলেও  নিয়ন্ত্রক সংস্থা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না।

এতে বলা হয়েছে, মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের নিজস্ব ও গ্রাহকের পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে যারা প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পারেনি, তাদের জন্য এ সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে নীতি সহায়তার আশ্বাস

উল্লেখ, ২০১০ সালে ধসের পর অনেক ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক গ্রাহকদের নেওয়া মার্জিন ঋণ সমন্বয় করতে পারেনি। এ ঋণের একটি অংশ আর কখনোই আদায় করা সম্ভব হয়নি। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ নেগেটিভ ইক্যুইটি সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতি কখনোই সেভাবে ভাল না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো নেগেটিভ ইক্যুইটির বিপরীতে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতিও রাখতে পারেনি, যা সিকিউরিটিজ আইনের লংঘন। এমন পরিস্থিতিতে বাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বিএসইসি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সঞ্চিতি রাখার বাধ্যবাধকতার উপর নিয়মিত ছাড় দিয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রভিশন সুবিধার মেয়াদ বাড়লো

আপডেট: ০৫:৪১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

পুঁজিবাজারে ব্যবসায়রত মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মার্জিন ঋণের পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির (নেগেটিভ ইকুইটি) বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশনে দেওয়া ছাড়ের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিএসইসি প্রভিশনে ছাড়ের মেয়াদ বাড়িয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে। আলোচিত নির্দেশনাটি বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং ঢাকা ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠিয়েছে বিএসইসি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রভিশন সংরক্ষণে ছাড়ের সুবিধা ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। অর্থাৎ এ সময়ের মধ্যে কোনো মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারহাউজ প্রয়োজনীয় প্রভিশন বা সঞ্চিতি জমা রাখতে না পারলেও  নিয়ন্ত্রক সংস্থা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না।

এতে বলা হয়েছে, মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের নিজস্ব ও গ্রাহকের পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে যারা প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পারেনি, তাদের জন্য এ সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে নীতি সহায়তার আশ্বাস

উল্লেখ, ২০১০ সালে ধসের পর অনেক ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক গ্রাহকদের নেওয়া মার্জিন ঋণ সমন্বয় করতে পারেনি। এ ঋণের একটি অংশ আর কখনোই আদায় করা সম্ভব হয়নি। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ নেগেটিভ ইক্যুইটি সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতি কখনোই সেভাবে ভাল না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো নেগেটিভ ইক্যুইটির বিপরীতে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতিও রাখতে পারেনি, যা সিকিউরিটিজ আইনের লংঘন। এমন পরিস্থিতিতে বাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বিএসইসি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সঞ্চিতি রাখার বাধ্যবাধকতার উপর নিয়মিত ছাড় দিয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা/এসএ