০৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক সাহিদ রেজাকে অপসারণ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫৬:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৫০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক এ কে এম সাহিদ রেজাকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংক-কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৪৬ ধারার আওতায় মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালকের পদ থেকে এ কে এম সাহিদ রেজাকে অপসারণের আদেশ দেওয়া হলো। আইনের ৪৬(৩) ধারার বিধান অনুযায়ী এই আদেশের তারিখ থেকে দুই বছর তিনি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানি বা অন্য কোনো ব্যাংক-কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংযুক্ত বা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

ব্যাংক-কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৪৮(১) ধারার আওতায় গঠিত স্থায়ী কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে একই আইনের ৪৬ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই আদেশ দেওয়া হলো। এই আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ হলে তিনি উল্লেখিত আইনের ৪৮(২) ধারার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের কাছে আপিল করতে পারবেন। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালিত বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, এ কে এম সাহিদ রেজার বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেড এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে/অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নামে দুর্নীতি, জালিয়াতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ সৃষ্টি করে। যা চারটি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান যথা- এমটিবি মেরিন লিমিটেড, উইনটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, কনিকা এন্টারপ্রাইজ, গ্রিনলাইন ডেভলপমেন্ট লিমিটেডের নামে সৃষ্ট/গৃহীত ঋণের অর্থের একটি অংশ সাহিদ রেজার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে। যা ঋণ নিয়মাচার ও বিধি-বিধান লঙ্ঘন।

পি কে হালদারের দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে সাহিদ রেজার সম্পৃক্ততা এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ঋণের নামে অর্থ সরান। সাহিদ রেজা তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট এক প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ অনুমোদন করিয়ে তা তার অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর তথা ফান্ড ডাইভারসনপূর্বক ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ঋণের নামে অর্থ সরানোর মাধ্যমে ঋণ নিয়মাচার এবং বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে।

তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তাকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে ৩ ফেব্রুয়ারি পত্রের মাধ্যমে জবাব দেন তিনি। যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়নি।

আইন লঙ্ঘন ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ঋণের নামে অর্থ সরানো ও বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে এ কে এম সাহিদ রেজা ব্যাংক-কোম্পানি ও আমানতকারীদের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর এবং জনস্বার্থ পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছেন। ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৬ ধারার আওতায় তাকে অপসারণের সুপারিশ করে স্থায়ী কমিটি।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক সাহিদ রেজাকে অপসারণ

আপডেট: ১২:৫৬:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক এ কে এম সাহিদ রেজাকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংক-কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৪৬ ধারার আওতায় মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালকের পদ থেকে এ কে এম সাহিদ রেজাকে অপসারণের আদেশ দেওয়া হলো। আইনের ৪৬(৩) ধারার বিধান অনুযায়ী এই আদেশের তারিখ থেকে দুই বছর তিনি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানি বা অন্য কোনো ব্যাংক-কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংযুক্ত বা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

ব্যাংক-কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৪৮(১) ধারার আওতায় গঠিত স্থায়ী কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে একই আইনের ৪৬ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই আদেশ দেওয়া হলো। এই আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ হলে তিনি উল্লেখিত আইনের ৪৮(২) ধারার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের কাছে আপিল করতে পারবেন। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালিত বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, এ কে এম সাহিদ রেজার বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেড এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে/অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নামে দুর্নীতি, জালিয়াতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ সৃষ্টি করে। যা চারটি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান যথা- এমটিবি মেরিন লিমিটেড, উইনটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, কনিকা এন্টারপ্রাইজ, গ্রিনলাইন ডেভলপমেন্ট লিমিটেডের নামে সৃষ্ট/গৃহীত ঋণের অর্থের একটি অংশ সাহিদ রেজার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে। যা ঋণ নিয়মাচার ও বিধি-বিধান লঙ্ঘন।

পি কে হালদারের দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে সাহিদ রেজার সম্পৃক্ততা এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ঋণের নামে অর্থ সরান। সাহিদ রেজা তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট এক প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ অনুমোদন করিয়ে তা তার অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর তথা ফান্ড ডাইভারসনপূর্বক ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ঋণের নামে অর্থ সরানোর মাধ্যমে ঋণ নিয়মাচার এবং বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে।

তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তাকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে ৩ ফেব্রুয়ারি পত্রের মাধ্যমে জবাব দেন তিনি। যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়নি।

আইন লঙ্ঘন ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ঋণের নামে অর্থ সরানো ও বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে এ কে এম সাহিদ রেজা ব্যাংক-কোম্পানি ও আমানতকারীদের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর এবং জনস্বার্থ পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছেন। ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৬ ধারার আওতায় তাকে অপসারণের সুপারিশ করে স্থায়ী কমিটি।

ঢাকা/এসএ