০৩:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের হিড়িক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১
  • / ৪১৫৭ বার দেখা হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোতে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বিভিন্ন বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের হিড়িক পড়েছে। বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম বাতিলসহ ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরায় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেক্সাসসহ দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহারের যে নিয়ম এতাদিন চালু ছিল, মঙ্গলবার (২ মার্চ) তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। এছাড়া আগামী সপ্তাহ থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও পুরোদমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘টেক্সাসকে ১০০ ভাগ খুলে দেওয়ার এখনই সময়।’ এ বিষয়ে মঙ্গলবার একটি নির্বাহী আদেশও জারি করেছেন গ্রেগ অ্যাবট। এর মাধ্যমে মহামারির শুরুর দিকে আরোপিত বিভিন্ন বিধিনিষেধ উঠিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

আগামী ১০ মার্চ থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে। নতুন এই নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, অঙ্গরাজ্যের কোনো বাসিন্দা মাস্ক পরতে না চাইলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কারও জরিমানা বা শাস্তির আওতায় আনতে পারবে না। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে এতোদিন যেসব বিধিনিষেধ কার্যকর ছিল, সেগুলোও বাতিল করা হয়।

মঙ্গলবার লুবক শহরে দেওয়া বকতৃতায় গ্রেগ অ্যাবট দাবি করেন, ‘(করোনা বিধিনিষেধের কারণে) টেক্সাসের অনেক মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এতোদিন তাদের বিল পরিশোধে রীতিমতো সংগ্রাম করেছেন। অবশ্যই এটার অবসান করতে হবে।’

আমেরিকার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বেশ ভালো বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অঙ্গরাজ্য হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহারের নিয়মটি উঠিয়ে নিলো টেক্সাস। আর এই সিদ্ধান্তের কারণে নিজের দল থেকেই সমালোচনার শিকার হচ্ছেন তিনি। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এসব বিধিনিষেধ এখনও বহাল রাখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন।

অবশ্য করোনা বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে টেক্সাসই একমাত্র অঙ্গরাজ্য নয়। মিশিগান, লুইজিয়ানা ও মিসিসিপিসহ আরও বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্য ইতোমধ্যেই মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে পূর্বে আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, করোনা পূর্ববর্তী জীবনে ফিরে যেতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে কোভিড টিকাদান কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তবে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত ব্যক্তির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।

এছাড়া করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপও সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে আসার আরেকটি কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ শেষ হতে এখনও অনেক দেরি বলে মঙ্গলবার সতর্ক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৮৭ লাখেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন পাঁচ লাখ ১৬ হাজার ২০০-র বেশি মানুষ।

সূত্র: বিবিসি

 

আরও পড়ুন:

 

শেয়ার করুন

x
English Version

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের হিড়িক

আপডেট: ০১:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোতে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বিভিন্ন বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের হিড়িক পড়েছে। বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম বাতিলসহ ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরায় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেক্সাসসহ দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহারের যে নিয়ম এতাদিন চালু ছিল, মঙ্গলবার (২ মার্চ) তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। এছাড়া আগামী সপ্তাহ থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও পুরোদমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘টেক্সাসকে ১০০ ভাগ খুলে দেওয়ার এখনই সময়।’ এ বিষয়ে মঙ্গলবার একটি নির্বাহী আদেশও জারি করেছেন গ্রেগ অ্যাবট। এর মাধ্যমে মহামারির শুরুর দিকে আরোপিত বিভিন্ন বিধিনিষেধ উঠিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

আগামী ১০ মার্চ থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে। নতুন এই নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, অঙ্গরাজ্যের কোনো বাসিন্দা মাস্ক পরতে না চাইলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কারও জরিমানা বা শাস্তির আওতায় আনতে পারবে না। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে এতোদিন যেসব বিধিনিষেধ কার্যকর ছিল, সেগুলোও বাতিল করা হয়।

মঙ্গলবার লুবক শহরে দেওয়া বকতৃতায় গ্রেগ অ্যাবট দাবি করেন, ‘(করোনা বিধিনিষেধের কারণে) টেক্সাসের অনেক মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এতোদিন তাদের বিল পরিশোধে রীতিমতো সংগ্রাম করেছেন। অবশ্যই এটার অবসান করতে হবে।’

আমেরিকার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বেশ ভালো বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অঙ্গরাজ্য হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহারের নিয়মটি উঠিয়ে নিলো টেক্সাস। আর এই সিদ্ধান্তের কারণে নিজের দল থেকেই সমালোচনার শিকার হচ্ছেন তিনি। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এসব বিধিনিষেধ এখনও বহাল রাখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন।

অবশ্য করোনা বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে টেক্সাসই একমাত্র অঙ্গরাজ্য নয়। মিশিগান, লুইজিয়ানা ও মিসিসিপিসহ আরও বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্য ইতোমধ্যেই মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে পূর্বে আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, করোনা পূর্ববর্তী জীবনে ফিরে যেতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে কোভিড টিকাদান কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তবে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত ব্যক্তির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।

এছাড়া করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপও সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে আসার আরেকটি কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ শেষ হতে এখনও অনেক দেরি বলে মঙ্গলবার সতর্ক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৮৭ লাখেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন পাঁচ লাখ ১৬ হাজার ২০০-র বেশি মানুষ।

সূত্র: বিবিসি

 

আরও পড়ুন: