০১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

যে শহরে কখনো ১২টা বাজে না

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১
  • / ৪১৫৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ঘড়ির কাঁটায় ১২টি সংখ্যা থাকবে এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু বিশ্বে এমন একটি ঘড়ি আছে, যা অন্যসব ঘড়ি থেকে অনেকটাই আলাদা। ওই ঘড়িতে কখনও ১২টা বাজে না। কারণ ওই ঘড়িতে রয়েছে ১১টি সংখ্যা। সুইজারল্যান্ডের উত্তর পশ্চিমের শহর সোলোথার্নে রয়েছে এ রকম অদ্ভুত ঘড়ি।

সোলোথার্নে ঘুরতে এসে শহরের কেন্দ্রস্থল টাউন স্কয়ারের সামনে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে পর্যটকরা কিছু সময়ের জন্য থমকে যান ঘড়িটি দেখে। কারণ ওই ঘড়িতে আছে ১১টি সংখ্যা। অর্থাৎ কখনও ১২টা বাজে না এই ঘড়িতে।

শুধু ঘড়ি নয়, এই শহরের সঙ্গে ১১ সংখ্যাটার সম্পর্কটা যেন একটু বেশিই। শহরের কমবেশি সব কিছুর সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে ১১ সংখ্যাটি। যেমন এই শহরে রয়েছে ১১টি জাদুঘর, ১১টি গির্জা, ১১টি ঝরনাসহ আরও অনেক কিছু।

জানা গেছে, ২ হাজার বছর আগে রোমানদের হাতে পত্তন হওয়া শহরটি শুরুর দিকে এতটা জনপ্রিয় ছিল না। তবে দিন গড়াতেই এই শহরের সঙ্গে ১১ সংখ্যাটি জড়িয়ে গেছে কাকতালীয়ভাবে। 

১২১৫ সালে যখন সোলোথার্নে কাউন্সিলর নির্বাচন হয়, তখন ১১ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৪৮১ সালে সোলোথার্ন সুইস কনফেডারেশনের ১১তম প্রদেশ হিসেবে যুক্ত হয়। ওই সময় ১১ জন শহর রক্ষাকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল। 

এরপর ১৫ শতকের গোড়ার দিকে শহরে সেন্ট আরসুস গির্জা নির্মাণ করা হয়। সেই গির্জায় রয়েছে ১১টি দরজা, ১১টি জানলা, ১১টি রো এবং ১১টি ঘণ্টা। 

ওই গির্জা তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়েছিল ১১ রকমের পাথর। সোলোথার্নে পা রাখলেই বোঝা যাবে ১১ সংখ্যার প্রতি শহরবাসীর দুর্বলতা।

সূত্র: বিবিসি ও আনন্দবাজার পত্রিকা

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

যে শহরে কখনো ১২টা বাজে না

আপডেট: ০৬:০০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ঘড়ির কাঁটায় ১২টি সংখ্যা থাকবে এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু বিশ্বে এমন একটি ঘড়ি আছে, যা অন্যসব ঘড়ি থেকে অনেকটাই আলাদা। ওই ঘড়িতে কখনও ১২টা বাজে না। কারণ ওই ঘড়িতে রয়েছে ১১টি সংখ্যা। সুইজারল্যান্ডের উত্তর পশ্চিমের শহর সোলোথার্নে রয়েছে এ রকম অদ্ভুত ঘড়ি।

সোলোথার্নে ঘুরতে এসে শহরের কেন্দ্রস্থল টাউন স্কয়ারের সামনে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে পর্যটকরা কিছু সময়ের জন্য থমকে যান ঘড়িটি দেখে। কারণ ওই ঘড়িতে আছে ১১টি সংখ্যা। অর্থাৎ কখনও ১২টা বাজে না এই ঘড়িতে।

শুধু ঘড়ি নয়, এই শহরের সঙ্গে ১১ সংখ্যাটার সম্পর্কটা যেন একটু বেশিই। শহরের কমবেশি সব কিছুর সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে ১১ সংখ্যাটি। যেমন এই শহরে রয়েছে ১১টি জাদুঘর, ১১টি গির্জা, ১১টি ঝরনাসহ আরও অনেক কিছু।

জানা গেছে, ২ হাজার বছর আগে রোমানদের হাতে পত্তন হওয়া শহরটি শুরুর দিকে এতটা জনপ্রিয় ছিল না। তবে দিন গড়াতেই এই শহরের সঙ্গে ১১ সংখ্যাটি জড়িয়ে গেছে কাকতালীয়ভাবে। 

১২১৫ সালে যখন সোলোথার্নে কাউন্সিলর নির্বাচন হয়, তখন ১১ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৪৮১ সালে সোলোথার্ন সুইস কনফেডারেশনের ১১তম প্রদেশ হিসেবে যুক্ত হয়। ওই সময় ১১ জন শহর রক্ষাকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল। 

এরপর ১৫ শতকের গোড়ার দিকে শহরে সেন্ট আরসুস গির্জা নির্মাণ করা হয়। সেই গির্জায় রয়েছে ১১টি দরজা, ১১টি জানলা, ১১টি রো এবং ১১টি ঘণ্টা। 

ওই গির্জা তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়েছিল ১১ রকমের পাথর। সোলোথার্নে পা রাখলেই বোঝা যাবে ১১ সংখ্যার প্রতি শহরবাসীর দুর্বলতা।

সূত্র: বিবিসি ও আনন্দবাজার পত্রিকা

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: