০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

শিল্প উদ্যোক্তাদের সম্মাননা প্রদানে প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পায়নের ধারাকে সুসংহত করব: রাষ্ট্রপতি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৩:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২০৬ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে শিল্প উদ্যোক্তাদের সম্মাননা প্রদান আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পায়নের চলমান ধারাকে সুসংহত করবে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রক্রিয়াকে আরও বেগবান করবে।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ‘রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২০’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শিল্পায়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২০’ দেওয়ার উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন অন্যতম নিয়ামক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৬ সালে কোয়ালিশন সরকারের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি দমন ও গ্রাম সহায়তা দপ্তরের মন্ত্রী থাকাকালে অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসনকল্পে তৃণমূল পর্যায়ে শ্রমঘন শিল্পপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়ে দেশে শিল্পায়নের সূচনা করেছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তীসময়ে তিনি দেশীয় কাঁচামালনির্ভর শিল্প কারখানা গড়ে তোলার মাধ্যমে শিল্পায়নের ধারা আরও এগিয়ে নেন।

আরও পড়ুন: জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী

আবদুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার বিগত এক যুগে বাংলাদেশে শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। শিল্প কারখানায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়াতে দেশে বিশ্বমানের শিল্পপণ্য উৎপাদন হচ্ছে এবং রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবদান ক্রমেই সুসংহত হচ্ছে। পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেলের মতো যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ, বিনিয়োগ সহায়ক কর ও শুল্ক কাঠামো, বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বিশেষ প্রণোদনাসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোক্তাবান্ধব ও সৃজনশীল কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে বিনিয়োগের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত প্রয়াসে জালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তির ব্যবহার, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ, দীর্ঘমেয়াদি নীতি-কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন জরুরি। বেসরকারি খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ‘রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ দিয়ে থাকে। এ বছর সম্মাননাপ্রাপ্ত শিল্পোদ্যোক্তাদের আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

শিল্প উদ্যোক্তাদের সম্মাননা প্রদানে প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পায়নের ধারাকে সুসংহত করব: রাষ্ট্রপতি

আপডেট: ১১:২৩:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে শিল্প উদ্যোক্তাদের সম্মাননা প্রদান আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পায়নের চলমান ধারাকে সুসংহত করবে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রক্রিয়াকে আরও বেগবান করবে।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ‘রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২০’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শিল্পায়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২০’ দেওয়ার উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন অন্যতম নিয়ামক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৬ সালে কোয়ালিশন সরকারের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি দমন ও গ্রাম সহায়তা দপ্তরের মন্ত্রী থাকাকালে অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসনকল্পে তৃণমূল পর্যায়ে শ্রমঘন শিল্পপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়ে দেশে শিল্পায়নের সূচনা করেছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তীসময়ে তিনি দেশীয় কাঁচামালনির্ভর শিল্প কারখানা গড়ে তোলার মাধ্যমে শিল্পায়নের ধারা আরও এগিয়ে নেন।

আরও পড়ুন: জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী

আবদুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার বিগত এক যুগে বাংলাদেশে শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। শিল্প কারখানায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়াতে দেশে বিশ্বমানের শিল্পপণ্য উৎপাদন হচ্ছে এবং রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবদান ক্রমেই সুসংহত হচ্ছে। পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেলের মতো যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ, বিনিয়োগ সহায়ক কর ও শুল্ক কাঠামো, বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বিশেষ প্রণোদনাসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোক্তাবান্ধব ও সৃজনশীল কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে বিনিয়োগের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত প্রয়াসে জালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তির ব্যবহার, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ, দীর্ঘমেয়াদি নীতি-কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন জরুরি। বেসরকারি খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ‘রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ দিয়ে থাকে। এ বছর সম্মাননাপ্রাপ্ত শিল্পোদ্যোক্তাদের আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

ঢাকা/টিএ