সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
- আপডেট: ১০:৫৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
- / ৪২০০ বার দেখা হয়েছে
সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। সুরমা, চলতি, বৌলাই, যাদুকাটা, খাসিয়ামারা, চেলা ঝালোখালী নদীর তীর উপচে পানি প্রবেশ করেছে সদর, বিশ্বম্ভরপুর, মধ্যনগর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, শান্তিগঞ্জ ও ছাতক উপজেলার নিম্নাঞ্চল।
সীমান্তের ওপারের মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উদ্বেগজনকভাবে বাড়েনি পানি। তবে গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে জেলার দোয়ারাবাজার, ছাতক ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বাড়ির আঙিনায় ও কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সাত দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের সবকয়টি নদী পানিতে টইটম্বুর হয়ে আছে। সীমান্তের ওপারের মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি না হওয়ায় দ্রুত বাড়েনি পানি। কিন্তু অতিবৃষ্টি ও এর আগের প্রায় পাঁচ দিনের পাহাড়ি ঢলে কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। ছাতক পৌর এলাকা, ইসলামপুর ও নোয়ারাই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের চলাচল সড়ক, কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। সুনামগঞ্জ শহরের কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা এবং শহরতলির কোরবাননগর ও মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, পানি যতটা না এসেছে, তার চেয়ে বেশি আতঙ্কে ভুগছেন মানুষ। সবার মাথায় কাজ করছে, গতবারের বন্যার ভয়াবহতা। সুনামগঞ্জ শহরের সরকারি কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে গৃহপালিত প্রাণীসহ ২৮ পরিবার এসে আশ্রয় নিয়েছেন। পাহাড়ি ঢলে দোয়ারাবাজারের চিলাই নদীর রাবার ড্যামের উজানের বামতীরের বাঁধ ভেঙে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এই উপজেলার বড়বন্দ, মাইজখলা, শরীফপুর এলাকার ঘরবাড়িতে পানি ওঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ওই এলাকার কিছু প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষেও পানি ওঠেছে।
আরও পড়ুন: হজের ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩২০০ হাজি
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, শহরের সরকারি কলেজ এবং ছাতক ও বিশ্বম্ভরপুরের তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে ভয়ে ৩৭টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। আজ থেকে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।
ঢাকা/এসএ