সৌদি আরবের কোচ হলেন ইতালির মানচিনি
- আপডেট: ০৪:৩৫:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
- / ৪১৩৪ বার দেখা হয়েছে
চলতি মাসের মাঝামাঝি সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইতালির কোচ পদ ছাড়েন রবার্তো মানচিনি। তখনও বোঝা যায়নি তার এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তের কারণ। অবশেষে জানা গেলে, বিপুল অঙ্কের বেতনে সৌদি আরবের জাতীয় দলের কোচ হয়েছেন তিনি।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সৌদির সঙ্গে ২০২৭ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ৫৮ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান। ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বছরে তাকে আড়াই কোটি ইউরো বেতন দেওয়া হবে। আজ সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরবের কোচ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে।
সৌদি আরবের দায়িত্ব নেওয়ার পর মানচিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এটি আমার জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ। একটি নতুন দেশে ফুটবল কোচের অভিজ্ঞতা হবে আমার। বিশেষ করে, এশিয়ায় ফুটবলের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সৌদি প্রো লিগে খেলা শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলাররা সৌদি আরবের খেলোয়াড়দের অনেক সাহায্য করবে।
সৌদিতে আসতেই দেশটির প্রথম ইতালিয়ান কোচ হলেন মানচিনি। এছাড়া সৌদি জাতীয় দলের ৪৯তম কোচ ও ১৯তম ইউরোপিয়ান কোচ তিনি। সৌদি আরবের কোচ হিসেবে মানচিনির প্রথম মিশন হবে কোস্টারিকা। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর নিউক্যাসলের মাঠ সেইন্ট জেমস পার্কে কোস্টারিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে সৌদি আরব। ১২ সেপ্টেম্বর আরেকটি প্রীতি ম্যাচে তারা মুখোমুখি হবে দক্ষিণ কোরিয়ার।
সৌদি আরবের টুইটারে এ মানচিনিকে নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘ইউরোপে ইতিহাস গড়েছি, এখন সৌদি আরবের হয়ে ইতিহাস গড়ার পালা।’
আরও পড়ুন: সাত গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে বার্সার জয়
২০১৮ সালে ইতালি জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন রবার্তো মানচিনি। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে জায়গা পায়নি ইতালি। পরবর্তী প্রজেক্ট দাঁড় করাতে দায়িত্ব নেন সাবেক ইতালিয়ান স্ট্রাইকার ও ম্যানচেস্টার সিটির এই কোচ। তার অধীনে দুর্দান্ত ফুটবল খেলতে থাকে আজ্জুরিরা।
যার ফলশ্রুতিতে ২০২১ সালে ইউরো জেতে। কাতার বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার আগেই তার দলকে বিশ্বকাপের ফেবারিট বলা হচ্ছিল। কিন্তু হুট করে পা হড়কে বিশ্বকাপ খেলা থেকে বঞ্চিত হয় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। মানচিনির অধীনে ইতালি ৩৭ ম্যাচে জয় পেয়েছে, ১৫ ম্যাচে ড্র করেছে এবং হেরেছে মাত্র নয়টি।
ঢাকা/এসএম