০২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

হ্যাকিং থেকে স্মার্টফোন বাঁচাতে যা করবেন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৪৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩
  • / ৪১৬৪ বার দেখা হয়েছে

ছবি তোলা থেকে শুরু করে ব্যাংকে লেনদেন করার জন্য আমরা প্রতিদিনই স্মার্টফোন ব্যবহার করি। এছাড়া ফেসবুক, টুইটার ও চ্যাটিং অ্যাপগুলোতে থাকে আমাদের ব্যক্তিগত কথোপকথন। অনেকেই আবার অফিসের জরুরি ইমেইলগুলোও পাঠিয়ে থাকেন স্মার্টফোন দিয়েই।

ফলে স্মার্টফোন আমাদের নিত্যদিনের অপরিহার্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে। তাই এটির নিরাপত্তার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। চলুন জেনে নিই কীভাবে আপনার স্মার্টফোন হ্যাকিং থেকে রক্ষা করবেন-

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্লে স্টোরে নানান ধরনের অ্যাপ পাওয়া যায়। নানান প্রয়োজনে আমরা সেই অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে থাকি। অ্যাপগুলো ইন্সটল করার সময় সেটিতে কিছু পারমিশন চাওয়া হয়। কিন্তু অ্যাপটির চাওয়া সকল পারমিশন যদি আমরা না বুঝে দিয়ে দেই তাহলে ঘটবে বিপত্তি। পারমিশন পেয়ে গেলে আপনার ফোনে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তিগত ফাইলের অ্যাক্সেস পেয়ে যায় তারা। তাই কোন অ্যাপ ইন্সটল করার সময় ভালো করে দেখে নিন কী কী পারমিশন দিচ্ছেন আপনি।

অনেক লোভনীয় ফিচার সমৃদ্ধ কিছু অ্যাপ আছে, যা প্লে স্টোরে পাওয়া যায় না। এই অ্যাপগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে APK ফাইল হিসেবে পাওয়া যায়। অবিশ্বস্ত সোর্স বা ওয়েবসাইট থেকে APK ফাইল আপনার ফোনে ইন্সটল করা থেকে বিরত থাকুন। এসব অ্যাপে ম্যালওয়্যার ভাইরাস থাকে যা আপনার ফোনের সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নিতে পারে। আইফোনে এসব অ্যাপ ডাউনলোড করা যায় না। তাই আইফোন এ ব্যাপারে সুরক্ষিত বলা যায়। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডে এসব থার্ড পার্টি অ্যাপ সহজেই ইন্সটল করা যায়। তাই কোন লোভনীয় ফিচারের লোভে ফোনে এসব অ্যাপ ইন্সটল করবেন না।

যে কোন জায়গায় গিয়েই আমরা ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড চেয়ে থাকি। মনে রাখবেন, অন্য কারোর ওয়াইফাই কতটা সুরক্ষিত এটা আপনি জানেন না। পাবলিক ওয়াইফাইয়ে কখনো কখনো ম্যালওয়্যার থাকে, যা আপনার ফোনে ঢুকে গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে। এগুলো আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। তাই পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারের সময় অবশ্যই সাবধান থাকুন।

গান শোনার বা ফাইল ট্রান্সফার করার প্রয়োজনে আমরা ব্লুটুথ অন করি। কিন্তু কাজটি শেষ হবার পর ব্লুটুথ অফ করতে ভুলে যাওয়ার অভ্যাস রয়েছে প্রায় সবারই। যদি আপনার ফোনের ব্লুটুথ সবসময় ভিজিবল থাকে, তাহলে খুব সহজেই ডিভাইসটি হ্যাকারদের নেটওয়ার্কে ধরা পড়ে। তাই ব্লুটুথ সেটিংসে গিয়ে আপনার ডিভাইসটিকে নন-ডিসকভারেবল হিসেবে সেট করুন। কাজ শেষে ব্লুটুথ অফ করে রাখুন। তাহলে আপনার ডিভাইসটি সুরক্ষিত থাকবে।

আরও পড়ুন: বর্ষায় যেভাবে কাপড় দ্রুত শুকাবেন

অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ আপনার ফোনের নিরাপত্তা জোরদার করতে কাজ করে। ফোনে ম্যালওয়্যার-ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে অ্যান্টি ভাইরাস অ্যাপ কাজ করে থাকে। ফোন থেকে হ্যাকার কোনো তথ্য চুরি করতে চাইলে অ্যান্টি ভাইরাস অ্যাপ সেটি প্রতিরোধ করে আপনাকে জানিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

গুগল প্লে স্টোরে আপনি বিভিন্ন অ্যান্টি ভাইরাস অ্যাপ পেয়ে যাবেন। কিন্তু অ্যাপটি ডাউনলোড করা আগে অবশ্যই রেটিং কিংবা রিভিও দেখে নিবেন। হ্যাকাররা অনেক সময় অ্যান্টি ভাইরাস অ্যাপের আদলে ম্যালওয়্যার-ভাইরাসযুক্ত অ্যাপ ডিজাইন করে থাকে। তাই সাবধানতার সঙ্গে অ্যান্টি ভাইরাস নির্বাচন করুন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

হ্যাকিং থেকে স্মার্টফোন বাঁচাতে যা করবেন

আপডেট: ০৪:৪৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩

ছবি তোলা থেকে শুরু করে ব্যাংকে লেনদেন করার জন্য আমরা প্রতিদিনই স্মার্টফোন ব্যবহার করি। এছাড়া ফেসবুক, টুইটার ও চ্যাটিং অ্যাপগুলোতে থাকে আমাদের ব্যক্তিগত কথোপকথন। অনেকেই আবার অফিসের জরুরি ইমেইলগুলোও পাঠিয়ে থাকেন স্মার্টফোন দিয়েই।

ফলে স্মার্টফোন আমাদের নিত্যদিনের অপরিহার্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে। তাই এটির নিরাপত্তার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। চলুন জেনে নিই কীভাবে আপনার স্মার্টফোন হ্যাকিং থেকে রক্ষা করবেন-

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্লে স্টোরে নানান ধরনের অ্যাপ পাওয়া যায়। নানান প্রয়োজনে আমরা সেই অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে থাকি। অ্যাপগুলো ইন্সটল করার সময় সেটিতে কিছু পারমিশন চাওয়া হয়। কিন্তু অ্যাপটির চাওয়া সকল পারমিশন যদি আমরা না বুঝে দিয়ে দেই তাহলে ঘটবে বিপত্তি। পারমিশন পেয়ে গেলে আপনার ফোনে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তিগত ফাইলের অ্যাক্সেস পেয়ে যায় তারা। তাই কোন অ্যাপ ইন্সটল করার সময় ভালো করে দেখে নিন কী কী পারমিশন দিচ্ছেন আপনি।

অনেক লোভনীয় ফিচার সমৃদ্ধ কিছু অ্যাপ আছে, যা প্লে স্টোরে পাওয়া যায় না। এই অ্যাপগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে APK ফাইল হিসেবে পাওয়া যায়। অবিশ্বস্ত সোর্স বা ওয়েবসাইট থেকে APK ফাইল আপনার ফোনে ইন্সটল করা থেকে বিরত থাকুন। এসব অ্যাপে ম্যালওয়্যার ভাইরাস থাকে যা আপনার ফোনের সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নিতে পারে। আইফোনে এসব অ্যাপ ডাউনলোড করা যায় না। তাই আইফোন এ ব্যাপারে সুরক্ষিত বলা যায়। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডে এসব থার্ড পার্টি অ্যাপ সহজেই ইন্সটল করা যায়। তাই কোন লোভনীয় ফিচারের লোভে ফোনে এসব অ্যাপ ইন্সটল করবেন না।

যে কোন জায়গায় গিয়েই আমরা ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড চেয়ে থাকি। মনে রাখবেন, অন্য কারোর ওয়াইফাই কতটা সুরক্ষিত এটা আপনি জানেন না। পাবলিক ওয়াইফাইয়ে কখনো কখনো ম্যালওয়্যার থাকে, যা আপনার ফোনে ঢুকে গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে। এগুলো আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। তাই পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারের সময় অবশ্যই সাবধান থাকুন।

গান শোনার বা ফাইল ট্রান্সফার করার প্রয়োজনে আমরা ব্লুটুথ অন করি। কিন্তু কাজটি শেষ হবার পর ব্লুটুথ অফ করতে ভুলে যাওয়ার অভ্যাস রয়েছে প্রায় সবারই। যদি আপনার ফোনের ব্লুটুথ সবসময় ভিজিবল থাকে, তাহলে খুব সহজেই ডিভাইসটি হ্যাকারদের নেটওয়ার্কে ধরা পড়ে। তাই ব্লুটুথ সেটিংসে গিয়ে আপনার ডিভাইসটিকে নন-ডিসকভারেবল হিসেবে সেট করুন। কাজ শেষে ব্লুটুথ অফ করে রাখুন। তাহলে আপনার ডিভাইসটি সুরক্ষিত থাকবে।

আরও পড়ুন: বর্ষায় যেভাবে কাপড় দ্রুত শুকাবেন

অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ আপনার ফোনের নিরাপত্তা জোরদার করতে কাজ করে। ফোনে ম্যালওয়্যার-ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে অ্যান্টি ভাইরাস অ্যাপ কাজ করে থাকে। ফোন থেকে হ্যাকার কোনো তথ্য চুরি করতে চাইলে অ্যান্টি ভাইরাস অ্যাপ সেটি প্রতিরোধ করে আপনাকে জানিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

গুগল প্লে স্টোরে আপনি বিভিন্ন অ্যান্টি ভাইরাস অ্যাপ পেয়ে যাবেন। কিন্তু অ্যাপটি ডাউনলোড করা আগে অবশ্যই রেটিং কিংবা রিভিও দেখে নিবেন। হ্যাকাররা অনেক সময় অ্যান্টি ভাইরাস অ্যাপের আদলে ম্যালওয়্যার-ভাইরাসযুক্ত অ্যাপ ডিজাইন করে থাকে। তাই সাবধানতার সঙ্গে অ্যান্টি ভাইরাস নির্বাচন করুন।

ঢাকা/এসএ