০৯:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডিভিডেন্ড ঘোষণার জন্য মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়েছে সামিট পাওয়ার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৩২:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০৪৪১ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন ও ডিভিডেন্ড ঘোষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এছাড়া চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৪) এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্যেও ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিটি।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) লিখিতভাবে সময় চেয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

বিজ্ঞপ্তিতে সামিট গ্রুপ ও সামিট পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বর্তমান অবস্থার কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সামিট করপোরেশন লিমিটেড নিজস্ব মালিকানাধীন ২ হাজার ২৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মোট ১৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করছে।

এ ছাড়া সামিট ৫০০ এমএমসিএফ/ডি ক্ষমতাসম্পন্ন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) পরিচালনা করে।

আরও পড়ুন: দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী টেরা পার্টনার্স

সামিট কর্পোরেশন লিমিটেডের অধীনে এই ১৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার লিমিটেড (এসপিএল) মোট ৯৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিক।

বর্তমানে আশুলিয়া, মাধবদী ও চান্দিনায় অবস্থিত তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র (মোট ৩৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন) জাতীয় গ্যাস গ্রিড থেকে সরবরাহে ঘাটতির জন্য শাটডাউন মোডে আছে। যদিও “নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট” ভিত্তিতে ২১ নভেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সাথে সরকারের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) রয়েছে।

চলতি বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বিপিডিবির কাছ থেকে বিদ্যুতের চাহিদা না থাকায় নারায়গঞ্জে অবস্থিত মদনগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্টটি (১০২ মেগাওয়াট, হেভি ফার্নেস ওয়েল-চালিত) শাটডাউন মুডে আছে।

২৪ জুন, ২০২৪ বিপিডিবির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) প্রাথমিক মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে জাঙ্গালিয়া পাওয়ার প্ল্যান্ট (৩৩ মেগাওয়াট গ্যাস-চালিত) বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, বিপিডিবি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি (পিপিএ) নবায়ন কিংবা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য কোনো নির্দেশনা দেয়নি।

বর্তমানে সামিট পাওয়ার লিমিটেডের মালিকানাধীন ৮০৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন অন্য মোট ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল আছে।

পৃথকভাবে, মোট ১ হাজার ২৭৯ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সামিটের তিনটি টারবাইন বিদ্যুৎকেন্দ্র যথাক্রমে, সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, সামিট মেঘনাঘাট ২ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং সামিট বিবিয়ানা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের পাশাপাশি ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) চালু রয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

ডিভিডেন্ড ঘোষণার জন্য মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়েছে সামিট পাওয়ার

আপডেট: ১০:৩২:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন ও ডিভিডেন্ড ঘোষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এছাড়া চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৪) এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্যেও ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিটি।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) লিখিতভাবে সময় চেয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

বিজ্ঞপ্তিতে সামিট গ্রুপ ও সামিট পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বর্তমান অবস্থার কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সামিট করপোরেশন লিমিটেড নিজস্ব মালিকানাধীন ২ হাজার ২৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মোট ১৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করছে।

এ ছাড়া সামিট ৫০০ এমএমসিএফ/ডি ক্ষমতাসম্পন্ন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) পরিচালনা করে।

আরও পড়ুন: দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী টেরা পার্টনার্স

সামিট কর্পোরেশন লিমিটেডের অধীনে এই ১৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার লিমিটেড (এসপিএল) মোট ৯৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিক।

বর্তমানে আশুলিয়া, মাধবদী ও চান্দিনায় অবস্থিত তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র (মোট ৩৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন) জাতীয় গ্যাস গ্রিড থেকে সরবরাহে ঘাটতির জন্য শাটডাউন মোডে আছে। যদিও “নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট” ভিত্তিতে ২১ নভেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সাথে সরকারের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) রয়েছে।

চলতি বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বিপিডিবির কাছ থেকে বিদ্যুতের চাহিদা না থাকায় নারায়গঞ্জে অবস্থিত মদনগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্টটি (১০২ মেগাওয়াট, হেভি ফার্নেস ওয়েল-চালিত) শাটডাউন মুডে আছে।

২৪ জুন, ২০২৪ বিপিডিবির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) প্রাথমিক মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে জাঙ্গালিয়া পাওয়ার প্ল্যান্ট (৩৩ মেগাওয়াট গ্যাস-চালিত) বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, বিপিডিবি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি (পিপিএ) নবায়ন কিংবা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য কোনো নির্দেশনা দেয়নি।

বর্তমানে সামিট পাওয়ার লিমিটেডের মালিকানাধীন ৮০৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন অন্য মোট ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল আছে।

পৃথকভাবে, মোট ১ হাজার ২৭৯ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সামিটের তিনটি টারবাইন বিদ্যুৎকেন্দ্র যথাক্রমে, সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, সামিট মেঘনাঘাট ২ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং সামিট বিবিয়ানা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের পাশাপাশি ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) চালু রয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ