০৮:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
চার ফান্ডের ২৩৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ

ইউএফএসের এমডির বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৩৩১ বার দেখা হয়েছে

জাল ব্যাংক প্রতিবেদন ও ভুয়া এফডিআরের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশন (ইউএফএস) এমডি সৈয়দ হামজা আলমগীর চার মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের ২৩৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউএফএসের এমডির বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১ এর বিধি মোতাবেক কোম্পানিটির নিবন্ধন সনদ কেন বাতিল হবে না এ মর্মে নোটিশ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সভায়, ফান্ডসমূহের ট্রাস্টি হিসেবে ইনভেসটমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানী এর পরিচালকবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ তথা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হতে পাচারকৃত তহবিল, অপরাধলব্ধ আয়, অবৈধ ব্যয় তথা
অনাদায়কৃত অর্থ পুনরুদ্ধার/ পুনর্ভরণ করার নিমিত্তে বিশেষ নিরীক্ষাপূর্র্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

একইসাথে, ফান্ডসমহের ট্রাস্টি এবং কাস্টডিয়ান হিসেবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার দায়ে আইসিবির ট্রস্টি এবং কাস্টডিয়ান বিভাগে তৎকালীন কর্মরত কর্মকর্তাগণকে কেন শাস্তি আরোপ করা হবে না এ মর্মে নোটিশ জারি করার সিদ্ধান্ত হয়।

উল্লেখ্য, মূলত ইউএফএস এর ১৫৮ কোটি আত্মসাৎ নিয়ে খবর প্রকাশের পর বিএসইসির কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। তার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য পায় বিএসইসি। এর মধ্যে ১৭০ কোটি টাকারও বেশি বিদেশে পাচার হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

ইউএফএস নিয়ন্ত্রিত চারটি মিউচুয়াল ফান্ড হলো— ইউএফএস-ব্যাংক এশিয়া ইউনিট ফান্ড, ইউএফএস-আইবিবিএল শরিয়াহ ইউনিট, ইউএফএস-পদ্মা লাইফ ইসলামিক ইউনিট ফান্ড এবং ইউএফএস-পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ড। ২০১৮ সাল থেকে ইউএফএসএলের ফান্ড থেকে অর্থ সরানোর শুরু করে এমডির চক্রটি। এই চার ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের অর্থ নিয়ে এমডি বর্তমানে দুবাই অবস্থান করছেন।

এমডির চক্রটি ব্যাংকের প্রতিবেদন জালিয়াতি এবং ভুয়া এফডিআরের (ফিক্সড ডিপোজিট রেট) মাধ্যমে এ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অথচ জেনে-বুঝেও চার বছর ধরে নিষ্ক্রিয় ছিল ফান্ডের ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান (গ্যারান্টি দেওয়া প্রতিষ্ঠান) আইসিবি। এ অপকর্মকে বৈধতা দিয়েছে দুই অডিট কোম্পানি আহমেদ জাকের অ্যান্ড কো. এবং রহমান মোস্তফা আলম অ্যান্ড কো. লিমিটেড। অপরদিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা কিছুই জানত না।

আরও পড়ুন: প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ডিভিডেন্ড ঘোষণা

বিএসইর তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, ইউএফএসের এমডি আট লাখ টাকার চারটি ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) করেন। এরপর ব্যাংকের নথিগুলোয় কারসাজি করে আমানতের অংক দেখিয়েছেন ৪৯ কোটি। এমডির চক্রটি নিজের অথবা নিজের আত্মীয়-স্বজনদের প্রতিষ্ঠানে টাকা স্থানান্তর করেন। এছাড়াও ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার ব্যবস্থাপক ফি নিয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

২০১০ সালে সম্পদ ব্যবস্থাপকের সনদ পাওয়া ইউএফএস ৪৩০ কোটি টাকার সাতটি মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবস্থাপনা করত। লোপাটের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির অডিট ফার্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অডিট ফার্মটি ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড তদারকির দায়িত্বে ছিল। এছাড়াও ইউনিভার্সাল ফিন্যান্সিয়াল সলিউশন্সের অধীন মিউচুয়াল ফান্ডগুলোয় তাদের নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে বিএসইসি।

বিএসইসির তদন্তে দেখা যায়, ইউএফএস বিনিয়োগের কাগজপত্রে জালিয়াতি করে ২০১৬ এবং ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনটি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে প্রায় ৫৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এই ছয় প্রতিষ্ঠানই ইউএফএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তার সহযোগীদের মালিকানাধীন।

আরও পড়ুন: সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যানসহ পাঁচ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ

বিএসইসির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএফএসের ২৩৫ কোটি টাকা আত্নসাৎ করে ১৭০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা টাকার পাচার করেছে ইউএফএসএলের এমডি। এর মধ্যে ৫৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা পাচার করেছে বিনিয়োগের নামে বাণিজ্যিক নথিপত্র জাল করে আর ৪৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচার করেছে ভুয়া এফডিআরের মাধ্যমে। এছাড়াও ৬৩ কোটি টাকা নিবন্ধিত সিকিউরিটিজের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভুয়া বিনিয়োগ ও ভুয়া এফডিআর থেকে ফান্ডগুলোকে ‍সুদ দেওয়া হয়নি। তাতে প্রতিষ্ঠানটির লোকসান হয়েছে ৫৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। শুধু তাই নয়, উল্টো ফান্ডগুলোর নেট সম্পদ মূল্য (এনএভি) বেশি দেখিয়ে ট্রাস্টি, কাস্টডিয়ান ও সম্পদ ব্যবস্থাপকদের থেকে আরও ৫ কোটি ৮২ কোটি টাকা রিফান্ড নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত চার্জ হিসেবে। ইউএফএস প্রত্যেক প্রান্তিকে কমিশন, ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ানের কাছে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বছর শেষে ভুয়া ব্যাংক ব্যালেন্স জমা দিয়েছে। কিন্তু অডিটর সেটা যাচাই-বাছাই করার প্রয়োজনও মনে করেনি।

প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান আইসিবি। এ প্রতিষ্ঠানে আইসিবির বিনিয়োগ ছিল ৪৮ কোটি টাকা, যা উদ্ধার এখন অনিশ্চিত।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

চার ফান্ডের ২৩৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ

ইউএফএসের এমডির বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএসইসি

আপডেট: ০৮:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

জাল ব্যাংক প্রতিবেদন ও ভুয়া এফডিআরের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশন (ইউএফএস) এমডি সৈয়দ হামজা আলমগীর চার মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের ২৩৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউএফএসের এমডির বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১ এর বিধি মোতাবেক কোম্পানিটির নিবন্ধন সনদ কেন বাতিল হবে না এ মর্মে নোটিশ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সভায়, ফান্ডসমূহের ট্রাস্টি হিসেবে ইনভেসটমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানী এর পরিচালকবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ তথা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হতে পাচারকৃত তহবিল, অপরাধলব্ধ আয়, অবৈধ ব্যয় তথা
অনাদায়কৃত অর্থ পুনরুদ্ধার/ পুনর্ভরণ করার নিমিত্তে বিশেষ নিরীক্ষাপূর্র্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

একইসাথে, ফান্ডসমহের ট্রাস্টি এবং কাস্টডিয়ান হিসেবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার দায়ে আইসিবির ট্রস্টি এবং কাস্টডিয়ান বিভাগে তৎকালীন কর্মরত কর্মকর্তাগণকে কেন শাস্তি আরোপ করা হবে না এ মর্মে নোটিশ জারি করার সিদ্ধান্ত হয়।

উল্লেখ্য, মূলত ইউএফএস এর ১৫৮ কোটি আত্মসাৎ নিয়ে খবর প্রকাশের পর বিএসইসির কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। তার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য পায় বিএসইসি। এর মধ্যে ১৭০ কোটি টাকারও বেশি বিদেশে পাচার হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

ইউএফএস নিয়ন্ত্রিত চারটি মিউচুয়াল ফান্ড হলো— ইউএফএস-ব্যাংক এশিয়া ইউনিট ফান্ড, ইউএফএস-আইবিবিএল শরিয়াহ ইউনিট, ইউএফএস-পদ্মা লাইফ ইসলামিক ইউনিট ফান্ড এবং ইউএফএস-পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ড। ২০১৮ সাল থেকে ইউএফএসএলের ফান্ড থেকে অর্থ সরানোর শুরু করে এমডির চক্রটি। এই চার ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের অর্থ নিয়ে এমডি বর্তমানে দুবাই অবস্থান করছেন।

এমডির চক্রটি ব্যাংকের প্রতিবেদন জালিয়াতি এবং ভুয়া এফডিআরের (ফিক্সড ডিপোজিট রেট) মাধ্যমে এ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অথচ জেনে-বুঝেও চার বছর ধরে নিষ্ক্রিয় ছিল ফান্ডের ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান (গ্যারান্টি দেওয়া প্রতিষ্ঠান) আইসিবি। এ অপকর্মকে বৈধতা দিয়েছে দুই অডিট কোম্পানি আহমেদ জাকের অ্যান্ড কো. এবং রহমান মোস্তফা আলম অ্যান্ড কো. লিমিটেড। অপরদিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা কিছুই জানত না।

আরও পড়ুন: প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ডিভিডেন্ড ঘোষণা

বিএসইর তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, ইউএফএসের এমডি আট লাখ টাকার চারটি ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) করেন। এরপর ব্যাংকের নথিগুলোয় কারসাজি করে আমানতের অংক দেখিয়েছেন ৪৯ কোটি। এমডির চক্রটি নিজের অথবা নিজের আত্মীয়-স্বজনদের প্রতিষ্ঠানে টাকা স্থানান্তর করেন। এছাড়াও ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার ব্যবস্থাপক ফি নিয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

২০১০ সালে সম্পদ ব্যবস্থাপকের সনদ পাওয়া ইউএফএস ৪৩০ কোটি টাকার সাতটি মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবস্থাপনা করত। লোপাটের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির অডিট ফার্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অডিট ফার্মটি ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড তদারকির দায়িত্বে ছিল। এছাড়াও ইউনিভার্সাল ফিন্যান্সিয়াল সলিউশন্সের অধীন মিউচুয়াল ফান্ডগুলোয় তাদের নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে বিএসইসি।

বিএসইসির তদন্তে দেখা যায়, ইউএফএস বিনিয়োগের কাগজপত্রে জালিয়াতি করে ২০১৬ এবং ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনটি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে প্রায় ৫৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এই ছয় প্রতিষ্ঠানই ইউএফএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তার সহযোগীদের মালিকানাধীন।

আরও পড়ুন: সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যানসহ পাঁচ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ

বিএসইসির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএফএসের ২৩৫ কোটি টাকা আত্নসাৎ করে ১৭০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা টাকার পাচার করেছে ইউএফএসএলের এমডি। এর মধ্যে ৫৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা পাচার করেছে বিনিয়োগের নামে বাণিজ্যিক নথিপত্র জাল করে আর ৪৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচার করেছে ভুয়া এফডিআরের মাধ্যমে। এছাড়াও ৬৩ কোটি টাকা নিবন্ধিত সিকিউরিটিজের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভুয়া বিনিয়োগ ও ভুয়া এফডিআর থেকে ফান্ডগুলোকে ‍সুদ দেওয়া হয়নি। তাতে প্রতিষ্ঠানটির লোকসান হয়েছে ৫৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। শুধু তাই নয়, উল্টো ফান্ডগুলোর নেট সম্পদ মূল্য (এনএভি) বেশি দেখিয়ে ট্রাস্টি, কাস্টডিয়ান ও সম্পদ ব্যবস্থাপকদের থেকে আরও ৫ কোটি ৮২ কোটি টাকা রিফান্ড নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত চার্জ হিসেবে। ইউএফএস প্রত্যেক প্রান্তিকে কমিশন, ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ানের কাছে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বছর শেষে ভুয়া ব্যাংক ব্যালেন্স জমা দিয়েছে। কিন্তু অডিটর সেটা যাচাই-বাছাই করার প্রয়োজনও মনে করেনি।

প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান আইসিবি। এ প্রতিষ্ঠানে আইসিবির বিনিয়োগ ছিল ৪৮ কোটি টাকা, যা উদ্ধার এখন অনিশ্চিত।

ঢাকা/এসএ