০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ উড়োজাহাজের ১০ কোটি টাকার ইঞ্জিন গায়েব

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১
  • / ৪১৬৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ উড়োজাহাজের একটি ইঞ্জিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গায়েব হয়ে গেছে। ইঞ্জিনটির বাজারমূল্য আনুমানিক ১০ কোটি টাকা। বিমানবন্দর সূত্রে এই তথ্য দিয়েছেন।

জানা যায়, বন্ধ ঘোষিত বেসরকারি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজের ইঞ্জিন গায়েবের এই ঘটনায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল-আহসান জানান, ইউনাইটেড উড়োজাহাজের ইঞ্জিন চুরি বা গায়েব হয়নি। ওই প্রতিষ্ঠানের লোকজনই ওই উড়োজাহাজের ইঞ্জিন খুলে নিয়ে গেছে। তাছাড়া এই নিয়ে বিমান সংস্থাটি কোনো অভিযোগও দেয়নি।

বিমানবন্দরের নির্বাহী এই পরিচালক দাবি করেন, বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নয়। এই দায়িত্ব সংশ্নিষ্ট এয়ারলাইন্সের।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, ইঞ্জিন গায়েবের অভিযোগ ওঠার পর শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সম্প্রতি বিষয়টি বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

বিমানবন্দরের উত্তর দিকে কার্গো ভিলেজের পেছনে অ্যাপ্রোন এলাকায় কয়েক বছর ধরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের আটটি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি, জিএমজি এয়ারলাইন্স ও অ্যাভিয়েনা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে।

জানা গেছে, কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার পরও এমন ঘটনা ঠিক কবে, কীভাবে ঘটেছে সেটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না কেউই। সিসি ক্যামেরা কিংবা অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায়ও এমন কোনো কিছু ধরা পড়েনি। বিমানবন্দর থেকে ড্যাস-৮ (এস২-এইচএস) নামের ওই উড়োজাহাজটির চুরি হয়ে যাওয়া ইঞ্জিনের মডেল নম্বর-এসি ০০৩৫।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার দায় এড়িয়ে গিয়ে বলছে, সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি প্রোগ্রাম-২০১৮ অনুযায়ী উড়োজাহাজের সংরক্ষণ, নিরাপত্তা এবং বার্ষিক অডিট- এসব কিছুর দায়িত্ব সংশ্নিষ্ট কোম্পানির। কিন্তু ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এমন কিছুই করেনি। তারা উড়োজাহাজগুলো ফেলে রাখার পর থেকে নূ্যনতম রক্ষণাবেক্ষণও করেনি।

এদিকে পরিত্যক্ত এসব উড়োজাহাজের কারণে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ অংশটি রীতিমতো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বিমানগুলো দখল করে নিয়েছে বড় একটা এলাকা। এমনকি এর কারণে মূল পার্কিং জোনে মালপত্র ওঠানামায় বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ উড়োজাহাজের ১০ কোটি টাকার ইঞ্জিন গায়েব

আপডেট: ১১:৪২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ উড়োজাহাজের একটি ইঞ্জিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গায়েব হয়ে গেছে। ইঞ্জিনটির বাজারমূল্য আনুমানিক ১০ কোটি টাকা। বিমানবন্দর সূত্রে এই তথ্য দিয়েছেন।

জানা যায়, বন্ধ ঘোষিত বেসরকারি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজের ইঞ্জিন গায়েবের এই ঘটনায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল-আহসান জানান, ইউনাইটেড উড়োজাহাজের ইঞ্জিন চুরি বা গায়েব হয়নি। ওই প্রতিষ্ঠানের লোকজনই ওই উড়োজাহাজের ইঞ্জিন খুলে নিয়ে গেছে। তাছাড়া এই নিয়ে বিমান সংস্থাটি কোনো অভিযোগও দেয়নি।

বিমানবন্দরের নির্বাহী এই পরিচালক দাবি করেন, বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নয়। এই দায়িত্ব সংশ্নিষ্ট এয়ারলাইন্সের।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, ইঞ্জিন গায়েবের অভিযোগ ওঠার পর শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সম্প্রতি বিষয়টি বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

বিমানবন্দরের উত্তর দিকে কার্গো ভিলেজের পেছনে অ্যাপ্রোন এলাকায় কয়েক বছর ধরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের আটটি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি, জিএমজি এয়ারলাইন্স ও অ্যাভিয়েনা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে।

জানা গেছে, কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার পরও এমন ঘটনা ঠিক কবে, কীভাবে ঘটেছে সেটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না কেউই। সিসি ক্যামেরা কিংবা অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায়ও এমন কোনো কিছু ধরা পড়েনি। বিমানবন্দর থেকে ড্যাস-৮ (এস২-এইচএস) নামের ওই উড়োজাহাজটির চুরি হয়ে যাওয়া ইঞ্জিনের মডেল নম্বর-এসি ০০৩৫।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার দায় এড়িয়ে গিয়ে বলছে, সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি প্রোগ্রাম-২০১৮ অনুযায়ী উড়োজাহাজের সংরক্ষণ, নিরাপত্তা এবং বার্ষিক অডিট- এসব কিছুর দায়িত্ব সংশ্নিষ্ট কোম্পানির। কিন্তু ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এমন কিছুই করেনি। তারা উড়োজাহাজগুলো ফেলে রাখার পর থেকে নূ্যনতম রক্ষণাবেক্ষণও করেনি।

এদিকে পরিত্যক্ত এসব উড়োজাহাজের কারণে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ অংশটি রীতিমতো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বিমানগুলো দখল করে নিয়েছে বড় একটা এলাকা। এমনকি এর কারণে মূল পার্কিং জোনে মালপত্র ওঠানামায় বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: