০৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঋণ বিতরণ বেড়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩
  • / ৪১৫৪ বার দেখা হয়েছে

দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে। একইসঙ্গে বাড়ছে এর সেবার মান। এজেন্ট ব্যাংকিং চালু হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ গ্রামীণ অর্থনীতি বেশ চাঙা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আগের বছরের চেয়ে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ২ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা। একইসঙ্গে আমানতের পরিমাণ ৪ লাখ ৩ হাজার ৫১০ কোটি টাকা বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঋণ বিতরণ করা হয়েছিলো ৪ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ঋণ বিতরণ বেড়েছে ২ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা। এই দশ মাসে আমানত সংগ্রহ করা হয়েছে ৩০ লাখ ১ হাজার ২০৬ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরের একইসময়ে যার পরিমাণ ছিলো ২৫ লাখ ৭ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় আমানত সংগ্রহ বেড়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৫১০ কোটি টাকা।

দেশের ব্যাংক খাতে ২০১৪ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। বর্তমানে এই সেবার গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৪৮ হাজার ৩৩৭টি। দেশব্যাপী পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে এরকম এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪১১টি। আর এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট বেড়ে হয় ২১ হাজার ১১৫টি। এজেন্ট ব্যাংকিং আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এজেন্ট আউটলেটে একজন গ্রাহক সহজেই তার হাতের আঙুলের স্পর্শের মাধ্যমে হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। তাই গ্রামীণ জনপদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যকরী একটি উদ্যোগ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: ১১ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৩৪ হাজার কোটি টাকা

এদিকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে ব্রাজিল। আর বাংলাদেশে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করে। নীতিমালা অনুযায়ী, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে প্রত্যেক এজেন্টের একটি চলতি হিসাব থাকতে হয়। এ সেবার মাধ্যমে ছোট অঙ্কের অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যায়।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স স্থানীয় মুদ্রায় বিতরণ, ছোট অঙ্কের ঋণ প্রদান ও আদায় এবং এককালীন জমার কাজও করেন এজেন্টরা। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন উপযোগ সেবার বিল পরিশোধের পাশাপাশি সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর অর্থও উত্তোলন করা যায়। এ ছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব খোলা, ঋণ আবেদন, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নথিপত্র সংগ্রহ করতে পারেন এসব এজেন্ট। তবে এখনো বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের কোনো সুযোগ নেই এজেন্টদের।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঋণ বিতরণ বেড়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ০৬:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩

দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে। একইসঙ্গে বাড়ছে এর সেবার মান। এজেন্ট ব্যাংকিং চালু হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ গ্রামীণ অর্থনীতি বেশ চাঙা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আগের বছরের চেয়ে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ২ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা। একইসঙ্গে আমানতের পরিমাণ ৪ লাখ ৩ হাজার ৫১০ কোটি টাকা বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঋণ বিতরণ করা হয়েছিলো ৪ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ঋণ বিতরণ বেড়েছে ২ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা। এই দশ মাসে আমানত সংগ্রহ করা হয়েছে ৩০ লাখ ১ হাজার ২০৬ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরের একইসময়ে যার পরিমাণ ছিলো ২৫ লাখ ৭ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় আমানত সংগ্রহ বেড়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৫১০ কোটি টাকা।

দেশের ব্যাংক খাতে ২০১৪ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। বর্তমানে এই সেবার গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৪৮ হাজার ৩৩৭টি। দেশব্যাপী পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে এরকম এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪১১টি। আর এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট বেড়ে হয় ২১ হাজার ১১৫টি। এজেন্ট ব্যাংকিং আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এজেন্ট আউটলেটে একজন গ্রাহক সহজেই তার হাতের আঙুলের স্পর্শের মাধ্যমে হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। তাই গ্রামীণ জনপদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যকরী একটি উদ্যোগ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: ১১ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৩৪ হাজার কোটি টাকা

এদিকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে ব্রাজিল। আর বাংলাদেশে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করে। নীতিমালা অনুযায়ী, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে প্রত্যেক এজেন্টের একটি চলতি হিসাব থাকতে হয়। এ সেবার মাধ্যমে ছোট অঙ্কের অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যায়।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স স্থানীয় মুদ্রায় বিতরণ, ছোট অঙ্কের ঋণ প্রদান ও আদায় এবং এককালীন জমার কাজও করেন এজেন্টরা। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন উপযোগ সেবার বিল পরিশোধের পাশাপাশি সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর অর্থও উত্তোলন করা যায়। এ ছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব খোলা, ঋণ আবেদন, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নথিপত্র সংগ্রহ করতে পারেন এসব এজেন্ট। তবে এখনো বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের কোনো সুযোগ নেই এজেন্টদের।

ঢাকা/এসএ