০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস মাদক দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১১০ বার দেখা হয়েছে

জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এজন্য পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে সবার আগে আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সব সময় হয়ে আসছে।

আজ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

উদ্বোধন শেষে দেওয়া বক্তব্যে পুলিশের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেশের মানুষের সেবা করেন। দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন, এটাই পুলিশের ধর্ম। আপনারা সেবার মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করবেন, এটাই আমাদের কাম্য। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এর বিরুদ্ধে পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে সবার আগে আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সব সময় হয়ে আসছে। এটা প্রতিষ্ঠিত হওয়া একান্ত দরকার। পুলিশ বাহিনীকে মানুষের সেবায় আমরা গড়ে তুলছি।

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় পুলিশ সদস্যরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখবে, এটাই আমাদের কাম্য। এসময় পুলিশের জন্য নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, পুলিশে এখন সবচেয়ে যুযোপযোগী, আধুনিক ও স্মার্ট।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুলিশ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। করোনায় যখন আত্মীয়-স্বজন পাশে ছিল না, পুলিশ ছিল মানুষের পাশে। মৃত লাশ দাফন কাফনের ব্যবস্থাও করেছে।

আরও পড়ুন: ৪০০ পুলিশ সদস্যকে বিপিএম-পিপিএম পদক পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

সরকারপ্রধান বলেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগে বাধা দিতে যাওয়ায় পুলিশের উপরও হামলা হয়েছে। তাদের পিটিয়ে মারা হয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ জীবন দিয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষা করেছে। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজারবাগে ঢুকে ওই জামায়াত-বিএনপি হামলা করেছে। পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েও আমাদের পুলিশ বাহিনী বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। অনেকে জীবনও দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বেও শান্তিরক্ষায় তাদের অবদানের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই।

স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪। বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের পুলিশ সপ্তাহ।

২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), ৬০ জনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্য নিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা এবং ২১০ জনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা পদকে ভূষিত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী পদক প্রাপ্তদের পদক পরিয়ে দেন।

প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে পর পুলিশের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্যসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এতে অংশ নেন।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

x
English Version

জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস মাদক দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০১:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এজন্য পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে সবার আগে আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সব সময় হয়ে আসছে।

আজ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

উদ্বোধন শেষে দেওয়া বক্তব্যে পুলিশের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেশের মানুষের সেবা করেন। দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন, এটাই পুলিশের ধর্ম। আপনারা সেবার মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করবেন, এটাই আমাদের কাম্য। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এর বিরুদ্ধে পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে সবার আগে আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সব সময় হয়ে আসছে। এটা প্রতিষ্ঠিত হওয়া একান্ত দরকার। পুলিশ বাহিনীকে মানুষের সেবায় আমরা গড়ে তুলছি।

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় পুলিশ সদস্যরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখবে, এটাই আমাদের কাম্য। এসময় পুলিশের জন্য নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, পুলিশে এখন সবচেয়ে যুযোপযোগী, আধুনিক ও স্মার্ট।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুলিশ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। করোনায় যখন আত্মীয়-স্বজন পাশে ছিল না, পুলিশ ছিল মানুষের পাশে। মৃত লাশ দাফন কাফনের ব্যবস্থাও করেছে।

আরও পড়ুন: ৪০০ পুলিশ সদস্যকে বিপিএম-পিপিএম পদক পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

সরকারপ্রধান বলেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগে বাধা দিতে যাওয়ায় পুলিশের উপরও হামলা হয়েছে। তাদের পিটিয়ে মারা হয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ জীবন দিয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষা করেছে। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজারবাগে ঢুকে ওই জামায়াত-বিএনপি হামলা করেছে। পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েও আমাদের পুলিশ বাহিনী বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। অনেকে জীবনও দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বেও শান্তিরক্ষায় তাদের অবদানের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই।

স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪। বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের পুলিশ সপ্তাহ।

২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), ৬০ জনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্য নিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা এবং ২১০ জনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা পদকে ভূষিত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী পদক প্রাপ্তদের পদক পরিয়ে দেন।

প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে পর পুলিশের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্যসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এতে অংশ নেন।

ঢাকা/কেএ