০৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

দেশে বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় বন্ডের অনুমোদন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
  • / ৪১৬২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বন্ড মার্কেট অনেকটাই প্রান্তিক অবস্থানে ছিল। দাতা সংস্থা ও অংশীজনেরা বরাবরই খাতটির উন্নয়নে সরকারকে তাগাদা দিয়ে আসছিল। গত বছরের মে মাসে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্বে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আসার পর বন্ড মার্কেটের উন্নয়নের বিষয়টিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেন। আইনি কাঠামো তৈরির পাশাপাশি করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ড অনুমোদন কার্যক্রমে গতি আসে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল দেশের ইতিহাসে বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বড় বন্ডের অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। এটি দেশের প্রথম গ্রিন সুকুক বা শরিয়াহভিত্তিক বন্ড।

গতকাল বিএসইসির চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৭৭৯তম কমিশন সভায় বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩ হাজার কোটি টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি সিকিউরড, রূপান্তর কিংবা অবসায়নযোগ্য সম্পদভিত্তিক গ্রিন সুকুকের প্রস্তাবে কতিপয় শর্তসাপেক্ষে সম্মতি দেয়া হয়েছে। বেক্সিমকো লিমিটেডকে অভিপ্রায়পত্র (লেটার অব ইনটেন্ট) পাওয়ার পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে সুকুকের প্রস্তাবিত ট্রাস্টির নিবন্ধন সনদ ও কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ট্রাস্ট ডিডসহ চূড়ান্ত সাবস্ক্রিপশন চুক্তি জমা দেয়া সাপেক্ষে সম্মতিপত্র ইস্যু করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। দেশে প্রথমবারের মতো কমিশন কর্তৃক গ্রিন সুকুকের সম্মতি প্রদানের ঘটনা এটি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রস্তাবিত গ্রিন সুকুকটি প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৭৫০ কোটি টাকা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে আর ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের বাইরে অন্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া ৭৫০ কোটি টাকা আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।

ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক এ সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত ৩ হাজার কোটি টাকা তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেডের সৌর প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বেক্সিমকো লিমিটেড। এছাড়া বেক্সিমকোর টেক্সটাইল ডিভিশনের ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা এবং পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে এ অর্থ ব্যবহার করা হবে।

বেক্সিমকোর এ সুকুকের অভিহিত মূল্য হবে ১০০ টাকা, একজন বিনিয়োগকারীকে ন্যূনতম ৫০টি সুকুক কিনতে হবে। এক্ষেত্রে ন্যূনতম সাবস্ক্রিপশন ফি ৫ হাজার টাকা। সুকুক থেকে কমপক্ষে ৯ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যাবে। এছাড়া বেক্সিমকো লিমিটেডের লভ্যাংশ ৯ শতাংশের বেশি হলে তার ১০ শতাংশ সুকুকের মুনাফার সঙ্গে যুক্ত হবে। এ সুকুক শেয়ারে রূপান্তরযোগ্য, বিনিয়োগকারী চাইলে সুকুককে শেয়ারে রূপান্তর করতে পারবেন। প্রতি বছর ২০ শতাংশ হারে সুকুক শেয়ারে রূপান্তর হবে। এ রূপান্তরের মূল্য হবে রেকর্ড তারিখের আগের ২০ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেক্সিমকোর শেয়ারের গড় মূল্যের ৭৫ শতাংশ। যদি কোনো বিনিয়োগকারী সুকুককে শেয়ারে রূপান্তর করতে না চান, তাহলে পাঁচ বছরে ওই সুকুকের অবসায়ন হবে।

এর আগে এ বছরের এপ্রিলে বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক ইস্যুর পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। এছাড়া সম্প্রতি বেক্সিমকো লিমিটেড একই গ্রুপের বিদ্যুৎ কোম্পানি বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেডের (বেক্সপাওয়ার) সাড়ে তিন কোটি শেয়ার কিনেছে। ১০ টাকা ফেস ভ্যালুতে ৩৫ কোটি টাকায় বেক্সিমকো হোল্ডিংসের কাছ থেকে এ শেয়ার কিনেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেডের ৮০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে এ বেক্সপাওয়ারের কাছে। সাড়ে তিন কোটি শেয়ার কেনার পর বেক্সপাওয়ারে বেক্সিমকো লিমিটেডের মোট শেয়ার সংখ্যা সাড়ে সাত কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ফলে বেক্সপাওয়ারে কোম্পানিটির মালিকানা ৪০ থেকে বেড়ে ৭৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বেক্সপাওয়ারের বাকি ২৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে এএসএফ রহমান, সালমান এফ রহমান, নাজমুল হাসান এবং ও কে চৌধুরীর হাতে।

বিএসইসির সম্মতির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানিয়েছেন, খুব ভালো একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশের বন্ড মার্কেটে একটা নতুন ইনস্ট্রুমেন্ট এল। এতদিন আমাদের পুঁজিবাজার শুধু ইকুইটিভিত্তিক ছিল, এখন নতুন নতুন ইনস্ট্রুমেন্ট এসে আমাদের বন্ড মার্কেট আরো উন্নত হলো।

সুকুকটির ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ লিমিটেড (আইসিবি)। ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড ও অগ্রণী ইকুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

দেশের বেসরকারি খাতে এত বড় বন্ড ইস্যুর ঘটনা এটিই প্রথম। এছাড়া সবচেয়ে বড় সুকুকও এটি। এর মাধ্যমে দেশের বন্ড মার্কেট আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল। প্রসঙ্গত, তিস্তা সোলার লিমিটেড গাইবান্ধায় ২০০ মেগাওয়াট ও করতোয়া সোলার লিমিটেড পঞ্চগড়ে ৩০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্দেশ্যে এরই মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে বাস্তবায়ন চুক্তি (আইএ) করেছে। চীনা কারিগরি অংশীদারের কাছে সোলার কোম্পানি দুটির বাকি ২০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

দেশে বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় বন্ডের অনুমোদন

আপডেট: ১০:৫২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বন্ড মার্কেট অনেকটাই প্রান্তিক অবস্থানে ছিল। দাতা সংস্থা ও অংশীজনেরা বরাবরই খাতটির উন্নয়নে সরকারকে তাগাদা দিয়ে আসছিল। গত বছরের মে মাসে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্বে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আসার পর বন্ড মার্কেটের উন্নয়নের বিষয়টিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেন। আইনি কাঠামো তৈরির পাশাপাশি করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ড অনুমোদন কার্যক্রমে গতি আসে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল দেশের ইতিহাসে বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বড় বন্ডের অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। এটি দেশের প্রথম গ্রিন সুকুক বা শরিয়াহভিত্তিক বন্ড।

গতকাল বিএসইসির চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৭৭৯তম কমিশন সভায় বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩ হাজার কোটি টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি সিকিউরড, রূপান্তর কিংবা অবসায়নযোগ্য সম্পদভিত্তিক গ্রিন সুকুকের প্রস্তাবে কতিপয় শর্তসাপেক্ষে সম্মতি দেয়া হয়েছে। বেক্সিমকো লিমিটেডকে অভিপ্রায়পত্র (লেটার অব ইনটেন্ট) পাওয়ার পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে সুকুকের প্রস্তাবিত ট্রাস্টির নিবন্ধন সনদ ও কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ট্রাস্ট ডিডসহ চূড়ান্ত সাবস্ক্রিপশন চুক্তি জমা দেয়া সাপেক্ষে সম্মতিপত্র ইস্যু করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। দেশে প্রথমবারের মতো কমিশন কর্তৃক গ্রিন সুকুকের সম্মতি প্রদানের ঘটনা এটি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রস্তাবিত গ্রিন সুকুকটি প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৭৫০ কোটি টাকা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে আর ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের বাইরে অন্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া ৭৫০ কোটি টাকা আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।

ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক এ সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত ৩ হাজার কোটি টাকা তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেডের সৌর প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বেক্সিমকো লিমিটেড। এছাড়া বেক্সিমকোর টেক্সটাইল ডিভিশনের ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা এবং পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে এ অর্থ ব্যবহার করা হবে।

বেক্সিমকোর এ সুকুকের অভিহিত মূল্য হবে ১০০ টাকা, একজন বিনিয়োগকারীকে ন্যূনতম ৫০টি সুকুক কিনতে হবে। এক্ষেত্রে ন্যূনতম সাবস্ক্রিপশন ফি ৫ হাজার টাকা। সুকুক থেকে কমপক্ষে ৯ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যাবে। এছাড়া বেক্সিমকো লিমিটেডের লভ্যাংশ ৯ শতাংশের বেশি হলে তার ১০ শতাংশ সুকুকের মুনাফার সঙ্গে যুক্ত হবে। এ সুকুক শেয়ারে রূপান্তরযোগ্য, বিনিয়োগকারী চাইলে সুকুককে শেয়ারে রূপান্তর করতে পারবেন। প্রতি বছর ২০ শতাংশ হারে সুকুক শেয়ারে রূপান্তর হবে। এ রূপান্তরের মূল্য হবে রেকর্ড তারিখের আগের ২০ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেক্সিমকোর শেয়ারের গড় মূল্যের ৭৫ শতাংশ। যদি কোনো বিনিয়োগকারী সুকুককে শেয়ারে রূপান্তর করতে না চান, তাহলে পাঁচ বছরে ওই সুকুকের অবসায়ন হবে।

এর আগে এ বছরের এপ্রিলে বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক ইস্যুর পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। এছাড়া সম্প্রতি বেক্সিমকো লিমিটেড একই গ্রুপের বিদ্যুৎ কোম্পানি বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেডের (বেক্সপাওয়ার) সাড়ে তিন কোটি শেয়ার কিনেছে। ১০ টাকা ফেস ভ্যালুতে ৩৫ কোটি টাকায় বেক্সিমকো হোল্ডিংসের কাছ থেকে এ শেয়ার কিনেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেডের ৮০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে এ বেক্সপাওয়ারের কাছে। সাড়ে তিন কোটি শেয়ার কেনার পর বেক্সপাওয়ারে বেক্সিমকো লিমিটেডের মোট শেয়ার সংখ্যা সাড়ে সাত কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ফলে বেক্সপাওয়ারে কোম্পানিটির মালিকানা ৪০ থেকে বেড়ে ৭৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বেক্সপাওয়ারের বাকি ২৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে এএসএফ রহমান, সালমান এফ রহমান, নাজমুল হাসান এবং ও কে চৌধুরীর হাতে।

বিএসইসির সম্মতির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানিয়েছেন, খুব ভালো একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশের বন্ড মার্কেটে একটা নতুন ইনস্ট্রুমেন্ট এল। এতদিন আমাদের পুঁজিবাজার শুধু ইকুইটিভিত্তিক ছিল, এখন নতুন নতুন ইনস্ট্রুমেন্ট এসে আমাদের বন্ড মার্কেট আরো উন্নত হলো।

সুকুকটির ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ লিমিটেড (আইসিবি)। ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড ও অগ্রণী ইকুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

দেশের বেসরকারি খাতে এত বড় বন্ড ইস্যুর ঘটনা এটিই প্রথম। এছাড়া সবচেয়ে বড় সুকুকও এটি। এর মাধ্যমে দেশের বন্ড মার্কেট আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল। প্রসঙ্গত, তিস্তা সোলার লিমিটেড গাইবান্ধায় ২০০ মেগাওয়াট ও করতোয়া সোলার লিমিটেড পঞ্চগড়ে ৩০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্দেশ্যে এরই মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে বাস্তবায়ন চুক্তি (আইএ) করেছে। চীনা কারিগরি অংশীদারের কাছে সোলার কোম্পানি দুটির বাকি ২০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: