০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

‘জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান ২০ শতাংশ’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১
  • / ৪২৪৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বর্তমানে জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। যা পাশ্ববর্তী‍ দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। কমিশন ২০২৪ সালের মধ্যে এটিকে ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে চায়। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. আব্দুল হালিম।

বুধবার (২৩ জুন) ডিএসই ট্রেনিং একাডেমিতে সাত দিন ব্যাপি এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ দর্শনের সাথে সঙ্গতি রেখে তালিকাভুক্ত কোম্পানীসমূহের সিকিউরিটিজ আইনের বিভিন্ন কমপ্লায়েন্সের স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরই লক্ষ্যে সমন্বিত অনলাইন ডেটা সংগ্রহ, যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত জমা, মূল্যসংবেদনশীল তথ্য এবং আর্থিক হিসাব সরাসরি প্রদানে জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরী করেছে। এই সফটওয়্যারটি ডিএসই’র নিজস্ব কর্মী দিয়ে তৈরী করা হয়।

এই সফটওয়্যারের প্রাসঙ্গিক আইনগুলোর মৌলিক কার্যকারিতা তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রতিনিধিদের কাছে সহজ করার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড গত ৯ থেকে বুধবার (২৩ জুন) পর্যন্ত ডিএসই ট্রেনিং একাডেমিতে ‘ডিজিটাল সাবমিশন অ্যান্ড ডেসিমিনেশন প্লাটফর্ম অব ডিএসই শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি মোট সাত দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান।

সমাপনী দিনে উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বিএসইসি’র কমিশনার মো. আব্দুল হালিম বলেন, কর্মক্ষেত্রের বিষয়গুলো বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। একটি সময় সব ধরনের কাজ ম্যানুয়াল ছিল। বর্তমান যা ভাবাই যায় না। প্রযুক্তির ক্রমবিকাশ আমাদের কর্মকাণ্ডকে সহজ করেছে। এই সফটওয়্যারও আমাদের কাজকে স্বচ্ছ ও কার্যকরী করে দিবে।

বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ডিএসই’র ডিজিটাল সাবমিশন অ্যান্ড ডেসিমিশন প্লাটফর্ম একটি স্বপ্ন ছিল। আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ডিএসই’র দক্ষ কর্মী বাহিনী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ডেটা ইনপুট ও সাবমিশন অতি সহজে ও কম সময়ে করা যাবে। আর এর ফলে পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা বৃদ্ধি পাবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনুষ্ঠানে প্রারম্ভিক বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ও ঢীম লিডার মো. জিয়াউল করিম এবং ধন্যবাদ বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ইনচার্জ) আবদুল মতিন পাটওয়ারী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র মহাব্যবস্থাপক মো. ছামিউল ইসলাম, উপ-মহাব্যবস্থাপক ও সিআরও (চলতি দায়িত্ব) মো. আব্দুল লতিফ এবং সিনিয়র ম্যানেজার মুহাম্মদ রনি ইসলাম।

এছাড়া প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিষয়ে আলোচনা করেন মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক, বিএসইসি; সাইয়িদ মাহমুদ জুবায়ের, উপ-মহাব্যবস্থাপক, মার্কেট অপারেশন; মো. রবিউল ইসলাম, সিনিয়র ম্যানেজার, লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এবং নাজমুস সাকিব, সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট, ডিএসই।

উল্লেখ্য, ডিএসইর আইসিটি বিভাগ নিজস্ব উদ্যোগে ২০১৯ সালে অক্টোবর মাসে এই সফটওয়্যারের নির্মাণ কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে করোনার কারণে মঙ্গলবার (২২ জুন) বিএসইসি এক নির্দেশনার পর সফটওয়্যারটির নির্মাণ আরও গতি পায় । পরবর্তীতে ডিএসই’র প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মো. জিয়াউল করিম এর নেতৃত্বে মার্কেট অপারেশন ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাইয়িদ মাহমুদ জুবায়ের, লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার মো. রবিউল ইসলাম ও ডিএসই’র সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট নাজমুস সাকিব অক্লান্ত পরিশ্রম করে সফটওয়্যারটির প্রাথমিক কাজ সম্পূর্ণ করেন। এই সফটওয়্যারটি ডিএসই’র নিজস্ব কর্মী দিয়ে তৈরী করার ফলে ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী যেকোন সময়ে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা যাবে।

এ সফটওয়্যারটি নিজস্বভাবে তৈরী করার ফলে সফটওয়্যার ক্রয়, রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ অর্থ ও সময় সাশ্রয় হয়। একইসাথে দেশে এবং বিদেশের স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে এ সফটওয়্যারটি বিক্রয় করে অর্থ আয় করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

‘জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান ২০ শতাংশ’

আপডেট: ০৮:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বর্তমানে জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। যা পাশ্ববর্তী‍ দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। কমিশন ২০২৪ সালের মধ্যে এটিকে ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে চায়। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. আব্দুল হালিম।

বুধবার (২৩ জুন) ডিএসই ট্রেনিং একাডেমিতে সাত দিন ব্যাপি এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ দর্শনের সাথে সঙ্গতি রেখে তালিকাভুক্ত কোম্পানীসমূহের সিকিউরিটিজ আইনের বিভিন্ন কমপ্লায়েন্সের স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরই লক্ষ্যে সমন্বিত অনলাইন ডেটা সংগ্রহ, যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত জমা, মূল্যসংবেদনশীল তথ্য এবং আর্থিক হিসাব সরাসরি প্রদানে জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরী করেছে। এই সফটওয়্যারটি ডিএসই’র নিজস্ব কর্মী দিয়ে তৈরী করা হয়।

এই সফটওয়্যারের প্রাসঙ্গিক আইনগুলোর মৌলিক কার্যকারিতা তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রতিনিধিদের কাছে সহজ করার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড গত ৯ থেকে বুধবার (২৩ জুন) পর্যন্ত ডিএসই ট্রেনিং একাডেমিতে ‘ডিজিটাল সাবমিশন অ্যান্ড ডেসিমিনেশন প্লাটফর্ম অব ডিএসই শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি মোট সাত দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান।

সমাপনী দিনে উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বিএসইসি’র কমিশনার মো. আব্দুল হালিম বলেন, কর্মক্ষেত্রের বিষয়গুলো বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। একটি সময় সব ধরনের কাজ ম্যানুয়াল ছিল। বর্তমান যা ভাবাই যায় না। প্রযুক্তির ক্রমবিকাশ আমাদের কর্মকাণ্ডকে সহজ করেছে। এই সফটওয়্যারও আমাদের কাজকে স্বচ্ছ ও কার্যকরী করে দিবে।

বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ডিএসই’র ডিজিটাল সাবমিশন অ্যান্ড ডেসিমিশন প্লাটফর্ম একটি স্বপ্ন ছিল। আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ডিএসই’র দক্ষ কর্মী বাহিনী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ডেটা ইনপুট ও সাবমিশন অতি সহজে ও কম সময়ে করা যাবে। আর এর ফলে পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা বৃদ্ধি পাবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনুষ্ঠানে প্রারম্ভিক বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ও ঢীম লিডার মো. জিয়াউল করিম এবং ধন্যবাদ বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ইনচার্জ) আবদুল মতিন পাটওয়ারী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র মহাব্যবস্থাপক মো. ছামিউল ইসলাম, উপ-মহাব্যবস্থাপক ও সিআরও (চলতি দায়িত্ব) মো. আব্দুল লতিফ এবং সিনিয়র ম্যানেজার মুহাম্মদ রনি ইসলাম।

এছাড়া প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিষয়ে আলোচনা করেন মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক, বিএসইসি; সাইয়িদ মাহমুদ জুবায়ের, উপ-মহাব্যবস্থাপক, মার্কেট অপারেশন; মো. রবিউল ইসলাম, সিনিয়র ম্যানেজার, লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এবং নাজমুস সাকিব, সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট, ডিএসই।

উল্লেখ্য, ডিএসইর আইসিটি বিভাগ নিজস্ব উদ্যোগে ২০১৯ সালে অক্টোবর মাসে এই সফটওয়্যারের নির্মাণ কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে করোনার কারণে মঙ্গলবার (২২ জুন) বিএসইসি এক নির্দেশনার পর সফটওয়্যারটির নির্মাণ আরও গতি পায় । পরবর্তীতে ডিএসই’র প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মো. জিয়াউল করিম এর নেতৃত্বে মার্কেট অপারেশন ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাইয়িদ মাহমুদ জুবায়ের, লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার মো. রবিউল ইসলাম ও ডিএসই’র সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট নাজমুস সাকিব অক্লান্ত পরিশ্রম করে সফটওয়্যারটির প্রাথমিক কাজ সম্পূর্ণ করেন। এই সফটওয়্যারটি ডিএসই’র নিজস্ব কর্মী দিয়ে তৈরী করার ফলে ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী যেকোন সময়ে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা যাবে।

এ সফটওয়্যারটি নিজস্বভাবে তৈরী করার ফলে সফটওয়্যার ক্রয়, রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ অর্থ ও সময় সাশ্রয় হয়। একইসাথে দেশে এবং বিদেশের স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে এ সফটওয়্যারটি বিক্রয় করে অর্থ আয় করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: