০৩:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পর্যালোচনা সভায় ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধের প্রস্তাব!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৪১৪৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ডিজিটাল কমার্স (ই-কমার্স) ব্যবসায় সাম্প্রতিক সমস্যা নিয়ে পর্যালোচনা সভায় বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সভায় ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধের প্রস্তাব এসেছিল!

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে এ সভা শেষ হয় ৫টা ৫০ মিনিটে। সভা শেষে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে পর্যালোচনা সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সচিব বলেন, আজকের বৈঠকে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কেউ কেউ ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ই-কমার্স বন্ধ করা যাবে না। ১০টি বা ১৫টি খারাপ কোম্পানির জন্য সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া… কারণ ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে লাখ লাখ উদ্যোক্তা এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের জীবিকা খুঁজে পেয়েছেন। সেটি বন্ধ করা ঠিক হবে না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ই-কমার্স পরিচালনার জন্য পর্যালোচনা সভা থেকে বেশ কয়েকটি সুপারিশ এসেছে বলেও জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ জানান, ই-কমার্স ব্যবসাকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখার জন্য ই-কমার্স রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হবে। ই-কমার্স পরিচালনার জন্য কোন আইন নেই, নীতিমালার আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। সুতরাং একটি ডিজিটাল কমার্স আইন করতে হবে।

তিনি বলেন, আরকটি বিষয় এসেছে, যে অভিযোগ আসছে, সেগুলো ভোক্তা অধিকার, প্রতিযোগিতা কমিশনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্নভাবে মোকাবিলা করছেন। কিন্তু সব অভিযোগ মনিটরিংয়ের জন্য কোনো সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এখনও আমরা করতে পারিনি, এটা করতে হবে। যাতে কমপ্লেইনগুলো মনিটরিং করা যায় এবং মামলা-মোকদ্দমার আগেই সেগুলোর ফয়সালা করা যায়।

যারা ইতোমধ্যে অপরাধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। সচিব বলেন, আইনের ক্ষেত্রে কোনো কোনো সদস্য বলেছেন কিছু সমস্যা আছে। যেমন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং এন্টি মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, এই দুটি আইনের অধীনে যেন ডিজিটাল প্রতারণা হলে বিচার করা যায়, সেজন্য আইনের সামান্য সংশোধন করতে হবে।

‘এ বিষয়ে একমত হওয়া গেছে যে এটি করতে হবে। আর সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকেই নিবন্ধন নিতে হবে, একটি ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকবে। নিবন্ধন ছাড়া কোনো ব্যবসা করা যাবে না। এগুলোই মোটাদাগে আলোচনা হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো নিয়ে কাল থেকেই আমরা কাজ শুরু করব।’

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

ডেঙ্গু: আরও ২২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি

`পুঁজিবাজার উন্নয়েনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে কমিশন’

দুই কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা

ইভ্যালির সম্পদ বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা

করোনায় একদিনে বেড়েছে মৃত্যু, কমেছে শনাক্ত

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

পর্যালোচনা সভায় ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধের প্রস্তাব!

আপডেট: ০৭:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ডিজিটাল কমার্স (ই-কমার্স) ব্যবসায় সাম্প্রতিক সমস্যা নিয়ে পর্যালোচনা সভায় বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সভায় ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধের প্রস্তাব এসেছিল!

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে এ সভা শেষ হয় ৫টা ৫০ মিনিটে। সভা শেষে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে পর্যালোচনা সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সচিব বলেন, আজকের বৈঠকে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কেউ কেউ ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ই-কমার্স বন্ধ করা যাবে না। ১০টি বা ১৫টি খারাপ কোম্পানির জন্য সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া… কারণ ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে লাখ লাখ উদ্যোক্তা এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের জীবিকা খুঁজে পেয়েছেন। সেটি বন্ধ করা ঠিক হবে না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ই-কমার্স পরিচালনার জন্য পর্যালোচনা সভা থেকে বেশ কয়েকটি সুপারিশ এসেছে বলেও জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ জানান, ই-কমার্স ব্যবসাকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখার জন্য ই-কমার্স রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হবে। ই-কমার্স পরিচালনার জন্য কোন আইন নেই, নীতিমালার আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। সুতরাং একটি ডিজিটাল কমার্স আইন করতে হবে।

তিনি বলেন, আরকটি বিষয় এসেছে, যে অভিযোগ আসছে, সেগুলো ভোক্তা অধিকার, প্রতিযোগিতা কমিশনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্নভাবে মোকাবিলা করছেন। কিন্তু সব অভিযোগ মনিটরিংয়ের জন্য কোনো সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এখনও আমরা করতে পারিনি, এটা করতে হবে। যাতে কমপ্লেইনগুলো মনিটরিং করা যায় এবং মামলা-মোকদ্দমার আগেই সেগুলোর ফয়সালা করা যায়।

যারা ইতোমধ্যে অপরাধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। সচিব বলেন, আইনের ক্ষেত্রে কোনো কোনো সদস্য বলেছেন কিছু সমস্যা আছে। যেমন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং এন্টি মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, এই দুটি আইনের অধীনে যেন ডিজিটাল প্রতারণা হলে বিচার করা যায়, সেজন্য আইনের সামান্য সংশোধন করতে হবে।

‘এ বিষয়ে একমত হওয়া গেছে যে এটি করতে হবে। আর সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকেই নিবন্ধন নিতে হবে, একটি ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকবে। নিবন্ধন ছাড়া কোনো ব্যবসা করা যাবে না। এগুলোই মোটাদাগে আলোচনা হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো নিয়ে কাল থেকেই আমরা কাজ শুরু করব।’

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

ডেঙ্গু: আরও ২২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি

`পুঁজিবাজার উন্নয়েনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে কমিশন’

দুই কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা

ইভ্যালির সম্পদ বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা

করোনায় একদিনে বেড়েছে মৃত্যু, কমেছে শনাক্ত