০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

পশুর হাট ‘বয়কটের’ পরামর্শ কারিগরি কমিটির

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:০৪:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১
  • / ৪১৪৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আসন্ন ঈদুল আজহায় দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কোরবানির পশুর হাট বয়কটের পরামর্শ দিয়েছে সরকারের কোভিড বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তাদের আশঙ্কা, ঈদে গরুর হাটকে কেন্দ্র করে দেশের করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যেতে পারে। রেকর্ড ছাড়াতে পারে সংক্রমণ। তাই ঝুঁকি এড়াতে হাট থেকে পশু না কিনে অনলাইনে কেনার পরামর্শ তাদের।

এদিকে, ঢাকার দক্ষিণ এবং উত্তর দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন জায়গায় ১৭ জুলাই থেকে ১৮টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০টি এবং উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৮টি হাট বসবে। দুই সিটি করপোরেশনেই ১৭ জুলাই থেকে ২১ জুলাই অর্থাৎ ঈদের দিন পর্যন্ত হাট চলবে।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশের সংক্রমণ যেহেতু এখনও ঊর্ধ্বমুখী, আর প্রতিদিনই যখন আমাদের সর্বোচ্চ সংক্রমণ এবং মৃত্যু হচ্ছে, এই অবস্থায় কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা এবং পশুর হাট বসানো সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের আপত্তি সত্ত্বেও যেহেতু হাট বসানো হচ্ছে এবং পশুর হাট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা মনে করি এটি সংক্রমণের বড় একটি মাধ্যম হবে। হাটের ব্যাপারে আমরা শুরুতেই মানা করেছিলাম, আর যদি দেয় তাহলেও বলেছিলাম সেটা যেন সুস্থ একটা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হয়। কিন্তু বিভিন্ন জেলায় শুরু হওয়া হাটগুলোর অবস্থা দেখে ঢাকায়ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা কতটুকু হয় এটা নিয়ে আমাদের সংশয় রয়েছে।’

মোহাম্মদ সহিদুল্লা আরও বলেন, পশুর হাটের ব্যাপারে একটি ব্যবস্থাপনা আমরা সরকারকে দিয়েছি। হয়তো আমরা শতভাগ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না, তবুও কী কী বিষয় মেনে চললে হয়তো কিছুটা কমানো যাবে, এগুলো আমাদের নির্দেশনায় সরকারকে বলেছি।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

হাট কমানোয় যেহেতু সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি, সেক্ষেত্রে হাট বাড়ানোর কোনো প্রস্তাব দেবেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হাট কমালেও যেমন সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি, তেমনি বাড়ালেও বেশি। চাইছি এর থেকে বিকল্প কিছু নিয়ে ভাবতে। গত বছর আপনারা জানেন প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ অনলাইনে কোরবানির পশু কিনেছে। এটা যদি এই বছর বাড়িয়ে ৪০ শতাংশের মধ্যে বা তার ওপরে নিয়ে যাওয়া যায়, তাহলে কিন্তু আমরা একদিক থেকে রেহাই পেলাম।’

আমাদের মিডিয়াগুলোর এখন ভূমিকা রাখা উচিত। পত্র-পত্রিকায় লেখা উচিত যে, এবার যদি পশু কিনতে হয়, তাহলে আমরা যেন অনলাইনেই কিনি। কোভিড পরামর্শক কমিটিও এটি যথাযথ মনে করে, যোগ করেন এই বিশেষজ্ঞ।

টেকনিক্যাল কমিটির কোনো পরামর্শ সরকার কানে নেয়নি উল্লেখ করে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির আরেক সদস্য জ্যেষ্ঠ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘পশুর হাট নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটির পক্ষ থেকে সরকারকে এক ডজন পরামর্শ দেওয়া আছে। কিন্তু টেকনিক্যাল কমিটি যা বলেছে, তার ঠিক উল্টোটা সরকার করেছে। এখানে আমাদের তো আর কিছুই বলার নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি পশুর হাটকে কেন্দ্র করে করোনা বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর জন্য এনজিওগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সরকার অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছে। লিফলেট, পোস্টার, অ্যানিমেটেড ভিডিও তৈরি করেছে। কিন্তু এগুলো কোনো কাজে আসবে না। কে দেখবে এসব বলেন? কেউ দেখবে না। এগুলো নিরর্থক হবে।’

আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘পশুর হাট কমিয়ে দিয়ে কিছু হবে না। বরং একেবারে হাট বন্ধ করে দিতে হবে। কোনো একটা জেলায় আমি শুনেছি কোরবানির পশুর একটি হাটও সে জেলায় বসতে দেওয়া হবে না, আমি মনে করি সেটাই ঠিক আছে। কিন্তু আগে একটা জায়গায় ২০টি পশুর হাট বসতো, সেখানে ৩টি হাট কমিয়ে দিয়ে ১৭টি করা হয়েছে, এর কোনো মানে হয় না। এখন তো বাদ দেওয়া তিনটি হাটের মানুষ ১৭টি হাটে এসে ভিড় জমাবে। এভাবে সংক্রমণ কমবে নাকি বাড়বে?’

তিনি আরও বলেন, ‘হাটগুলো বন্ধ করে দিলে এমনিতেই মানুষ অনলাইনে পশু কিনে নিত। আর মহামারির কারণে গরু কোরবানি যদি এবছর করতে না পারে, তাহলে তো আমাদের ইসলাম ধর্ম চলে যাবে না। এবার করোনার কারণে যে আমরা হজ করতে পারলাম না, তাহলে কি আমরা বিধর্মী হয়ে যাব? তাহলে সংক্রমণ থেকে রক্ষায় যদি আমরা কোরবানি না দিতে পারি, তাহলেও কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।’

এদিকে, গত সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার সারা দেশে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। খামারি ও ক্রেতাসাধারণকে কোরবানির পশু অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হচ্ছে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যে উত্তর সিটি এবারও ডিজিটাল পশুর হাট চালু রেখেছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হাট বসানো হলেও অনলাইন হাটকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।

সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে, ১৭ থেকে ২১ জুলাই (ঈদের দিন) পর্যন্ত নগরীর ১৯টি অস্থায়ী হাটে পশু বিক্রি করা যাবে। এর বাইরে উত্তর সিটি এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাট এবং দক্ষিণ সিটি এলাকায় সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটেও কোরবানির পশু বেচাকেনা চলবে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x

পশুর হাট ‘বয়কটের’ পরামর্শ কারিগরি কমিটির

আপডেট: ০৪:০৪:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আসন্ন ঈদুল আজহায় দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কোরবানির পশুর হাট বয়কটের পরামর্শ দিয়েছে সরকারের কোভিড বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তাদের আশঙ্কা, ঈদে গরুর হাটকে কেন্দ্র করে দেশের করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যেতে পারে। রেকর্ড ছাড়াতে পারে সংক্রমণ। তাই ঝুঁকি এড়াতে হাট থেকে পশু না কিনে অনলাইনে কেনার পরামর্শ তাদের।

এদিকে, ঢাকার দক্ষিণ এবং উত্তর দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন জায়গায় ১৭ জুলাই থেকে ১৮টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০টি এবং উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৮টি হাট বসবে। দুই সিটি করপোরেশনেই ১৭ জুলাই থেকে ২১ জুলাই অর্থাৎ ঈদের দিন পর্যন্ত হাট চলবে।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশের সংক্রমণ যেহেতু এখনও ঊর্ধ্বমুখী, আর প্রতিদিনই যখন আমাদের সর্বোচ্চ সংক্রমণ এবং মৃত্যু হচ্ছে, এই অবস্থায় কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা এবং পশুর হাট বসানো সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের আপত্তি সত্ত্বেও যেহেতু হাট বসানো হচ্ছে এবং পশুর হাট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা মনে করি এটি সংক্রমণের বড় একটি মাধ্যম হবে। হাটের ব্যাপারে আমরা শুরুতেই মানা করেছিলাম, আর যদি দেয় তাহলেও বলেছিলাম সেটা যেন সুস্থ একটা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হয়। কিন্তু বিভিন্ন জেলায় শুরু হওয়া হাটগুলোর অবস্থা দেখে ঢাকায়ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা কতটুকু হয় এটা নিয়ে আমাদের সংশয় রয়েছে।’

মোহাম্মদ সহিদুল্লা আরও বলেন, পশুর হাটের ব্যাপারে একটি ব্যবস্থাপনা আমরা সরকারকে দিয়েছি। হয়তো আমরা শতভাগ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না, তবুও কী কী বিষয় মেনে চললে হয়তো কিছুটা কমানো যাবে, এগুলো আমাদের নির্দেশনায় সরকারকে বলেছি।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

হাট কমানোয় যেহেতু সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি, সেক্ষেত্রে হাট বাড়ানোর কোনো প্রস্তাব দেবেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হাট কমালেও যেমন সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি, তেমনি বাড়ালেও বেশি। চাইছি এর থেকে বিকল্প কিছু নিয়ে ভাবতে। গত বছর আপনারা জানেন প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ অনলাইনে কোরবানির পশু কিনেছে। এটা যদি এই বছর বাড়িয়ে ৪০ শতাংশের মধ্যে বা তার ওপরে নিয়ে যাওয়া যায়, তাহলে কিন্তু আমরা একদিক থেকে রেহাই পেলাম।’

আমাদের মিডিয়াগুলোর এখন ভূমিকা রাখা উচিত। পত্র-পত্রিকায় লেখা উচিত যে, এবার যদি পশু কিনতে হয়, তাহলে আমরা যেন অনলাইনেই কিনি। কোভিড পরামর্শক কমিটিও এটি যথাযথ মনে করে, যোগ করেন এই বিশেষজ্ঞ।

টেকনিক্যাল কমিটির কোনো পরামর্শ সরকার কানে নেয়নি উল্লেখ করে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির আরেক সদস্য জ্যেষ্ঠ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘পশুর হাট নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটির পক্ষ থেকে সরকারকে এক ডজন পরামর্শ দেওয়া আছে। কিন্তু টেকনিক্যাল কমিটি যা বলেছে, তার ঠিক উল্টোটা সরকার করেছে। এখানে আমাদের তো আর কিছুই বলার নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি পশুর হাটকে কেন্দ্র করে করোনা বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর জন্য এনজিওগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সরকার অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছে। লিফলেট, পোস্টার, অ্যানিমেটেড ভিডিও তৈরি করেছে। কিন্তু এগুলো কোনো কাজে আসবে না। কে দেখবে এসব বলেন? কেউ দেখবে না। এগুলো নিরর্থক হবে।’

আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘পশুর হাট কমিয়ে দিয়ে কিছু হবে না। বরং একেবারে হাট বন্ধ করে দিতে হবে। কোনো একটা জেলায় আমি শুনেছি কোরবানির পশুর একটি হাটও সে জেলায় বসতে দেওয়া হবে না, আমি মনে করি সেটাই ঠিক আছে। কিন্তু আগে একটা জায়গায় ২০টি পশুর হাট বসতো, সেখানে ৩টি হাট কমিয়ে দিয়ে ১৭টি করা হয়েছে, এর কোনো মানে হয় না। এখন তো বাদ দেওয়া তিনটি হাটের মানুষ ১৭টি হাটে এসে ভিড় জমাবে। এভাবে সংক্রমণ কমবে নাকি বাড়বে?’

তিনি আরও বলেন, ‘হাটগুলো বন্ধ করে দিলে এমনিতেই মানুষ অনলাইনে পশু কিনে নিত। আর মহামারির কারণে গরু কোরবানি যদি এবছর করতে না পারে, তাহলে তো আমাদের ইসলাম ধর্ম চলে যাবে না। এবার করোনার কারণে যে আমরা হজ করতে পারলাম না, তাহলে কি আমরা বিধর্মী হয়ে যাব? তাহলে সংক্রমণ থেকে রক্ষায় যদি আমরা কোরবানি না দিতে পারি, তাহলেও কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।’

এদিকে, গত সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার সারা দেশে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। খামারি ও ক্রেতাসাধারণকে কোরবানির পশু অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হচ্ছে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যে উত্তর সিটি এবারও ডিজিটাল পশুর হাট চালু রেখেছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হাট বসানো হলেও অনলাইন হাটকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।

সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে, ১৭ থেকে ২১ জুলাই (ঈদের দিন) পর্যন্ত নগরীর ১৯টি অস্থায়ী হাটে পশু বিক্রি করা যাবে। এর বাইরে উত্তর সিটি এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাট এবং দক্ষিণ সিটি এলাকায় সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটেও কোরবানির পশু বেচাকেনা চলবে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: