০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

পাঁচ মাসে কৃষি ঋণ বিতরণ ১৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৩৫ বার দেখা হয়েছে

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ১৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। যা এ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৪৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ পূরন করেছে ব্যাংকগুলো। এবার কৃষি খাতে ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্র ঠিক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা এর আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত বিতরণ করা মোট কৃষি ঋণের স্থিতি ৫৪ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা বকেয়া। সার্বিকভাবে কৃষি খাতে ঋণ খেলাপির হার ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় তিন হাজার ৮৭৮ কোটি।

এদিকে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ১৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। শস্য, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি উৎপাদন খাতে বেশ ঋণ নিয়েছেন কৃষকরা। আলোচিত সময় কৃষকের ঋণ পরিশোধও সন্তোষজনক। এসময় আগের নেওয়া ঋণ কৃষক ফেরত দিয়েছেন ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করেছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর কৃষি ঋণের লক্ষ্য ছিল ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: রিজার্ভ ভালো আছে, দেশের অর্থনীতি ভালো আছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

কম সুদে কৃষকদের হাতে ঋণ পৌঁছাতে এবার ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থার (এমএফআই) ওপর বেসরকারি ব্যাংকের নির্ভরশীলতা আরও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আর এ জন্য ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্তত ৫০ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা এতদিন ছিল ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া কৃষিঋণের কত অংশ কোন খাতে দিতে হবে, তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের জন্য প্রণীত কৃ‌ষি ঋণ নীতিমালায় বলা হয়, ভবনের ছাদে বিভিন্ন কৃষি কাজ করা একটি নতুন ধারণা। বর্তমানে শহরাঞ্চলে যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত বাড়ির ছাদে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ফুল, ফল ও শাক-সবজির যে বাগান গড়ে তোলা হয় তা ছাদবাগান হিসেবে পরিচিত।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

পাঁচ মাসে কৃষি ঋণ বিতরণ ১৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকা

আপডেট: ০৬:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ১৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। যা এ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৪৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ পূরন করেছে ব্যাংকগুলো। এবার কৃষি খাতে ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্র ঠিক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা এর আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত বিতরণ করা মোট কৃষি ঋণের স্থিতি ৫৪ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা বকেয়া। সার্বিকভাবে কৃষি খাতে ঋণ খেলাপির হার ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় তিন হাজার ৮৭৮ কোটি।

এদিকে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ১৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। শস্য, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি উৎপাদন খাতে বেশ ঋণ নিয়েছেন কৃষকরা। আলোচিত সময় কৃষকের ঋণ পরিশোধও সন্তোষজনক। এসময় আগের নেওয়া ঋণ কৃষক ফেরত দিয়েছেন ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করেছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর কৃষি ঋণের লক্ষ্য ছিল ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: রিজার্ভ ভালো আছে, দেশের অর্থনীতি ভালো আছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

কম সুদে কৃষকদের হাতে ঋণ পৌঁছাতে এবার ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থার (এমএফআই) ওপর বেসরকারি ব্যাংকের নির্ভরশীলতা আরও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আর এ জন্য ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্তত ৫০ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা এতদিন ছিল ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া কৃষিঋণের কত অংশ কোন খাতে দিতে হবে, তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের জন্য প্রণীত কৃ‌ষি ঋণ নীতিমালায় বলা হয়, ভবনের ছাদে বিভিন্ন কৃষি কাজ করা একটি নতুন ধারণা। বর্তমানে শহরাঞ্চলে যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত বাড়ির ছাদে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ফুল, ফল ও শাক-সবজির যে বাগান গড়ে তোলা হয় তা ছাদবাগান হিসেবে পরিচিত।

ঢাকা/এসএম