০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নেবে না সুদানের সেনাবাহিনী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
  • / ৪১৬৫ বার দেখা হয়েছে

যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার ইস্যুতে আলোচনায় অংশ নেবে না সুদানের সেনাবাহিনী। কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে বুধবার (৩১ মে) আল জাজিরা জানিয়েছে, এমন ঘোষণায় যুদ্ধ তীব্র হওয়ার শঙ্কা বাড়িয়েছে। গত দেড় মাসের বেশি সময় দুইপক্ষের প্রবল লড়াইয়ে সুদানের লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

যুদ্ধ বন্ধে মে মাসের শুরুতে সৌদি আরবের বন্দর নগরী জেদ্দায় আলোচনায় বসে সুদানের সশস্ত্র আরএসএফ ও সেনাবাহিনী। এতে মধ্যস্থতা করে সৌদি ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দফায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও তা লঙ্ঘন করে উভয়পক্ষ। গত সোমবার যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার আগমূহুর্তে চুক্তির মেয়াদ পাঁচ দিন বাড়াতে সম্মত হওয়ার মধ্যেই এই খবর এলো।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

মঙ্গলবারও রাজধানী খার্তুমে তীব্র সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। খার্তুম, ওমদুরমান এবং খার্তুম উত্তরের তিনটি শহরে উভয়পক্ষের তীব্র লড়াইয়ের খবর জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আল জাজিরার প্রতিনিধি মোহাম্মদ ভ্যাল জানান, ‘যুদ্ধবিরতির আলোচনা স্থগিতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হতে পারে। আরএসএফ প্রতিনিয়ত চুক্তি লঙ্ঘন করায় এমন যুদ্ধবিরতির কোনও অর্থ নেই। সেনাবাহিনীর কাছ থেকে আমরা আরও কিছু শুনতে পাবো। কেনও আলোচনা প্রত্যাহার করেছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি তারা।’

আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ড উপকূলে ৬.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেদ্দায় আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল সংঘাত বন্ধ এবং বেসামরিক নাগরিকদের চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানো। কিন্তু এখনও তা সম্ভব হয়নি। এখনও মানুষ রাজধানী খার্তুম ছাড়ছেন। অনেকে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। আরএসএফ বেসামরিক নাগরিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।

গত ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতার এই দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপে দেশটিতে কয়েক দফা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও দুই পক্ষের বিরুদ্ধে তা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। সুদানের সংকট নিরসনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি আফ্রিকার দেশটির জন্য ত্রাণ সহায়তা পাঠাচ্ছে সৌদি আরব। এখনও পর্যন্ত ১৪ লাখের মতো মানুষ সুদান ছেড়েছেন। এর মধ্যে ৩ লাখ ৫০ হাজার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নেবে না সুদানের সেনাবাহিনী

আপডেট: ০৬:৩৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার ইস্যুতে আলোচনায় অংশ নেবে না সুদানের সেনাবাহিনী। কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে বুধবার (৩১ মে) আল জাজিরা জানিয়েছে, এমন ঘোষণায় যুদ্ধ তীব্র হওয়ার শঙ্কা বাড়িয়েছে। গত দেড় মাসের বেশি সময় দুইপক্ষের প্রবল লড়াইয়ে সুদানের লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

যুদ্ধ বন্ধে মে মাসের শুরুতে সৌদি আরবের বন্দর নগরী জেদ্দায় আলোচনায় বসে সুদানের সশস্ত্র আরএসএফ ও সেনাবাহিনী। এতে মধ্যস্থতা করে সৌদি ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দফায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও তা লঙ্ঘন করে উভয়পক্ষ। গত সোমবার যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার আগমূহুর্তে চুক্তির মেয়াদ পাঁচ দিন বাড়াতে সম্মত হওয়ার মধ্যেই এই খবর এলো।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

মঙ্গলবারও রাজধানী খার্তুমে তীব্র সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। খার্তুম, ওমদুরমান এবং খার্তুম উত্তরের তিনটি শহরে উভয়পক্ষের তীব্র লড়াইয়ের খবর জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আল জাজিরার প্রতিনিধি মোহাম্মদ ভ্যাল জানান, ‘যুদ্ধবিরতির আলোচনা স্থগিতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হতে পারে। আরএসএফ প্রতিনিয়ত চুক্তি লঙ্ঘন করায় এমন যুদ্ধবিরতির কোনও অর্থ নেই। সেনাবাহিনীর কাছ থেকে আমরা আরও কিছু শুনতে পাবো। কেনও আলোচনা প্রত্যাহার করেছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি তারা।’

আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ড উপকূলে ৬.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেদ্দায় আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল সংঘাত বন্ধ এবং বেসামরিক নাগরিকদের চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানো। কিন্তু এখনও তা সম্ভব হয়নি। এখনও মানুষ রাজধানী খার্তুম ছাড়ছেন। অনেকে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। আরএসএফ বেসামরিক নাগরিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।

গত ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতার এই দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপে দেশটিতে কয়েক দফা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও দুই পক্ষের বিরুদ্ধে তা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। সুদানের সংকট নিরসনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি আফ্রিকার দেশটির জন্য ত্রাণ সহায়তা পাঠাচ্ছে সৌদি আরব। এখনও পর্যন্ত ১৪ লাখের মতো মানুষ সুদান ছেড়েছেন। এর মধ্যে ৩ লাখ ৫০ হাজার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।

ঢাকা/এসএ