রিজার্ভ কমে ২৩ বিলিয়ন ডলারে
- আপডেট: ০৬:৩৭:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩
- / ৪১৫৪ বার দেখা হয়েছে
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতি বাস্তবায়ন করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে বা ২ হাজার ৩৫৬ কোটি ডলারে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভের এই তথ্য প্রকাশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১২ জুলাই) শেষে মোট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (জিআইআর) দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগসহ প্রচলিত মূল্য ছিল ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (এনআইআর) তথ্য প্রকাশ করবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের ব্যালেন্স অফ পেমেন্টস এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল ৬ সংস্করণের সাথে সামঞ্জস্য রেখে গ্রস আন্তর্জাতিক রিজার্ভ সংকলন করেছে। যা বিপিএম-৬ নামেও পরিচিত।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার
মোট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (জিআইআর) বলতে বোঝায় একটি দেশের মোট ধারণকৃত বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ যা আন্তর্জাতিক লেনদেনে ব্যবহারের জন্য সহজলভ্য। তবে বাংলাদেশ এতোদিন জিআইআর মানত না। এতদিন রিজার্ভ থেকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) এর সরবরাহ করা সাত বিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার রিজার্ভে দেখাচ্ছিলো। এছাড়া গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি) এর আমানত রিজার্ভে দেখাচ্ছিলো।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ঋণ অনুমোদনের তিন দিনের মাথায় সংস্থাটি প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় দিয়েছিলো। এছাড়া ঋণের বাকি অর্থ পাওয়া যাবে তিন বছরে অর্থাৎ ছয়টি সমান কিস্তিতে ৩৬ মাসে। দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়া যাবে এ বছরের ডিসেম্বরে আর শেষ কিস্তি পাওয়া যাবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। এসব কিস্তির পরিমাণ ৭০ কোটি ৪০ লাখ ডলার করে। এই ঋণের অন্যতম একটি শর্ত ছিলো রিজার্ভের সঠিক তথ্য প্রকাশ করা।
ঢাকা/টিএ