১০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

স্টক ডিভিডেন্ড ইস্যুতে নীতিমালায় পরিবর্তন আনছে বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:১৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪২৬২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্টক ডিভিডেন্ড অনুমোদনের ক্ষেত্রে নীতিমালা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আগেই ঘোষিত স্টক ডিভিডেন্ড অনুমোদনের বিষয়ে জানিয়ে দেবে বিএসইসি। যদিও এর আগে বিএসইসি কর্তৃক স্টক ডিভিডেন্ড অনুমোদনের কোন সময়সীমা ছিল না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রচলিত নিয়মানুযায়ী পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের কি পরিমাণ ডিভিডেন্ড দিবে তা আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে ঘোষিত ডিভিডেন্ডের বিষয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানিয়ে দেন কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

আর এইনডিভিডেন্ড ঘোষণার ওপর ভিত্তি করেই বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, শেয়ারটি বিক্রি করবেন নাকি ধরে রাখবেন। ঘোষিত ডিভিডেন্ড মনঃপুত হলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটি রেকর্ড ডেট পর্যন্ত ধরে রাখেন। কারণ রেকর্ড ডেট পর্যন্ত যার পোর্টফোলিওতে ওই শেয়ার থাকবে, তিনিই ডিভিডেন্ডের দাবিদার হবেন।

রেকর্ড ডেটের পর শেয়ারহোল্ডারদের অংশগ্রহণে হয় বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম। সেখানেই ডিভিডেন্ড চূড়ান্ত হয়।

তবে কোম্পানিগুলোকে ডিভিডেন্ড প্রদানের ক্ষেত্রে ক্যাশ ডিভিডেন্ডে আগ্রহী করতে স্টক ডিভিডেন্ডের ক্ষেত্রে অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা জারি করে বিএসইসি। গত ৩ অক্টোবর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয় এবং ৬ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করা হয়।

কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। গত বছর এসএস স্টিল ও মেট্রো স্পিনিং মিলসের স্টক ডিভিডেন্ডের প্রস্তাব বিএসইসি বাতিল করে দেয়। কিন্তু তার আগেই রেকর্ড ডেটের পর দর সমন্বয় হয়ে যায়। এরপর বিএসইসির সিদ্ধান্তে আরও ক্ষতির মুখে পড়ে বিনিয়োগকারীরা।

আরও পড়ুন: ৭৫ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ

পরবর্তীতে দুটি রেকর্ড ডেট নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ক্যাশ ডিভিডেন্ডের বিষয়ে একটি এবং স্টক ডিভিডেন্ডের বিষয়ে আরেকটি রেকর্ড ডেট থাকে। কিন্তু গত বছর ৫ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা ইউনিয়ন ব্যাংকের এই ডিভিডেন্ড এখনও অনুমোদন করেনি বিএসইসি। পরিণতিতে স্টক ডিভিডেন্ডের বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা এখনও অন্ধকারে রয়েছেন, যদিও এজিএমে এই প্রস্তাব পাস হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ তালিকাভুক্ত তিন ব্যাংক: মোট ঘাটতি ২০ হাজার কোটি টাকা

জানত চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘যদি কোন কোম্পানি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করে তাহলে বার্ষিক সাধারণ সভার আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে বোনাস শেয়ারের অনুমোদন নিয়ে নিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের আগের নিয়ম ছিল, বার্ষিক সাধারণ সভায় লভ্যাংশ অনুমোদন হবে এরপর পরে বিএসইসি অনুমোদন দিতো। কিন্তু বিষয়টি কোম্পানি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ কোম্পানি আইন অনুযায়ী শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির সবকিছু।’

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x
English Version

স্টক ডিভিডেন্ড ইস্যুতে নীতিমালায় পরিবর্তন আনছে বিএসইসি

আপডেট: ১২:১৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্টক ডিভিডেন্ড অনুমোদনের ক্ষেত্রে নীতিমালা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আগেই ঘোষিত স্টক ডিভিডেন্ড অনুমোদনের বিষয়ে জানিয়ে দেবে বিএসইসি। যদিও এর আগে বিএসইসি কর্তৃক স্টক ডিভিডেন্ড অনুমোদনের কোন সময়সীমা ছিল না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রচলিত নিয়মানুযায়ী পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের কি পরিমাণ ডিভিডেন্ড দিবে তা আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে ঘোষিত ডিভিডেন্ডের বিষয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানিয়ে দেন কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

আর এইনডিভিডেন্ড ঘোষণার ওপর ভিত্তি করেই বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, শেয়ারটি বিক্রি করবেন নাকি ধরে রাখবেন। ঘোষিত ডিভিডেন্ড মনঃপুত হলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটি রেকর্ড ডেট পর্যন্ত ধরে রাখেন। কারণ রেকর্ড ডেট পর্যন্ত যার পোর্টফোলিওতে ওই শেয়ার থাকবে, তিনিই ডিভিডেন্ডের দাবিদার হবেন।

রেকর্ড ডেটের পর শেয়ারহোল্ডারদের অংশগ্রহণে হয় বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম। সেখানেই ডিভিডেন্ড চূড়ান্ত হয়।

তবে কোম্পানিগুলোকে ডিভিডেন্ড প্রদানের ক্ষেত্রে ক্যাশ ডিভিডেন্ডে আগ্রহী করতে স্টক ডিভিডেন্ডের ক্ষেত্রে অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা জারি করে বিএসইসি। গত ৩ অক্টোবর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয় এবং ৬ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করা হয়।

কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। গত বছর এসএস স্টিল ও মেট্রো স্পিনিং মিলসের স্টক ডিভিডেন্ডের প্রস্তাব বিএসইসি বাতিল করে দেয়। কিন্তু তার আগেই রেকর্ড ডেটের পর দর সমন্বয় হয়ে যায়। এরপর বিএসইসির সিদ্ধান্তে আরও ক্ষতির মুখে পড়ে বিনিয়োগকারীরা।

আরও পড়ুন: ৭৫ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ

পরবর্তীতে দুটি রেকর্ড ডেট নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ক্যাশ ডিভিডেন্ডের বিষয়ে একটি এবং স্টক ডিভিডেন্ডের বিষয়ে আরেকটি রেকর্ড ডেট থাকে। কিন্তু গত বছর ৫ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা ইউনিয়ন ব্যাংকের এই ডিভিডেন্ড এখনও অনুমোদন করেনি বিএসইসি। পরিণতিতে স্টক ডিভিডেন্ডের বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা এখনও অন্ধকারে রয়েছেন, যদিও এজিএমে এই প্রস্তাব পাস হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ তালিকাভুক্ত তিন ব্যাংক: মোট ঘাটতি ২০ হাজার কোটি টাকা

জানত চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘যদি কোন কোম্পানি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করে তাহলে বার্ষিক সাধারণ সভার আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে বোনাস শেয়ারের অনুমোদন নিয়ে নিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের আগের নিয়ম ছিল, বার্ষিক সাধারণ সভায় লভ্যাংশ অনুমোদন হবে এরপর পরে বিএসইসি অনুমোদন দিতো। কিন্তু বিষয়টি কোম্পানি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ কোম্পানি আইন অনুযায়ী শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির সবকিছু।’

ঢাকা/এসআর