অর্থ পাচাররোধে হার্ডলাইনে দুদক
- আপডেট: ১২:১৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
- / ৪১৩০ বার দেখা হয়েছে
সন্দেহজনক লেনদেন চোখে পড়লেই অর্থ জব্দ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে এ ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নেবে সংস্থাটি। দুদকের তদন্ত বিভাগের কমিশনার জানিয়েছেন, এরই মধ্যে তারা বেশ কয়েকটি ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
স্বাস্থ্যখাতের সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী রুবিনা খানম ১০০ কোটি টাকার বেশি বিদেশে পাচার করেছেন। দীর্ঘ অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। আবজাল এখন জেলে, আর তাঁর স্ত্রী রুবিনা বিদেশে পালিয়ে গেছেন।
তবে তাঁদের পাচার করা অর্থ ফেরত এখনও আনা যায়নি। দুদক বলছে, ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সালে আবজাল-রুবিনার সন্দেহজনক লেনদেনের সময়ই ব্যাংক হিসাব জব্দ করা গেলে অর্থ পাচার রোধ করা যেত।
দুদকের কমিশনার জহুরুল হক বলেন, অর্থ পাচারকারীদের কোনোভাবেই দেশত্যাগ করতে দেওয়া উচিত না। অর্থ পাচারকারীদের এখনই গ্রেপ্তার এবং তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা উচিত। দেশত্যাগের আগে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নিলে কিছুটা কাজ হবে। তবে পাচারকারীরা দেশত্যাগ করলে আর কোনো লাভ হবে না।
আরও পড়ুন: দূর্বল ১০ ব্যাংককে একীভূত করার পরিকল্পনা
দুর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক পরিচয় আমলে না নিয়ে অর্থপাচার রোধ করতে হবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অর্থপাচারের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের মধ্যে যাদের রাজনৈতিক প্রভাব এবং প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বাস্তবে কোনো ব্যবস্থা নিতে এখনো আমরা দেখিনি। কিন্তু এখন ব্যবস্থা নেওয়ার সেই সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা টাকা ২০১৩ সালে সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত এনেছিল দুদক। এ ছাড়া বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার আর কোনো নজির নেই।
ঢাকা/এসএম