০২:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আইপিএল ইস্যুতে বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার মামলা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৩১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১
  • / ৪১৫৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ করোনা মহামারির মধ্যেও আইপিএল চালিয়ে যাওয়ায় ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকার মামলা দায়ের করেছেন দেশটির এক আইনজীবী। বুধবার (৫ মে) বোম্বে (মুম্বাই) হাইকোর্টে জনস্বার্থে এই মামলা দায়ের করেন আইনজীবী বন্দনা শাহ।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, গোটা ভারত জুড়ে করোনাভাইরাস অগণিত মানুষের প্রাণ কেড়ে নিলেও, ভারতের ক্রিকেট বোর্ড কর্তারা নিজের সুবিধার জন্য চোখ-কান বন্ধ করে ‘অহংকারী মানসিকতা’ দেখিয়ে আইপিএল চালিয়ে গেছে।

সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বাধীন সংস্থাটির বিরুদ্ধে করা ওই মামলার নথিপত্রে আরও বলা হয়েছে, বিসিসিআই যেন এক হাজার কোটি টাকা কোভিড আক্রান্ত মানুষদের অক্সিজেন এবং ওষুধের জন্য ব্যয় করে তাদের কাছে ক্ষমা চায়।

আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা পর আইনজীবী বন্দনা শাহ বলেন, ‘বিসিসিআই কর্তারা ভীষণ অহংকারী। তাই তো ভারতে করোনার গ্রাসে একাধিক পরিবার শেষ হয়ে গেলেও বোর্ড কর্তারা সেই দিকে নজর দেয়নি। বরং চোখ-কান বন্ধ করে আইপিএল চালিয়ে গেছেন। এটা মানবিকতার পরিপন্থী। ভারতের সাধারণ মানুষের প্রতি বোর্ড কর্তাদের নূন্যতম দায়িত্ব থাকলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত। এক হাজার কোটি টাকা কোভিড আক্রান্ত মানুষদের অক্সিজেন এবং ওষুধের জন্য ব্যয় করে তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’

মঙ্গলবার সকালের দিকে আইপিএল এবারের মতো স্থগিত করে দেওয়া হলেও, সৌরভের বোর্ড কিন্তু প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার একটা শেষ চেষ্টা করেছিল। মুম্বাইতে আইপিএল-এর সব ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে একদিনে ‘ডাবল হেডার’ করিয়ে দ্রুত শেষ করতে চেয়েছিল বিসিসিআই। কর্তাদের ধারণা ছিল যে ওয়াংখেড়ে, সিসিআই (ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়া) এবং ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে বাকি খেলাগুলো আয়োজন করে ফেলা যাবে। যদিও ঋদ্ধিমান সাহা ও অমিত মিশ্র-র খবরটা দাবানলের মতো ছড়িয়ে যেতেই মত বদলে ফেলেন সৌরভ।

সেটা নিয়েও কিন্তু আইনজীবী বন্দনা শাহ আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের অনান্য রাজ্যের মতো মুম্বাই ও মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তবুও এখানকার মানুষের আবেগ না বুঝতে পেরে বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করতে চেয়েছিল। এতেই বোঝা যায় ওরা সবাই চোখ-কান বন্ধ করে রাখা অহংকারী মানুষ। ক্রিকেট আমিও পছন্দ করি। কিন্তু ভারতে অগণিত মানুষ মারা গেলে ক্রিকেট খেলা কিংবা দেখার অবস্থা থাকে না। এটা তো বোঝা উচিত।’

সূত্র: আনন্দবাজার

শেয়ার করুন

x
English Version

আইপিএল ইস্যুতে বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার মামলা

আপডেট: ০১:৩১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ করোনা মহামারির মধ্যেও আইপিএল চালিয়ে যাওয়ায় ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকার মামলা দায়ের করেছেন দেশটির এক আইনজীবী। বুধবার (৫ মে) বোম্বে (মুম্বাই) হাইকোর্টে জনস্বার্থে এই মামলা দায়ের করেন আইনজীবী বন্দনা শাহ।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, গোটা ভারত জুড়ে করোনাভাইরাস অগণিত মানুষের প্রাণ কেড়ে নিলেও, ভারতের ক্রিকেট বোর্ড কর্তারা নিজের সুবিধার জন্য চোখ-কান বন্ধ করে ‘অহংকারী মানসিকতা’ দেখিয়ে আইপিএল চালিয়ে গেছে।

সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বাধীন সংস্থাটির বিরুদ্ধে করা ওই মামলার নথিপত্রে আরও বলা হয়েছে, বিসিসিআই যেন এক হাজার কোটি টাকা কোভিড আক্রান্ত মানুষদের অক্সিজেন এবং ওষুধের জন্য ব্যয় করে তাদের কাছে ক্ষমা চায়।

আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা পর আইনজীবী বন্দনা শাহ বলেন, ‘বিসিসিআই কর্তারা ভীষণ অহংকারী। তাই তো ভারতে করোনার গ্রাসে একাধিক পরিবার শেষ হয়ে গেলেও বোর্ড কর্তারা সেই দিকে নজর দেয়নি। বরং চোখ-কান বন্ধ করে আইপিএল চালিয়ে গেছেন। এটা মানবিকতার পরিপন্থী। ভারতের সাধারণ মানুষের প্রতি বোর্ড কর্তাদের নূন্যতম দায়িত্ব থাকলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত। এক হাজার কোটি টাকা কোভিড আক্রান্ত মানুষদের অক্সিজেন এবং ওষুধের জন্য ব্যয় করে তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’

মঙ্গলবার সকালের দিকে আইপিএল এবারের মতো স্থগিত করে দেওয়া হলেও, সৌরভের বোর্ড কিন্তু প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার একটা শেষ চেষ্টা করেছিল। মুম্বাইতে আইপিএল-এর সব ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে একদিনে ‘ডাবল হেডার’ করিয়ে দ্রুত শেষ করতে চেয়েছিল বিসিসিআই। কর্তাদের ধারণা ছিল যে ওয়াংখেড়ে, সিসিআই (ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়া) এবং ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে বাকি খেলাগুলো আয়োজন করে ফেলা যাবে। যদিও ঋদ্ধিমান সাহা ও অমিত মিশ্র-র খবরটা দাবানলের মতো ছড়িয়ে যেতেই মত বদলে ফেলেন সৌরভ।

সেটা নিয়েও কিন্তু আইনজীবী বন্দনা শাহ আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের অনান্য রাজ্যের মতো মুম্বাই ও মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তবুও এখানকার মানুষের আবেগ না বুঝতে পেরে বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করতে চেয়েছিল। এতেই বোঝা যায় ওরা সবাই চোখ-কান বন্ধ করে রাখা অহংকারী মানুষ। ক্রিকেট আমিও পছন্দ করি। কিন্তু ভারতে অগণিত মানুষ মারা গেলে ক্রিকেট খেলা কিংবা দেখার অবস্থা থাকে না। এটা তো বোঝা উচিত।’

সূত্র: আনন্দবাজার