০৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ফের লকডাউনে যাচ্ছে ফ্রান্স

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৪২ বার দেখা হয়েছে

হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী বাড়তে থাকায় দেশজুড়ে চার সপ্তাহের লকডাউনে যাচ্ছে ফ্রান্স। শনিবার এক সরকারী আদেশে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার থেকে লকডাউন কার্যকর হবে দেশটিতে।

শনিবারের আদেশে ম্যাক্রোঁ জানান, লকডাউন জারির ফলে আগামী মঙ্গলবার থেকে ফ্রান্সের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং নিত্য-প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী বিক্রি করে না— এমন দোকান ও বিপণীবিতানগুলো বন্ধ থাকবে; দেশজুড়ে সন্ধ্যা সাতটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত জারি থাকবে কারফিউ।

এছাড়া লকডাউন চলাকালে কোনো ব্যক্তি যদি আবাসস্থল থেকে ১০ কিলোমিটারের অধিক দূরের কোনো জায়গায় যেতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের যৌক্তিক কারণ দর্শাতে হবে।মহামারি শুরু হওয়ার পর এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো লকডাউন জারি হচ্ছে ফ্রান্সে। এর আগে গত বছর দু’ দফা লকডাউন জারি হয়েছিল দেশটিতে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত করোনায় পর্যুদস্ত অবস্থায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ফ্রান্স। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত ওয়েবসাইট করোনা ওয়ার্ল্ডোমিটার বিশ্বের দেশগুলোতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হালনাগাদ তথ্য রেখে চলেছে। ওয়েবসাইটটির তথ্য অনুযায়ী মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৭ লাখ ৪১ হাজার ৭৫৯ এবং এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মারা গেছেন মোট ৯৬ হাজার ৪৯৩ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটার বলছে, করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। এই তালিকায় তার আগে থাকা দেশগুলো হলো যথাক্রমে ভারত (৩য় স্থান), ব্রাজিল (২য় স্থান) এবং যুক্তরাষ্ট্র (১ম স্থান)।

গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণের হার কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও  মার্চ মাস থেকে তা আবার বাড়তে শুরু করে ফ্রান্সে। শুক্রবার ছিল সাম্প্রতিক সংক্রমণ পরিস্থিতির ভয়াবহতম দিন। দেশজুড়ে এদিন করোনায় আক্রান্ত হন ৪৬ হাজার ৬৭৭ জন, মারা যান ৩০৪ জন।

এছাড়া শুক্রবার করোনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে ১৪৫ জন রোগী ফ্রান্সের হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে ভর্তি হন। চলতি বছর একদিনের হিসেবে এই সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। ফ্রান্সের হাসপাতালগুলোর আইসিইউগুলোতে ভর্তি থাকা করোনায় গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা বর্তমানে  ৫ হাজার ২৭৩।

গত ডিসেম্বর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ফ্রান্স। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ফ্রান্সসহ পুরো ইউরোপে সম্প্রতি এই কর্মসূচির গতি কমে গেছে।

সূত্র: বিবিসি

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এনইউ

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ফের লকডাউনে যাচ্ছে ফ্রান্স

আপডেট: ১১:০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১

হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী বাড়তে থাকায় দেশজুড়ে চার সপ্তাহের লকডাউনে যাচ্ছে ফ্রান্স। শনিবার এক সরকারী আদেশে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার থেকে লকডাউন কার্যকর হবে দেশটিতে।

শনিবারের আদেশে ম্যাক্রোঁ জানান, লকডাউন জারির ফলে আগামী মঙ্গলবার থেকে ফ্রান্সের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং নিত্য-প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী বিক্রি করে না— এমন দোকান ও বিপণীবিতানগুলো বন্ধ থাকবে; দেশজুড়ে সন্ধ্যা সাতটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত জারি থাকবে কারফিউ।

এছাড়া লকডাউন চলাকালে কোনো ব্যক্তি যদি আবাসস্থল থেকে ১০ কিলোমিটারের অধিক দূরের কোনো জায়গায় যেতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের যৌক্তিক কারণ দর্শাতে হবে।মহামারি শুরু হওয়ার পর এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো লকডাউন জারি হচ্ছে ফ্রান্সে। এর আগে গত বছর দু’ দফা লকডাউন জারি হয়েছিল দেশটিতে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত করোনায় পর্যুদস্ত অবস্থায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ফ্রান্স। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত ওয়েবসাইট করোনা ওয়ার্ল্ডোমিটার বিশ্বের দেশগুলোতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হালনাগাদ তথ্য রেখে চলেছে। ওয়েবসাইটটির তথ্য অনুযায়ী মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৭ লাখ ৪১ হাজার ৭৫৯ এবং এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মারা গেছেন মোট ৯৬ হাজার ৪৯৩ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটার বলছে, করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। এই তালিকায় তার আগে থাকা দেশগুলো হলো যথাক্রমে ভারত (৩য় স্থান), ব্রাজিল (২য় স্থান) এবং যুক্তরাষ্ট্র (১ম স্থান)।

গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণের হার কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও  মার্চ মাস থেকে তা আবার বাড়তে শুরু করে ফ্রান্সে। শুক্রবার ছিল সাম্প্রতিক সংক্রমণ পরিস্থিতির ভয়াবহতম দিন। দেশজুড়ে এদিন করোনায় আক্রান্ত হন ৪৬ হাজার ৬৭৭ জন, মারা যান ৩০৪ জন।

এছাড়া শুক্রবার করোনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে ১৪৫ জন রোগী ফ্রান্সের হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে ভর্তি হন। চলতি বছর একদিনের হিসেবে এই সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। ফ্রান্সের হাসপাতালগুলোর আইসিইউগুলোতে ভর্তি থাকা করোনায় গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা বর্তমানে  ৫ হাজার ২৭৩।

গত ডিসেম্বর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ফ্রান্স। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ফ্রান্সসহ পুরো ইউরোপে সম্প্রতি এই কর্মসূচির গতি কমে গেছে।

সূত্র: বিবিসি

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এনইউ

 

আরও পড়ুন: