০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

তুরস্কে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ১৪ মে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১৬০ বার দেখা হয়েছে

তুরস্কে আগামী ১৪ মে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। গত শনিবার উত্তরপশ্চিম তুরস্কের বুরসায় একটি যুব সম্মেলনে এরদোয়ান এই ঘোষণা দেন।

তবে সেটির ভিডিও রোববার প্রকাশ করা হয়। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, ‘নির্বাচন হবে ১৪ মে। আমি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি, তার পূর্বনির্দিষ্ট পথে আমরা হাঁটছি। আমাদের যে যুবরা এবার ভোটাধিকার পেয়েছেন, তাদের জানিয়ে দিতে চাই, নির্বাচন হবে ১৪ মে। তখন তারা ভোট দিতে পারবেন।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এরদোয়ান জানিয়েছেন, আগামী ১০ মার্চ তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন। এরপর তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করবে। যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পান, তাহলে ২৮ মে দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ হবে।

বিরোধী প্রার্থী কে?

২০০৩ সাল থেকে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী এবং পরে প্রেসিডেন্ট পদে আছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এবার তার সামনে ক্ষমতায় থাকার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এসেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য, ওই অঞ্চলে বড় সামরিক শক্তি এবং সেই সঙ্গে ক্রমশ বড় অর্থনৈতিক শক্তিও হয়ে উঠতে চলেছে দেশটি।

ছয় দলের বিরোধী জোট এখনও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর নাম জানায়নি। এছাড়া কুর্দিদের প্রতি সহানুভূতিশীল রাজনৈতিক দল জানিয়েছে, তারা আলাদা করে প্রার্থী দেবে।

বিরোধী দলগুলোর দাবি, সম্প্রতি তুরস্কের অর্থনীতিতে যে প্রবল চাপ এসেছে তা এরদোয়ানের নীতির জন্য। তার আমলে নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা বলতে আর কিছু তুরস্কে অবশিষ্ট নেই। তুরস্কে এখন একজনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ব্রাজিলে শিশু মৃত্যু নিয়ে জরুরি অবস্থা জারি

২০১৮ সালে এরদোয়ান প্রধানমন্ত্রীর অফিস অবলুপ্ত করে দেন এবং প্রেসিডেন্টের হাতে প্রায় সব ক্ষমতা কেন্দ্রিভূত করেন। এর আগে তুরস্কে প্রেসিডেন্টের পদ ছিল আলংকারিক, প্রকৃত ক্ষমতা ছিল প্রধানমন্ত্রীর হাতে। কিন্তু এখন প্রেসিডেন্টের হাতেই যাবতীয় ক্ষমতা আছে। পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন একইদিনে হয়।

এই ভোটগ্রহণ ১৮ জুন হওয়ার কথা। কিন্তু এর আগেও এরদোয়ান বলেছিলেন, ভোট এগিয়ে আনা হতে পারে। এবার তিনি দিনও ঘোষণা করে দিলেন। তার দলের বক্তব্য, জুন মাসে গ্রীষ্মকালীন ছুটি হয়। মানুষ তখন বাইরে বেড়াতে যান। তাই ভোটগ্রহণ এগিয়ে আনা হচ্ছে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

তুরস্কে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ১৪ মে

আপডেট: ১১:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

তুরস্কে আগামী ১৪ মে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। গত শনিবার উত্তরপশ্চিম তুরস্কের বুরসায় একটি যুব সম্মেলনে এরদোয়ান এই ঘোষণা দেন।

তবে সেটির ভিডিও রোববার প্রকাশ করা হয়। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, ‘নির্বাচন হবে ১৪ মে। আমি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি, তার পূর্বনির্দিষ্ট পথে আমরা হাঁটছি। আমাদের যে যুবরা এবার ভোটাধিকার পেয়েছেন, তাদের জানিয়ে দিতে চাই, নির্বাচন হবে ১৪ মে। তখন তারা ভোট দিতে পারবেন।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এরদোয়ান জানিয়েছেন, আগামী ১০ মার্চ তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন। এরপর তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করবে। যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পান, তাহলে ২৮ মে দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ হবে।

বিরোধী প্রার্থী কে?

২০০৩ সাল থেকে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী এবং পরে প্রেসিডেন্ট পদে আছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এবার তার সামনে ক্ষমতায় থাকার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এসেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য, ওই অঞ্চলে বড় সামরিক শক্তি এবং সেই সঙ্গে ক্রমশ বড় অর্থনৈতিক শক্তিও হয়ে উঠতে চলেছে দেশটি।

ছয় দলের বিরোধী জোট এখনও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর নাম জানায়নি। এছাড়া কুর্দিদের প্রতি সহানুভূতিশীল রাজনৈতিক দল জানিয়েছে, তারা আলাদা করে প্রার্থী দেবে।

বিরোধী দলগুলোর দাবি, সম্প্রতি তুরস্কের অর্থনীতিতে যে প্রবল চাপ এসেছে তা এরদোয়ানের নীতির জন্য। তার আমলে নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা বলতে আর কিছু তুরস্কে অবশিষ্ট নেই। তুরস্কে এখন একজনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ব্রাজিলে শিশু মৃত্যু নিয়ে জরুরি অবস্থা জারি

২০১৮ সালে এরদোয়ান প্রধানমন্ত্রীর অফিস অবলুপ্ত করে দেন এবং প্রেসিডেন্টের হাতে প্রায় সব ক্ষমতা কেন্দ্রিভূত করেন। এর আগে তুরস্কে প্রেসিডেন্টের পদ ছিল আলংকারিক, প্রকৃত ক্ষমতা ছিল প্রধানমন্ত্রীর হাতে। কিন্তু এখন প্রেসিডেন্টের হাতেই যাবতীয় ক্ষমতা আছে। পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন একইদিনে হয়।

এই ভোটগ্রহণ ১৮ জুন হওয়ার কথা। কিন্তু এর আগেও এরদোয়ান বলেছিলেন, ভোট এগিয়ে আনা হতে পারে। এবার তিনি দিনও ঘোষণা করে দিলেন। তার দলের বক্তব্য, জুন মাসে গ্রীষ্মকালীন ছুটি হয়। মানুষ তখন বাইরে বেড়াতে যান। তাই ভোটগ্রহণ এগিয়ে আনা হচ্ছে।

ঢাকা/এসএম