১১:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

তুরস্কে ভবন দুর্নীতিতে ‍১১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:০০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১৫৯ বার দেখা হয়েছে

কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহতম ভূমিকম্পে বিশালমাত্রায় ধ্বংস ও প্রাণহানির জেরে ভবন নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১১৩ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্কের বিচার বিভাগ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সবাই কোনো না কোনো ভবন নির্মান বা ডেভেলপার কোম্পানির মালিক, কর্মকর্তা কিংবা ঠিকাদার। সামনের দিনগুলোতে পরোয়ানা জারি ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন দেশটির বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা।

৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে অনেকগুলো আফটারশক হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। ইউএসজিএসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১৯৩৯ সালের পর এটাই ছিল তুরস্কে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প।

ভূমিকম্পে ৬ হাজারেরও বেশি ভবন ধসে গেছে, প্রাণ হারিয়েছেন ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ। দেশটির ভবন নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি বিধিমালা না মেনে ভবন নির্মাণের কারণেই ঘটেছে এই পরিমাণ প্রাণহানি। গত প্রায় তিন দশক ধরে ভবন নির্মাণখাতে ব্যাপকমাত্রায় দুর্নীতি হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বিশেজ্ঞরা।

ভবন নির্মাণকারী কোম্পানিগুলোর অদক্ষতা, দুর্নীতি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের যোগসাজশের প্রতিবাদে তুরস্কের ভূমিকম্পপীড়িত দক্ষিণাঞ্চলে ইতোমধ্যে বিক্ষোভও শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহত ২৮ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার তুরস্কের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রী বেকির বোজদাগ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বন নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি ছিল কিনা— নিশ্চিত হতে ভবন নির্মাতাদের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে তার মন্ত্রণালয়।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চিফ পাবলিক প্রসিকিউটরের দপ্তর কাহরামানমারাশ ও অন্যান্য উপদ্রুত প্রদেশের ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। যদি সরকারি নির্দেশনা মেনে ভবনগুলো নির্মাণ করা হতো, তাহলে নিশ্চিতভাবেই এত প্রাণহানি আমাদের দেখতে হতো না।’

‘এক্ষেত্রে দোষ-ঘাটতি বা অবহেলা যারই থাকুক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে— তাদের সবার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

তুরস্কে ভবন দুর্নীতিতে ‍১১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপডেট: ০৭:০০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহতম ভূমিকম্পে বিশালমাত্রায় ধ্বংস ও প্রাণহানির জেরে ভবন নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১১৩ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্কের বিচার বিভাগ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সবাই কোনো না কোনো ভবন নির্মান বা ডেভেলপার কোম্পানির মালিক, কর্মকর্তা কিংবা ঠিকাদার। সামনের দিনগুলোতে পরোয়ানা জারি ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন দেশটির বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা।

৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে অনেকগুলো আফটারশক হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। ইউএসজিএসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১৯৩৯ সালের পর এটাই ছিল তুরস্কে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প।

ভূমিকম্পে ৬ হাজারেরও বেশি ভবন ধসে গেছে, প্রাণ হারিয়েছেন ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ। দেশটির ভবন নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি বিধিমালা না মেনে ভবন নির্মাণের কারণেই ঘটেছে এই পরিমাণ প্রাণহানি। গত প্রায় তিন দশক ধরে ভবন নির্মাণখাতে ব্যাপকমাত্রায় দুর্নীতি হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বিশেজ্ঞরা।

ভবন নির্মাণকারী কোম্পানিগুলোর অদক্ষতা, দুর্নীতি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের যোগসাজশের প্রতিবাদে তুরস্কের ভূমিকম্পপীড়িত দক্ষিণাঞ্চলে ইতোমধ্যে বিক্ষোভও শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহত ২৮ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার তুরস্কের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রী বেকির বোজদাগ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বন নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি ছিল কিনা— নিশ্চিত হতে ভবন নির্মাতাদের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে তার মন্ত্রণালয়।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চিফ পাবলিক প্রসিকিউটরের দপ্তর কাহরামানমারাশ ও অন্যান্য উপদ্রুত প্রদেশের ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। যদি সরকারি নির্দেশনা মেনে ভবনগুলো নির্মাণ করা হতো, তাহলে নিশ্চিতভাবেই এত প্রাণহানি আমাদের দেখতে হতো না।’

‘এক্ষেত্রে দোষ-ঘাটতি বা অবহেলা যারই থাকুক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে— তাদের সবার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/এসএম