দেশে তৈরি হবে সোনার বার ও কয়েন
- আপডেট: ০৪:১৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
- / ৪১৯২ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বৈধভাবে অপরিশোধিত বা আংশিক পরিশোধিত সোনা আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এজন্য অবশ্যই আমদানিকারককে পরিশোধনের জন্য কারখানা স্থাপন করতে হবে। অপরিশোধিত সোনা আমদানির পর তা কারখানায় পরিশোধন করে স্বর্ণের বার বা কয়েন উৎপাদন করবে। ওইসব বার বা কয়েন রফতানির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে পারবে।
এর আগে দেশে প্রথমবারের মতো অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত সোনা আমদানির সুযোগ দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত জুন মাসে স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮ সংশোধন করে। সেই আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সোনা পরিশোধনের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে অপরিশোধিত এবং আংশিক পরিশোধিত সোনা আমদানির অনুমতি নেবে, সে বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, সোনা পরিশোধনের জন্য কারখানা স্থাপনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। পরিশোধিত প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে নিবাসী একক বা অংশীদারি প্রতিষ্ঠান কিংবা নিবন্ধিত লিমিটেড কোম্পানি হতে হবে। অনুমোদনের শর্তানুযায়ী, নির্ধারিত স্থানে সোনা পরিশোধনাগার স্থাপন করতে হবে। অন্যান্য সব ধরনের লাইসেন্সের পাশাপাশি সোনা পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানকে সরকার অনুমোদিত ব্যবসায়ী সংগঠনের বৈধ সদস্য হতে হবে।
অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানকে অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত সোনা আমদানির জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। আমদানির অনুমতির জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের কাগজপত্র, হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সনদ, মূসক নিবন্ধন, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যপদের কপি, প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জীবনবৃত্তান্ত, পরিশোধনাগারের নির্ধারিত স্থানের মালিকানার দলিল ইত্যাদি জমা দিতে হবে। অনুমতি ফি বাবদ ৩০ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। অনুমোদনের মেয়াদকাল হবে পাঁচ বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে আবারও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির নবায়ন নিতে হবে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সংশোধিত স্বর্ণ নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিশ্বের অলংকার উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশের মধ্যে বেলজিয়ামসহ ইউরোপের দেশ, ভারত, চীন অন্যতম। আর অলংকার আমদানিকারক দেশের মধ্যে সুইজারল্যান্ড, চীন, যুক্তরাজ্য, হংকং, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বেলজিয়াম, জার্মানি ও সিঙ্গাপুর শীর্ষ স্থানে রয়েছে। ২০১৯ সালে বিশ্বে মেশিন ও হাতে তৈরি সোনার অলংকারের বাজার ছিল ২২ হাজার ৯৩০ কোটি ডলারের। ২০২৫ সালে সেটির আকার বেড়ে ২৯ হাজার ১৭০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। হাতে তৈরি অলংকারের মূল্য সংযোজন বেশি। বিশ্বের ৮০ শতাংশ হাতে তৈরি অলংকার বাংলাদেশ ও ভারতে তৈরি হয়। তবে নানা কারণে রফতানি বাজারে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। এমনকি সোনার উচ্চমূল্যের কারণে দেশের বাজারও সংকুচিত হচ্ছে।
গেজেটে বলা হয়েছে, ধারণা অনুযায়ী দেশে বছরে প্রায় ২০-৪০ মেট্রিক টন সোনার চাহিদা রয়েছে। তার মাত্র ১০ শতাংশ চাহিদা পুরোনো অলংকার দিয়ে মেটানো হয়। বাকি ১৮ থেকে ৩৬ মেট্রিক টন বৈধভাবে আমদানির মাধ্যমে পূরণ হয় না।সোনার বাজার ও জুয়েলারি ব্যবসায় স্বচ্ছতা ফেরাতে ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে সোনা আমদানির জন্য লাইসেন্স দেয়। পরে আরেকটি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পায়।
লাইসেন্স পাওয়ার পরও শুল্ক বেশি থাকায় প্রথম ছয় মাস কোনো সোনা আমদানি করেনি প্রতিষ্ঠানগুলো। গত অর্থবছরের বাজেটে ২০ শতাংশ কর প্রত্যাহার করা হয়। তারপর ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড গত বছরের ১০ জুন ১১ হাজার গ্রাম সোনা আমদানির জন্য আবেদন করে। দ্রুত সময়ে অনাপত্তি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। দুবাই থেকে ৩০ জুন সোনার বার আমদানি করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরোসা গোল্ড করপোরেশন ১৫ হাজার গ্রাম সোনা আমদানি করে।
ঢাকা/এনইউ
আরও পড়ুন:
- আগামীকাল থেকে কোরবানির ডিজিটাল হাট
- ‘ফ্লাইং কিক’ মেরে লাল কার্ড, ব্রাজিলের কাছে ক্ষমা চাইলেন জেসুস
- যাদের ছেলে-মেয়ে পড়ে না, তারাই স্কুলে পাঠাতে সোচ্চার
- খুলনা বিভাগে করোনায় আরও ৩২ জনের মৃত্যু
- এবার পাড়া-মহল্লায় অভিযান চালাবে র্যাব
- বারাকা পতেঙ্গার শেয়ার বরাদ্দ ৫ জুলাই
- দশ জনের দল নিয়ে জয়, সেমিফাইনালে ব্রাজিল
- সাপ্তাহজুড়ে লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো
- দেশে পৌঁছাল মডার্না ও সিনোফার্মের ৪৫ লাখ টিকা
- মার্কেট ভাল হবেই; লোকসানে বিক্রি নয়: বিএসইসি চেয়ারম্যান
- পুঁজিবাজারের যাত্রার ইতিহাস এবং স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব্য ও কর্তব্য
- সদ্য সপ্তাহে পিই রেশিও বেড়েছে দশমিক ১৫ পয়েন্ট
- সপ্তাহজুড়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষে সাফকো স্পিনিং
- ডিএসইতে গড় লেনদেন কমেছে