১১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

প্রায় পাঁচ শতাংশ কমেছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১
  • / ৪১৮৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনা মহামারির থাবায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে জুন-জুলাই মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। অথচ গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।

আজ বৃহস্পতিবার (০৫ আগস্ট) ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সেখান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিবিএস এর প্রতিবেদন বলছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জুন-জুলাই মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। অথচ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। ফলে করোনা সংকটে এক বছরেই প্রবৃদ্ধি কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ।

২৩ জুলাই ম্যানিলা থেকে প্রকাশিত এশিয়ার অর্থনীতির ওপর সম্পূরক পূর্বাভাসে এডিবি বলেছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে ২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ, যা গত এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। সম্পূরক পূর্বাভাসে এশিয়ার জিডিপি প্রবৃদ্ধি হ্রাসের কারণ মূলত ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হ্রাস।

মূলত এক দশক ধরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ধারাবাহিকভাবে সেবা ও কৃষি খাতের অবদান কমছে। গত এক দশকে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ। আর সেবা খাতের অবদান কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ।

তবে জিডিপিতে বেড়েছে শিল্প খাতের অবদান প্রায় ৮ শতাংশ। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন- কৃষি খাতের অবদান প্রবৃদ্ধিতে বেড়েছে, কমেছে সেবা ও শিল্পখাতের অবদান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিবিএস মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রবৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। আমরা সবাই জানি সব খাতেই করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মূলত জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে।

বিবিএস প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চূড়ান্তভাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে কৃষিখাতে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছরে যা ছিল ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ফলে করোনা সংকটেও অর্থনীতির চাকা সচল ছিল কৃষিখাতে। করোনা সংকটের মধ্যে দেশকে মূলত বাঁচিয়ে রেখেছিল কৃষিখাত। তবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১১ দশমিক ০২ শতাংশ। খাদ্য শষ্য, প্রাণিজ ও বনজ সম্পদ আহরণ ঠিক ছিল করোনা সংকটেও। কৃষির উপখাতে মৎস্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধির ধস দেখা গেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ, অথচ গত অর্থবছরে যা ছিল ১৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

সেবাখাতেও বড় ধাক্কা লেগেছে প্রবৃদ্ধিতে। এই খাতে প্রবৃদ্ধি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যা ছিল ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রকাশ নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি প্রকাশ করেছি। প্রবৃদ্ধি অনেক কমেছে, এটা লুকানোর কিছু নয়। সঠিক চিত্র না এলে দেশের সঠিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

প্রায় পাঁচ শতাংশ কমেছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি

আপডেট: ০৭:৩৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনা মহামারির থাবায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে জুন-জুলাই মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। অথচ গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।

আজ বৃহস্পতিবার (০৫ আগস্ট) ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সেখান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিবিএস এর প্রতিবেদন বলছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জুন-জুলাই মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। অথচ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। ফলে করোনা সংকটে এক বছরেই প্রবৃদ্ধি কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ।

২৩ জুলাই ম্যানিলা থেকে প্রকাশিত এশিয়ার অর্থনীতির ওপর সম্পূরক পূর্বাভাসে এডিবি বলেছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে ২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ, যা গত এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। সম্পূরক পূর্বাভাসে এশিয়ার জিডিপি প্রবৃদ্ধি হ্রাসের কারণ মূলত ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হ্রাস।

মূলত এক দশক ধরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ধারাবাহিকভাবে সেবা ও কৃষি খাতের অবদান কমছে। গত এক দশকে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ। আর সেবা খাতের অবদান কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ।

তবে জিডিপিতে বেড়েছে শিল্প খাতের অবদান প্রায় ৮ শতাংশ। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন- কৃষি খাতের অবদান প্রবৃদ্ধিতে বেড়েছে, কমেছে সেবা ও শিল্পখাতের অবদান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিবিএস মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রবৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। আমরা সবাই জানি সব খাতেই করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মূলত জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে।

বিবিএস প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চূড়ান্তভাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে কৃষিখাতে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছরে যা ছিল ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ফলে করোনা সংকটেও অর্থনীতির চাকা সচল ছিল কৃষিখাতে। করোনা সংকটের মধ্যে দেশকে মূলত বাঁচিয়ে রেখেছিল কৃষিখাত। তবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১১ দশমিক ০২ শতাংশ। খাদ্য শষ্য, প্রাণিজ ও বনজ সম্পদ আহরণ ঠিক ছিল করোনা সংকটেও। কৃষির উপখাতে মৎস্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধির ধস দেখা গেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ, অথচ গত অর্থবছরে যা ছিল ১৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

সেবাখাতেও বড় ধাক্কা লেগেছে প্রবৃদ্ধিতে। এই খাতে প্রবৃদ্ধি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যা ছিল ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রকাশ নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি প্রকাশ করেছি। প্রবৃদ্ধি অনেক কমেছে, এটা লুকানোর কিছু নয়। সঠিক চিত্র না এলে দেশের সঠিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: