০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্লে-অফ নয়, সরাসরি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
  • / ৪১৮২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে অফ পর্ব খেলতে হচ্ছে না। সরাসরি এশিয়ান কাপ বাছাই খেলতে পারবেন জামালরা। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ে এখন ৩৯ দল রয়েছে। উত্তর কোরিয়া তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেয় করোনা পরিস্থিতির জন্য। গতকাল এশিয়ান অঞ্চলে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্ব শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্ব শেষে পয়েন্টের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ৩৯ দলের মধ্যে ৩৫ তম অবস্থানে রয়েছে। ১ থেকে ১৩ নম্বরে থাকা দলগুলো ২০২৩ এশিয়ান কাপে সরাসরি খেলবে এবং এই দলগুলো ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পরবর্তী রাউন্ড খেলবে।

১৪ থেকে ৩৫ তম অবস্থানে থাকা ২২ টি দেশ সরাসরি এশিয়ান কাপ বাছাই খেলবে। বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫ তম। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এক পয়েন্টই বাংলাদেশকে এই সুযোগ দিয়েছে বলে মনে করেন ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে, ‘এটি বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য দারুণ খবর। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পয়েন্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওই পয়েন্টের জন্য আমরা এই বাছাই পর্বে সরাসরি আসতে পারলাম। না হলে প্লে অফ জটিলতায় পড়তে হতো।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

৩৬ থেকে ৩৯তম অবস্থানে থাকা চারটি দেশকে বাছাই পর্বে খেলার জন্য প্লে অফ খেলতে হবে। ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, চাইনিজ তাইপে ও গুয়াম এই চার দেশকে প্লে অফ খেলতে হবে। দুই বিজয়ী দল ২২ দলের সঙ্গে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে যোগ দেবে।
গত এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মূল পর্বে ২৪ দল ৬ গ্রুপে খেলেছিল। প্রতি গ্রুপে চারটি করে দল হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলেছিল। প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দল এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছিল। বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ বাছাই সরাসরি খেলার সুযোগ পাওয়ায় এশিয়ার শীর্ষ স্তরে আরো ছয়টি ম্যাচ খেলা নিশ্চিত হলো অন্তত।

বাংলাদেশ গতবার এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে অফ পর্বে দুই দফা হেরেছিল। প্রথমবার তাজিকস্তানের বিরুদ্ধে পরের বার ভূটানের বিরুদ্ধে। ভূটান বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বাইরে ছিল এক বছরের বেশি সময়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মতো এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন একেক সময় একেক নিয়ম করে। গত এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে অফ হয়েছিল পঞ্চম স্থানে আট দল ও চতুর্থ স্থানে থাকা সর্বনিম্ন চার দল নিয়ে। এবার সেই পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন।

বাংলাদেশ ১৯৮০ সালে কুয়েতেই প্রথম ও একবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্ব খেলেছিল। এরপর আর মূল পর্বে খেলতে পারেনি। মাঝে বাছাইতেও অংশ নিতে পারেনি। এখন আবার বাছাইতে ফিরছে বাংলাদেশ দল। 

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

প্লে-অফ নয়, সরাসরি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ

আপডেট: ০৬:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে অফ পর্ব খেলতে হচ্ছে না। সরাসরি এশিয়ান কাপ বাছাই খেলতে পারবেন জামালরা। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ে এখন ৩৯ দল রয়েছে। উত্তর কোরিয়া তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেয় করোনা পরিস্থিতির জন্য। গতকাল এশিয়ান অঞ্চলে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্ব শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্ব শেষে পয়েন্টের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ৩৯ দলের মধ্যে ৩৫ তম অবস্থানে রয়েছে। ১ থেকে ১৩ নম্বরে থাকা দলগুলো ২০২৩ এশিয়ান কাপে সরাসরি খেলবে এবং এই দলগুলো ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পরবর্তী রাউন্ড খেলবে।

১৪ থেকে ৩৫ তম অবস্থানে থাকা ২২ টি দেশ সরাসরি এশিয়ান কাপ বাছাই খেলবে। বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫ তম। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এক পয়েন্টই বাংলাদেশকে এই সুযোগ দিয়েছে বলে মনে করেন ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে, ‘এটি বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য দারুণ খবর। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পয়েন্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওই পয়েন্টের জন্য আমরা এই বাছাই পর্বে সরাসরি আসতে পারলাম। না হলে প্লে অফ জটিলতায় পড়তে হতো।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

৩৬ থেকে ৩৯তম অবস্থানে থাকা চারটি দেশকে বাছাই পর্বে খেলার জন্য প্লে অফ খেলতে হবে। ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, চাইনিজ তাইপে ও গুয়াম এই চার দেশকে প্লে অফ খেলতে হবে। দুই বিজয়ী দল ২২ দলের সঙ্গে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে যোগ দেবে।
গত এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মূল পর্বে ২৪ দল ৬ গ্রুপে খেলেছিল। প্রতি গ্রুপে চারটি করে দল হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলেছিল। প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দল এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছিল। বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ বাছাই সরাসরি খেলার সুযোগ পাওয়ায় এশিয়ার শীর্ষ স্তরে আরো ছয়টি ম্যাচ খেলা নিশ্চিত হলো অন্তত।

বাংলাদেশ গতবার এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে অফ পর্বে দুই দফা হেরেছিল। প্রথমবার তাজিকস্তানের বিরুদ্ধে পরের বার ভূটানের বিরুদ্ধে। ভূটান বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বাইরে ছিল এক বছরের বেশি সময়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মতো এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন একেক সময় একেক নিয়ম করে। গত এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে অফ হয়েছিল পঞ্চম স্থানে আট দল ও চতুর্থ স্থানে থাকা সর্বনিম্ন চার দল নিয়ে। এবার সেই পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন।

বাংলাদেশ ১৯৮০ সালে কুয়েতেই প্রথম ও একবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্ব খেলেছিল। এরপর আর মূল পর্বে খেলতে পারেনি। মাঝে বাছাইতেও অংশ নিতে পারেনি। এখন আবার বাছাইতে ফিরছে বাংলাদেশ দল। 

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: