০৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের সার্ভার জটিলতায় অগ্রণী ব্যাংকে লেনদেনে ধীর গতি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১
  • / ৪১৫৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: রিয়েল টাইমে কাজ করছে না সার্ভার। এ কারণে একজন গ্রাহকের অনলাইনে নানা তথ্য উপাত্ত নিশ্চিত করতে বেশ সময় লাগছে। ফলে ব্যাংকটিতে লেনদেন নিস্পত্তি হয় ধীর গতিতে। 

সোমবার (১৭ মে) এমন চিত্র ছিল অগ্রণী ব্যাংকে।  তবে এটি শুধু আজকের ঘটনা নয় এভাবেই বেশ কিছুদিন ধরে চলছে অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহক সেবা।

গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক দিন ধরেই সার্ভারে ধীর গতি।  বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছে ঈদের আগে।  তখন অনেক গ্রাহক দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চেক নিস্পত্তি করতে পারেনি। আবার অনেকের ভাগ্যে দীর্ঘ অপেক্ষার পর লেনদেন করা সম্ভব হয়েছে।  মোট কথা সার্ভার জটিলতায় গ্রাহকদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের আগে সরকার লকডাউন ঘোষণা করার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রথম নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ব্যাংক বন্ধ থাকবে।  পরবর্তী সময়ে  ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সীমিত সময়ে লেনদেন চলবে। এরপর দিনই ব্যাংকে গ্রাহকরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে।  অনেকের ধারণা ছিল যেকোনো সময় লকডাউনে সীমিত সময়ে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে।  তাই গ্রাহকদের লেনদেনে বড় ধরনের চাপ সামলাতে গিয়ে সার্ভারের জটিলতা বাড়তে থাকে।  এতে অনেক গ্রাহকই ভোগান্তিতে পড়েন।  গত ৬ মে থেকেই ব্যাংকের সার্ভারে সমস্যা দেখা দেয়, যা ৯ মে লেনদেনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তারা আরও বলছেন, ঈদের আগে সমস্যা হলেও তা সমাধান ঈদের পরও সম্ভব হয়নি। কারণ, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ  রোধে বিশ্বের নানা দেশে চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে সার্ভার আপডেট করার জন্য যেসব বিদেশি বিশেষজ্ঞ আসার কথা তারা আসতে পারছে না।  ঈদের আগেই এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শামসুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘সার্ভারের সমস্যার কারণে লেনদেন সমস্যা হচ্ছে। আমাদের সার্ভারটি অনেক পুরানো। সার্ভার আপডেট করতে যাচ্ছি। আমাদের সার্ভারটি ৯ ভার্সন রয়েছে এটা ২১শে কনভার্ট করবো। কিন্তু কোভিডের কারণে আমাদের ফরেন টেকনিক্যাল টিমের সদস‌্যরা আসতে পারছেন না। এ কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হঠাৎ করে গ্রাহকের লেনদেন বেড়ে গেছে। সাধারণের তুলনায় এখন তিন চার গুণ বেশি গ্রাহক লেনদেন করছেন। আগে সাধারণ সময় আমাদের লাখ ভাউচার হতো। সেখানে এখন সোয়া তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ ভাউচার হচ্ছে। সবাই এক সঙ্গে এন্ট্রি দেওয়ায় চাপ বেশি পড়ছে। তবে এটি বড় কোনো সমস্যা নয়।’

অগ্রণী ব‌্যাংকের এমডি জানান, ব‌্যাংক খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। কিন্তু গ্রাহক সকালে বেশি আসছেন। অনেকে জানেন না, ২টা পর্যন্ত লেনদেন চলছে। গ্রাহক যদি একসঙ্গে সকালে না এসে সুবিধামতো সময়ে আসে তাহলে এই সমস্যা হবে না। আর নতুন সার্ভার আপডেট হলে এ সমস্যা থাকবে না।

এদিকে, সার্ভার জটিলতার মধ্যেই গতকাল প্রধান কার্যালয়ে প্রধান শাখায় বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে লেনদেনে বিঘ্ন ঘটে। পরে অবশ্য তা সমাধান হয়ে যায়। তবে দুটি সমস্যা এক সঙ্গে হওয়ার পরও ঈদের পর গ্রাহক উপস্থিতি কম থাকায় বিষয়টি নিয়ে বেগ পেতে হয়নি অগ্রণী ব্যাংককে।  আজ সোমবার (১৭ মে) বৈদ্যুতিক সমস্যা না থাকলেও ঈদ পরবর্তীতে গ্রাহকদের উপস্থিতি ছিল কম। তবে সার্ভারে ধীর গতি রয়েই গেছে।

সোমবার (১৭ মে) অগ্রণী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক-১ মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন,  মতিঝিল এলাকায় গতকাল ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) লাইনের সমস্যার কারণে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এবং শিল্প ভবনে বিদ্যুৎ ছিল না।  ব্যাংকে জেনারেটর দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। তবে আজ সেই সমস্যা নেই। আর সার্ভারের যে সমস্যা রয়ে গেছে দুদিন ধরে ঈদ পরবর্তী গ্রাহক উপস্থিতি কম থাকায় লেনদেন অনেকটা স্বাচ্ছন্দে করা গেছে। লকডাউন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সার্ভার আপডেট করা হবে। তখন এ সমস্যা কেটে যাবে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

ফের সার্ভার জটিলতায় অগ্রণী ব্যাংকে লেনদেনে ধীর গতি

আপডেট: ০৭:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: রিয়েল টাইমে কাজ করছে না সার্ভার। এ কারণে একজন গ্রাহকের অনলাইনে নানা তথ্য উপাত্ত নিশ্চিত করতে বেশ সময় লাগছে। ফলে ব্যাংকটিতে লেনদেন নিস্পত্তি হয় ধীর গতিতে। 

সোমবার (১৭ মে) এমন চিত্র ছিল অগ্রণী ব্যাংকে।  তবে এটি শুধু আজকের ঘটনা নয় এভাবেই বেশ কিছুদিন ধরে চলছে অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহক সেবা।

গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক দিন ধরেই সার্ভারে ধীর গতি।  বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছে ঈদের আগে।  তখন অনেক গ্রাহক দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চেক নিস্পত্তি করতে পারেনি। আবার অনেকের ভাগ্যে দীর্ঘ অপেক্ষার পর লেনদেন করা সম্ভব হয়েছে।  মোট কথা সার্ভার জটিলতায় গ্রাহকদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের আগে সরকার লকডাউন ঘোষণা করার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রথম নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ব্যাংক বন্ধ থাকবে।  পরবর্তী সময়ে  ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সীমিত সময়ে লেনদেন চলবে। এরপর দিনই ব্যাংকে গ্রাহকরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে।  অনেকের ধারণা ছিল যেকোনো সময় লকডাউনে সীমিত সময়ে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে।  তাই গ্রাহকদের লেনদেনে বড় ধরনের চাপ সামলাতে গিয়ে সার্ভারের জটিলতা বাড়তে থাকে।  এতে অনেক গ্রাহকই ভোগান্তিতে পড়েন।  গত ৬ মে থেকেই ব্যাংকের সার্ভারে সমস্যা দেখা দেয়, যা ৯ মে লেনদেনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তারা আরও বলছেন, ঈদের আগে সমস্যা হলেও তা সমাধান ঈদের পরও সম্ভব হয়নি। কারণ, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ  রোধে বিশ্বের নানা দেশে চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে সার্ভার আপডেট করার জন্য যেসব বিদেশি বিশেষজ্ঞ আসার কথা তারা আসতে পারছে না।  ঈদের আগেই এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শামসুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘সার্ভারের সমস্যার কারণে লেনদেন সমস্যা হচ্ছে। আমাদের সার্ভারটি অনেক পুরানো। সার্ভার আপডেট করতে যাচ্ছি। আমাদের সার্ভারটি ৯ ভার্সন রয়েছে এটা ২১শে কনভার্ট করবো। কিন্তু কোভিডের কারণে আমাদের ফরেন টেকনিক্যাল টিমের সদস‌্যরা আসতে পারছেন না। এ কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হঠাৎ করে গ্রাহকের লেনদেন বেড়ে গেছে। সাধারণের তুলনায় এখন তিন চার গুণ বেশি গ্রাহক লেনদেন করছেন। আগে সাধারণ সময় আমাদের লাখ ভাউচার হতো। সেখানে এখন সোয়া তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ ভাউচার হচ্ছে। সবাই এক সঙ্গে এন্ট্রি দেওয়ায় চাপ বেশি পড়ছে। তবে এটি বড় কোনো সমস্যা নয়।’

অগ্রণী ব‌্যাংকের এমডি জানান, ব‌্যাংক খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। কিন্তু গ্রাহক সকালে বেশি আসছেন। অনেকে জানেন না, ২টা পর্যন্ত লেনদেন চলছে। গ্রাহক যদি একসঙ্গে সকালে না এসে সুবিধামতো সময়ে আসে তাহলে এই সমস্যা হবে না। আর নতুন সার্ভার আপডেট হলে এ সমস্যা থাকবে না।

এদিকে, সার্ভার জটিলতার মধ্যেই গতকাল প্রধান কার্যালয়ে প্রধান শাখায় বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে লেনদেনে বিঘ্ন ঘটে। পরে অবশ্য তা সমাধান হয়ে যায়। তবে দুটি সমস্যা এক সঙ্গে হওয়ার পরও ঈদের পর গ্রাহক উপস্থিতি কম থাকায় বিষয়টি নিয়ে বেগ পেতে হয়নি অগ্রণী ব্যাংককে।  আজ সোমবার (১৭ মে) বৈদ্যুতিক সমস্যা না থাকলেও ঈদ পরবর্তীতে গ্রাহকদের উপস্থিতি ছিল কম। তবে সার্ভারে ধীর গতি রয়েই গেছে।

সোমবার (১৭ মে) অগ্রণী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক-১ মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন,  মতিঝিল এলাকায় গতকাল ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) লাইনের সমস্যার কারণে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এবং শিল্প ভবনে বিদ্যুৎ ছিল না।  ব্যাংকে জেনারেটর দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। তবে আজ সেই সমস্যা নেই। আর সার্ভারের যে সমস্যা রয়ে গেছে দুদিন ধরে ঈদ পরবর্তী গ্রাহক উপস্থিতি কম থাকায় লেনদেন অনেকটা স্বাচ্ছন্দে করা গেছে। লকডাউন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সার্ভার আপডেট করা হবে। তখন এ সমস্যা কেটে যাবে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: