একটি বদলির জন্য কোটি টাকার অফার এসেছিল: শিক্ষা উপদেষ্টা

- আপডেট: ০৬:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
- / ১০৩৩৮ বার দেখা হয়েছে
শিক্ষা ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে জিরো টলারেন্স নীতিতে অবস্থানের কথা উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার জানান, ব্যক্তিগতভাবে তাকে একটি বদলির জন্য এক কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
আজ বুধবার (০৪ জুন) আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় শিক্ষার দুর্নীতি চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে এ কথা জানান শিক্ষা উপদেষ্টা।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একটি বড় পদের পদায়নের জন্য আমার কাছে তদবির এসেছিল। তার জন্য প্রথিতযশা একজন কম্পিটিড ইন্সটেকচেলিয়াল (বুদ্ধিজীবী) তদবির করেছিল। পরে তার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখি তিনি ওই পদের জন্য যোগ্য নন। তখন আমরা তাকে প্রত্যাখ্যান করি। পরবর্তীতে তিনি অন্য মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে এবং সে আমাকে একটা অ্যামাউন্ট অফার করেন। টাকাও আমি বলে দেই এক কোটি টাকা অফার করেছিলেন। তিনি যাকে দিয়ে বলেছিলেন তিনি আমার পরিচিত। যিনিও একটি প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন। আমি আর বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না। আমি বুঝাতে চাচ্ছি আমার সহকর্মী যারা আছেন তারা যেন নৈতিক অবস্থানে স্থির থাকে। আমি পদে থাকা অবস্থায় কোন দুর্নীতি সহ্য করব না।
ড. আবরার বলেন, দুর্নীতির কথা আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শুনি। আমার কাছে যে পত্রিকাগুলো আসে, সেগুলোর বেশিরভাগ কাটিং-এ দুর্নীতির খবর থাকে। তবে কোনটা সত্য, কোনটা সত্য না তা যাচাই করার সবসময় সক্ষমতা আমাদের হাতে থাকে না। তবে যেখানে ঘটনা ঘটে, আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—জিরো টলারেন্স।
আরও পড়ুন: প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পাবে জামায়াত: ইসি
সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/টিএ