১২:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

মানবসেবার সাথে ছাত্রলীগকে লেখাপড়াও শিখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
  • / ১০৩৫০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মানবতার সেবার পাশাপাশি লেখাপড়া শিখতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি আমি চাই। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসবে এবং সে জন্য আমাদের আজকের প্রজন্ম বা প্রজন্মের পর প্রজন্ম নিজেদেরকে প্রস্তুত করবে।’

আজ বুধবার শোকাবহ আগস্টের শেষ দিনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, ‘এখন তথ্য-প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের যুগ। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-দীক্ষায় উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। কেননা দেশ চালাতে গেলে শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রয়োজন রয়েছে। তেমনি ইতিহাস জানতে হবে এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ব্যক্তিগত স্বার্থ ও লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে ত্যাগ স্বীকার করে এগিয়ে গেলেই নিজেদের প্রকৃত নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে ত্যাগ স্বীকার করে এগোতে পারলে সঠিক নেতা হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা যায়। কিন্তু গড্ডলিকাপ্রবাহে অর্থ সম্পদের পেছনে ছুটলে ওই অর্থ সম্পদেই ভেসে যেতে হয়। তাতে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতাও থাকে না, দেশ এবং মানুষকেও কিছু দেওয়া যায় না।’

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের খুনিদেরকেই শুধু এ দেশে পুরস্কৃত করা হয়নি, ৭ই মার্চের ভাষণকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সাথে স্বাধীনতার পুরো ইতিহাসটা মুছে ফেলে দিয়ে আবিষ্কার হলো এক মেজর হুইসেল দিল আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেল। আর এ জন্য সংগ্রামের যে পথ ও ইতিহাস সেটা তাদের জানা নেই। তাই আমি বলব, ছাত্ররাজনীতি করতে হলে ইতিহাস জানতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতিহাস না জানলে শিক্ষা নেওয়া যায় না, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হয়। আগামী দিনে চলার পথ তৈরি করতে হয়। যদিও ইতিহাসের একই রকম পুনরাবৃত্তি ঘটবে না তবে সময়ের বিবর্তনে সেটা আসবে। আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি বলেই আমরা সেটা জানি।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ জাতির পিতার হাতে গড়া। আমি জানি, ছাত্রলীগ সম্পর্কে অনেক অনেক কথা লেখা হয়। এত বড় একটা সংগঠন, তার মধ্যে কিছু কিছু তো…আমরা ক্ষমতায় আছি বলে অনেকেই ভেতরে ঢুকে যায়, ঢুকে নিজেরাই গোলমাল করে, বদনামটা ছাত্রলীগের ওপরে পড়ে।’

শেখ হাসিনা বলেন, গ্রুপ বাড়ানোর জন্য আলতু-ফালতু লোক ঢোকানো যাবে না। তাতে নিজেদের বদনাম, দলের বদনাম, দেশের বদনাম। 

ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন। মহানগর উত্তরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন এবং সাইদুর রহমান হৃদয়, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান ও জুবায়ের আহমেদ এবং ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জীব চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সভা সঞ্চালনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুটি প্রকাশনা ‘মাতৃভূমি’ এবং ‘জয় বাংলা’র মোড়ক উন্মোচন করেন। সভার শুরুতে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের শহীদ এবং বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

আরও পড়ুন: দেশে গুম-খুনের সংস্কৃতি চালু করেছে জিয়া: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

মানবসেবার সাথে ছাত্রলীগকে লেখাপড়াও শিখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৬:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মানবতার সেবার পাশাপাশি লেখাপড়া শিখতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি আমি চাই। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসবে এবং সে জন্য আমাদের আজকের প্রজন্ম বা প্রজন্মের পর প্রজন্ম নিজেদেরকে প্রস্তুত করবে।’

আজ বুধবার শোকাবহ আগস্টের শেষ দিনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, ‘এখন তথ্য-প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের যুগ। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-দীক্ষায় উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। কেননা দেশ চালাতে গেলে শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রয়োজন রয়েছে। তেমনি ইতিহাস জানতে হবে এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ব্যক্তিগত স্বার্থ ও লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে ত্যাগ স্বীকার করে এগিয়ে গেলেই নিজেদের প্রকৃত নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে ত্যাগ স্বীকার করে এগোতে পারলে সঠিক নেতা হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা যায়। কিন্তু গড্ডলিকাপ্রবাহে অর্থ সম্পদের পেছনে ছুটলে ওই অর্থ সম্পদেই ভেসে যেতে হয়। তাতে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতাও থাকে না, দেশ এবং মানুষকেও কিছু দেওয়া যায় না।’

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের খুনিদেরকেই শুধু এ দেশে পুরস্কৃত করা হয়নি, ৭ই মার্চের ভাষণকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সাথে স্বাধীনতার পুরো ইতিহাসটা মুছে ফেলে দিয়ে আবিষ্কার হলো এক মেজর হুইসেল দিল আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেল। আর এ জন্য সংগ্রামের যে পথ ও ইতিহাস সেটা তাদের জানা নেই। তাই আমি বলব, ছাত্ররাজনীতি করতে হলে ইতিহাস জানতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতিহাস না জানলে শিক্ষা নেওয়া যায় না, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হয়। আগামী দিনে চলার পথ তৈরি করতে হয়। যদিও ইতিহাসের একই রকম পুনরাবৃত্তি ঘটবে না তবে সময়ের বিবর্তনে সেটা আসবে। আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি বলেই আমরা সেটা জানি।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ জাতির পিতার হাতে গড়া। আমি জানি, ছাত্রলীগ সম্পর্কে অনেক অনেক কথা লেখা হয়। এত বড় একটা সংগঠন, তার মধ্যে কিছু কিছু তো…আমরা ক্ষমতায় আছি বলে অনেকেই ভেতরে ঢুকে যায়, ঢুকে নিজেরাই গোলমাল করে, বদনামটা ছাত্রলীগের ওপরে পড়ে।’

শেখ হাসিনা বলেন, গ্রুপ বাড়ানোর জন্য আলতু-ফালতু লোক ঢোকানো যাবে না। তাতে নিজেদের বদনাম, দলের বদনাম, দেশের বদনাম। 

ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন। মহানগর উত্তরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন এবং সাইদুর রহমান হৃদয়, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান ও জুবায়ের আহমেদ এবং ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জীব চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সভা সঞ্চালনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুটি প্রকাশনা ‘মাতৃভূমি’ এবং ‘জয় বাংলা’র মোড়ক উন্মোচন করেন। সভার শুরুতে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের শহীদ এবং বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

আরও পড়ুন: দেশে গুম-খুনের সংস্কৃতি চালু করেছে জিয়া: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা/টিএ