১২:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

কসমেটিকস ব্যবসায় লাইসেন্স বাধ্যতামূলক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪২১৮ বার দেখা হয়েছে

নকল ঠেকাতে কসমেটিকস ব্যবসার জন্য ঔষধ প্রশাসন থেকে লাইসেন্স নেওয়ার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান ঔষধ আইনে ‘কসমেটিকস’ শব্দটি যুক্ত করে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস বিল-২০২৩’ সংশোধনীর জন্য সংসদে তোলা হয়েছে। বিলে ঔষধের কৃত্রিম সংকট ও বেশি মুনাফার লোভে মজুত করলে ১৪ বছর জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অনুপস্থিতিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজ বৃহস্পতিবার বিলটি সংসদে তোলেন। পরে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রস্তাবিত বিলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কসমেটিকস বিক্রি, আমদানি ও উৎপাদন করতে হলে লাইসেন্স নিতে হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর লাইসেন্স অথোরিটি হিসেবে কাজ করবে। এখন যারা কসমেটিকসের ব্যবসা বা উৎপাদন করছেন তাদের লাইসেন্স নিতে হবে। এ জন্য ঔষধ প্রশাসন বিধি প্রণয়ন করবে।

চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। ১৯৪০ সালের ড্রাগস আইন এবং ১৯৮২ সালের আইন দুটিকে এক করে যুগোপযোগী করে এই বিল আনা হয়েছে।

প্রস্তুাবিত আইনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে ঔষধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা, নতুন ঔষধ, ভ্যাকসিন মেডিকেল ডেভেলপ করার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ডিআইজি প্রিজন বজলুরের জামিন স্থগিত

বলা হয়েছে, ওভার দ্যা কাউন্টার ঔষধ ছাড়া রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত কোনো ঔষধ বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধ থাকবে এবং এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মেডিকেল ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আইনে ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মেডিকেল ডিভাইসকে ঔষধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কিছু ঔষধের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিলের তফসিলে ৩০ ধরনের অপরাধ চিহ্নিত করে সেগুলোর ক্ষেত্রে কী সাজা হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অপরাধের ধরন অনুযায়ী সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা জরিমানা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

কসমেটিকস ব্যবসায় লাইসেন্স বাধ্যতামূলক

আপডেট: ০৪:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩

নকল ঠেকাতে কসমেটিকস ব্যবসার জন্য ঔষধ প্রশাসন থেকে লাইসেন্স নেওয়ার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান ঔষধ আইনে ‘কসমেটিকস’ শব্দটি যুক্ত করে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস বিল-২০২৩’ সংশোধনীর জন্য সংসদে তোলা হয়েছে। বিলে ঔষধের কৃত্রিম সংকট ও বেশি মুনাফার লোভে মজুত করলে ১৪ বছর জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অনুপস্থিতিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজ বৃহস্পতিবার বিলটি সংসদে তোলেন। পরে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রস্তাবিত বিলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কসমেটিকস বিক্রি, আমদানি ও উৎপাদন করতে হলে লাইসেন্স নিতে হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর লাইসেন্স অথোরিটি হিসেবে কাজ করবে। এখন যারা কসমেটিকসের ব্যবসা বা উৎপাদন করছেন তাদের লাইসেন্স নিতে হবে। এ জন্য ঔষধ প্রশাসন বিধি প্রণয়ন করবে।

চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। ১৯৪০ সালের ড্রাগস আইন এবং ১৯৮২ সালের আইন দুটিকে এক করে যুগোপযোগী করে এই বিল আনা হয়েছে।

প্রস্তুাবিত আইনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে ঔষধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা, নতুন ঔষধ, ভ্যাকসিন মেডিকেল ডেভেলপ করার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ডিআইজি প্রিজন বজলুরের জামিন স্থগিত

বলা হয়েছে, ওভার দ্যা কাউন্টার ঔষধ ছাড়া রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত কোনো ঔষধ বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধ থাকবে এবং এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মেডিকেল ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আইনে ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মেডিকেল ডিভাইসকে ঔষধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কিছু ঔষধের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিলের তফসিলে ৩০ ধরনের অপরাধ চিহ্নিত করে সেগুলোর ক্ষেত্রে কী সাজা হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অপরাধের ধরন অনুযায়ী সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা জরিমানা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএ