০৮:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জার মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৫৭ বার দেখা হয়েছে

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জার ডাকে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে বের হওয়া একটি মিছিলে পুলিশ লাঠিপেটা করে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে কাদের মির্জার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। হরতালের সমর্থনে তাঁর সমর্থকেরা বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন এলাকায় পিকেটিং করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা লাঠিসোঁটা হাতে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করেন। মিছিলটি বসুরহাট রুপালি চত্বর থেকে থানার দিকে যায়। এ সময় থানার সামনে অবস্থানকারী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয় কাদের মির্জার। একপর্যায়ে কাদের মির্জা মিছিল নিয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকলে পেছন থেকে পুলিশ ধাওয়া দেয় এবং লাঠিপেটা করে। এ সময় মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে গেলেও কাদের মির্জা সড়কের ওপর প্রায় আধা ঘণ্টা বসে থাকেন। পরে দলীয় ও পরিবারের লোকজন তাঁকে সেখান থেকে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে যান।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক সকাল নয়টার দিকে প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, সকালে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে থানার দিকে হামলা করতে আসেন। এ সময় থানার সামনে অবস্থাকারী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে কাদের মির্জা অশালীন উক্তি ও মারমুখী আচরণ করেন। একপর্যায়ে কাদের মির্জা সমর্থকদের নিয়ে থানার ভেতরে ঢুকে পড়তে উদ্যত হলে পুলিশ ধাওয়া করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় কাদের মির্জা থানার সামনে সড়কের ওপর প্রায় আধা ঘণ্টা বসে থাকেন।

 

নোয়াখালী ও ফেনীর দুই সাংসদের অপরাজনীতি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ও পরিদর্শক তদন্তকে প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে আবদুল কাদের মির্জার ডাকে গত বৃহস্পতিবার হরতাল পালিত হয়। আজকের হরতালের বিষয়ে জানতে গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। পরে একই বিষয়ে জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরীকে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বসুরহাট শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। কাদের মির্জার নেতৃত্বে বের হওয়া মিছিল শেষে রাতে শনিবার হরতালের ঘোষণা দেন তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে চাপরাশিরহাট বাজারসংলগ্ন বাড়িতে মতবিনিময় সভা শেষে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। মিছিলটি চাপরাশিরহাট বাজারে এলে সেখানে অবস্থানকারী কাদের মির্জার অনুসারী একদল কর্মী মিছিলে হামলা চালান। এ সময় সেখানে উপস্থিত পুলিশ দুই পক্ষকে দুদিকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর কাদের মির্জার একদল নেতা-কর্মী মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে চাপরাশিরহাট বাজারসংলগ্ন মিজানুর রহমান বাদলের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে দ্বিতীয়বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জার মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা

আপডেট: ১১:৩১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জার ডাকে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে বের হওয়া একটি মিছিলে পুলিশ লাঠিপেটা করে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে কাদের মির্জার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। হরতালের সমর্থনে তাঁর সমর্থকেরা বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন এলাকায় পিকেটিং করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা লাঠিসোঁটা হাতে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করেন। মিছিলটি বসুরহাট রুপালি চত্বর থেকে থানার দিকে যায়। এ সময় থানার সামনে অবস্থানকারী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয় কাদের মির্জার। একপর্যায়ে কাদের মির্জা মিছিল নিয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকলে পেছন থেকে পুলিশ ধাওয়া দেয় এবং লাঠিপেটা করে। এ সময় মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে গেলেও কাদের মির্জা সড়কের ওপর প্রায় আধা ঘণ্টা বসে থাকেন। পরে দলীয় ও পরিবারের লোকজন তাঁকে সেখান থেকে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে যান।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক সকাল নয়টার দিকে প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, সকালে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে থানার দিকে হামলা করতে আসেন। এ সময় থানার সামনে অবস্থাকারী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে কাদের মির্জা অশালীন উক্তি ও মারমুখী আচরণ করেন। একপর্যায়ে কাদের মির্জা সমর্থকদের নিয়ে থানার ভেতরে ঢুকে পড়তে উদ্যত হলে পুলিশ ধাওয়া করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় কাদের মির্জা থানার সামনে সড়কের ওপর প্রায় আধা ঘণ্টা বসে থাকেন।

 

নোয়াখালী ও ফেনীর দুই সাংসদের অপরাজনীতি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ও পরিদর্শক তদন্তকে প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে আবদুল কাদের মির্জার ডাকে গত বৃহস্পতিবার হরতাল পালিত হয়। আজকের হরতালের বিষয়ে জানতে গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। পরে একই বিষয়ে জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরীকে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বসুরহাট শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। কাদের মির্জার নেতৃত্বে বের হওয়া মিছিল শেষে রাতে শনিবার হরতালের ঘোষণা দেন তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে চাপরাশিরহাট বাজারসংলগ্ন বাড়িতে মতবিনিময় সভা শেষে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। মিছিলটি চাপরাশিরহাট বাজারে এলে সেখানে অবস্থানকারী কাদের মির্জার অনুসারী একদল কর্মী মিছিলে হামলা চালান। এ সময় সেখানে উপস্থিত পুলিশ দুই পক্ষকে দুদিকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর কাদের মির্জার একদল নেতা-কর্মী মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে চাপরাশিরহাট বাজারসংলগ্ন মিজানুর রহমান বাদলের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে দ্বিতীয়বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: