০৫:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

ড. ইউনূসের কর ফাঁকি প্রমাণিত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
  • / ৪১৮৯ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

আয়কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দেওয়া নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা তিনটি মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। ফলে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় এনবিআরকে ২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ সালের কর ফাঁকি বাবদ বকেয়া ১২ কোটি টাকারও বেশি পরিশোধ করতে হবে।

এ-সংক্রান্ত তিনটি মামলার শুনানি শেষে বুধবার (৩১ মে) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান।

শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেলে এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ড. ইউনূস বলেছেন তিনি তার টাকা দান করেছেন, তাই কর অব্যাহতি পাবেন। আর আমরা (রাষ্ট্রপক্ষ) বলেছি, কর অব্যাহতির যেসব কারণ উল্লেখ করা আছে, সেগুলোর মধ্যে তারটা (ড. ইউনূস) পড়ে না। এ জন্য তাকে দানকর দিতে হবে। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন। শুনানি শেষে আগামী ৩১ মে রায়ের দিন ধার্য করেছেন।

জানা গেছে, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে ড. ইউনূসকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা দানকর দাবি করা হয়। আবার ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।

আরও পড়ুন: বাজেটের ঘাটতি পূরণে আরও বাড়ছে সরকারের ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা

দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের ওই তিনটি নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন ড. ইউনূস। ট্যাক্স আপিল ট্রাইব্যুনালে এসব মামলা করা হয়। মামলায় ড. ইউনূসের দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না।

এরপর ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর তার আবেদন খারিজ করেন আদালত। এরপর ২০১৫ সালে তিনি হাইকোর্টে তিনটি রিট মামলা করেন। ওই মামলাগুলোর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ ৩১ মে দিন নির্ধারণ করেছিলেন হাইকোর্ট।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ড. ইউনূসের কর ফাঁকি প্রমাণিত

আপডেট: ০২:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

আয়কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দেওয়া নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা তিনটি মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। ফলে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় এনবিআরকে ২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ সালের কর ফাঁকি বাবদ বকেয়া ১২ কোটি টাকারও বেশি পরিশোধ করতে হবে।

এ-সংক্রান্ত তিনটি মামলার শুনানি শেষে বুধবার (৩১ মে) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান।

শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেলে এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ড. ইউনূস বলেছেন তিনি তার টাকা দান করেছেন, তাই কর অব্যাহতি পাবেন। আর আমরা (রাষ্ট্রপক্ষ) বলেছি, কর অব্যাহতির যেসব কারণ উল্লেখ করা আছে, সেগুলোর মধ্যে তারটা (ড. ইউনূস) পড়ে না। এ জন্য তাকে দানকর দিতে হবে। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন। শুনানি শেষে আগামী ৩১ মে রায়ের দিন ধার্য করেছেন।

জানা গেছে, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে ড. ইউনূসকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা দানকর দাবি করা হয়। আবার ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।

আরও পড়ুন: বাজেটের ঘাটতি পূরণে আরও বাড়ছে সরকারের ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা

দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের ওই তিনটি নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন ড. ইউনূস। ট্যাক্স আপিল ট্রাইব্যুনালে এসব মামলা করা হয়। মামলায় ড. ইউনূসের দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না।

এরপর ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর তার আবেদন খারিজ করেন আদালত। এরপর ২০১৫ সালে তিনি হাইকোর্টে তিনটি রিট মামলা করেন। ওই মামলাগুলোর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ ৩১ মে দিন নির্ধারণ করেছিলেন হাইকোর্ট।

ঢাকা/এসএ