০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

দেশে এক বছরে যানবাহন দুর্ঘটনায় নিহত ৮৫০৫

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:২১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৩৭ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

সদ্য বিদায়ী ২০২৩ সালে যেন ছিলো বাংলাদেশের জন্য দুর্ঘটনার বছর। সারাদেশে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে ৬ হাজার ৯২৯টি যানবাহনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৫০৫জন নিহত নিহত হয়েছেন। এছাড়া ১০ হাজার ৯৯৯ জন আহত হয়েছেন।

আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। আয়োজিত বার্ষিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য তুলে ধরেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৯০২ জন নিহত, ১০ হাজার ৩৭২ জন আহত হয়েছেন। একই সময় রেলপথে ৫২০টি দুর্ঘটনায় ৫১২ নিহত, ৪৭৫ জন আহত হন। নৌ-পথে ১৪৮টি দুর্ঘটনায় ৯১ জন নিহত, ১৫২ জন আহত ও ১০৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। একই সময়ে ২ হাজার ৩১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ হাজার ১৫২ নিহত ও ১ হাজার ৩৩৯জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৭৩৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৭১২ জন নিহত, ২ হাজার ৩৮১ জন আহত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ২৩৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ২০৫ জন নিহত, ২ হাজার ২৯৪ জন আহত হয়েছে। খুলনা বিভাগে ৭৬৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৬৪ জন নিহত,১ হাজার ৭৮ জন আহত হয়েছে। বরিশাল বিভাগে ৩৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৯ জন নিহত, ৯৯২ জন আহত হয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগে ৪১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৪ জন নিখুঁত, ৬৬৫ জন আহত হয়েছে। সিলেট বিভাগে ৩৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৩ জন নিহত, ৯২৬ জন আহত হয়েছে। রংপুর বিভাগে ৫৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬২৬ জন নিহত, আহত ৩২১ হয়েছেন। রাজশাহী বিভাগে ৭৮৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৯৩ জন নিহত ও ১ হাজার ১৬৮ জন আহত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বিদায়ী বছরে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ১৭ জানুয়ারি, এইদিনে ৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়েছে। ২৬ মার্চ সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে, এইদিনে ৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় সবচেয়ে নিহত হয়েছে ৩৭ জুলাই, এইদিনে ৩০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত ও ৯৮ জন আহত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছে ৪ মার্চ, এইদিনে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত ও ১৪৮ জন আহত হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রয়োজনে নতুন কারিকুলামের মূল্যায়নে পরিবর্তন: শিক্ষামন্ত্রী

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে— বেপরোয়া গতি; বিপদজনক অভারটেকিং; রাস্তাঘাটের নির্মাণ ত্রুটি; ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল; যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা; চালকের অদক্ষতা; যানবাহন চালক ও মালিকের বেপরোয়া মনোভাব; চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার; মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো; রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা; রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা; ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ; ট্রাফিক আইন অমান্য করা; ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি; সড়কে চাঁদাবাজি; রাস্তার উপর হাট-বাজার; ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন চালানো; মালিকের অতিরিক্ত মুনাফার মানসিকতা; চালকের নিয়োগ ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট না থাকা; সড়কে আলোকসজ্জা না থাকা; রোড ডিভাইডার পর্যাপ্ত উচু না থাকা; সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহি না থাকা এবং দেশব্যাপী নিরাপদ, আধুনিক, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থার পরিবর্তে টুকটুকি-ইজিবাইক-ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা নির্ভর গণপরিবহন।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে— করোনার চেয়ে ভয়াবহ মহামারি বিবেচনায় সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার প্রকল্পে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা; নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা; সড়ক নিরাপত্তায় বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে গঠিত সড়ক নিরাপত্তা ইউনিট শক্তিশালী করা; সড়ক নিরাপত্তায় ইতিমধ্যে প্রণীত যাবতীয় সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করা; দেশের সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন, রোড মার্কিন (ট্রাফিক চিহ্ন) স্থাপন করা। জেব্রা ক্রসিং অংকন ও আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; গণপরিবহন চালকদের যুগোপযোগী পেশাদার ট্রেনিং ও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা; সড়ক পরিবহন সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।

অনিয়ম-দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা; গাড়ির নিবন্ধন, ফিটনেস ও চালকদের লাইসেন্স প্রদানের পদ্ধতি উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিকায়ন করা; সড়ক দুর্ঘটনায় আর্থিক সহায়তা তহবিলে আবেদনের সময়সীমা ৬ মাস নির্ধারণ করা; স্মার্ট গণ-পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দেশব্যাপী পর্যাপ্ত মানসম্মত নতুন বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়া; ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্য ট্রাফিক ট্রেনিং একাডেমী গড়ে তোলা; উল্টো পথের আলো এবং পথচারীর পারাপার রোধে মহাসড়কের রোড ডিভাইডার পর্যাপ্ত উঁচু করা; গণ-পরিবহনে সেবা ও নিরাপত্তার মান পর্যবেক্ষণের জন্য মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সচিব, জেলা প্রশাসকদের প্রতিমাসে একদিন পরিচয় গোপন রেখে গণ-পরিবহন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

x

দেশে এক বছরে যানবাহন দুর্ঘটনায় নিহত ৮৫০৫

আপডেট: ০১:২১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

সদ্য বিদায়ী ২০২৩ সালে যেন ছিলো বাংলাদেশের জন্য দুর্ঘটনার বছর। সারাদেশে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে ৬ হাজার ৯২৯টি যানবাহনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৫০৫জন নিহত নিহত হয়েছেন। এছাড়া ১০ হাজার ৯৯৯ জন আহত হয়েছেন।

আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। আয়োজিত বার্ষিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য তুলে ধরেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৯০২ জন নিহত, ১০ হাজার ৩৭২ জন আহত হয়েছেন। একই সময় রেলপথে ৫২০টি দুর্ঘটনায় ৫১২ নিহত, ৪৭৫ জন আহত হন। নৌ-পথে ১৪৮টি দুর্ঘটনায় ৯১ জন নিহত, ১৫২ জন আহত ও ১০৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। একই সময়ে ২ হাজার ৩১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ হাজার ১৫২ নিহত ও ১ হাজার ৩৩৯জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৭৩৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৭১২ জন নিহত, ২ হাজার ৩৮১ জন আহত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ২৩৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ২০৫ জন নিহত, ২ হাজার ২৯৪ জন আহত হয়েছে। খুলনা বিভাগে ৭৬৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৬৪ জন নিহত,১ হাজার ৭৮ জন আহত হয়েছে। বরিশাল বিভাগে ৩৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৯ জন নিহত, ৯৯২ জন আহত হয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগে ৪১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৪ জন নিখুঁত, ৬৬৫ জন আহত হয়েছে। সিলেট বিভাগে ৩৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৩ জন নিহত, ৯২৬ জন আহত হয়েছে। রংপুর বিভাগে ৫৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬২৬ জন নিহত, আহত ৩২১ হয়েছেন। রাজশাহী বিভাগে ৭৮৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৯৩ জন নিহত ও ১ হাজার ১৬৮ জন আহত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বিদায়ী বছরে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ১৭ জানুয়ারি, এইদিনে ৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়েছে। ২৬ মার্চ সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে, এইদিনে ৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় সবচেয়ে নিহত হয়েছে ৩৭ জুলাই, এইদিনে ৩০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত ও ৯৮ জন আহত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছে ৪ মার্চ, এইদিনে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত ও ১৪৮ জন আহত হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রয়োজনে নতুন কারিকুলামের মূল্যায়নে পরিবর্তন: শিক্ষামন্ত্রী

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে— বেপরোয়া গতি; বিপদজনক অভারটেকিং; রাস্তাঘাটের নির্মাণ ত্রুটি; ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল; যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা; চালকের অদক্ষতা; যানবাহন চালক ও মালিকের বেপরোয়া মনোভাব; চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার; মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো; রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা; রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা; ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ; ট্রাফিক আইন অমান্য করা; ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি; সড়কে চাঁদাবাজি; রাস্তার উপর হাট-বাজার; ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন চালানো; মালিকের অতিরিক্ত মুনাফার মানসিকতা; চালকের নিয়োগ ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট না থাকা; সড়কে আলোকসজ্জা না থাকা; রোড ডিভাইডার পর্যাপ্ত উচু না থাকা; সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহি না থাকা এবং দেশব্যাপী নিরাপদ, আধুনিক, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থার পরিবর্তে টুকটুকি-ইজিবাইক-ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা নির্ভর গণপরিবহন।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে— করোনার চেয়ে ভয়াবহ মহামারি বিবেচনায় সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার প্রকল্পে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা; নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা; সড়ক নিরাপত্তায় বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে গঠিত সড়ক নিরাপত্তা ইউনিট শক্তিশালী করা; সড়ক নিরাপত্তায় ইতিমধ্যে প্রণীত যাবতীয় সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করা; দেশের সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন, রোড মার্কিন (ট্রাফিক চিহ্ন) স্থাপন করা। জেব্রা ক্রসিং অংকন ও আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; গণপরিবহন চালকদের যুগোপযোগী পেশাদার ট্রেনিং ও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা; সড়ক পরিবহন সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।

অনিয়ম-দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা; গাড়ির নিবন্ধন, ফিটনেস ও চালকদের লাইসেন্স প্রদানের পদ্ধতি উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিকায়ন করা; সড়ক দুর্ঘটনায় আর্থিক সহায়তা তহবিলে আবেদনের সময়সীমা ৬ মাস নির্ধারণ করা; স্মার্ট গণ-পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দেশব্যাপী পর্যাপ্ত মানসম্মত নতুন বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়া; ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্য ট্রাফিক ট্রেনিং একাডেমী গড়ে তোলা; উল্টো পথের আলো এবং পথচারীর পারাপার রোধে মহাসড়কের রোড ডিভাইডার পর্যাপ্ত উঁচু করা; গণ-পরিবহনে সেবা ও নিরাপত্তার মান পর্যবেক্ষণের জন্য মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সচিব, জেলা প্রশাসকদের প্রতিমাসে একদিন পরিচয় গোপন রেখে গণ-পরিবহন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।

ঢাকা/কেএ