০২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীকে ডা: জাফরুল্লাহ’র খোলা চিঠি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৩০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৭৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও খোলা চিঠি দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। চিঠিতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সাশ্রয়ী চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন, ওষুধ, মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সামগ্রী থেকে বিশেষ স্টেচুটরি রেগুলেটরি অর্ডারের (এসআরও) মাধ্যমে সব ধরনের শুল্ক, অগ্রিম আয়কর, মূসক প্রত্যাহার করাসহ ১১টি প্রস্তাবনা তুলেন ধরেন তিনি।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ‘জনস্বার্থে’ প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর খোলা চিঠিটি তার কার্যালয়ে পৌঁছে দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।

চিঠিতে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, কোভিড- ১৯ রোগীর সাশ্রয়ী ও উন্নত চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন, ওষুধ, মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সামগ্রী থেকে সব ধরনের শুল্ক, অগ্রিম আয়কর, মূসক প্রভৃতি প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। আইসিইউ পরিচালনার জন্য জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসক ও নার্স প্যারামেডিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। ২০০ জন চিকিৎসক ও ৫০০ জন নার্স টেকনিশিয়ানকে আইসিইউতে দ্রুত অক্সিজেন প্রদান, নন-ইনভেসিব শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়া,শ্বাসতন্ত্রে টিউব মারফত অক্সিজেন সরবরাহ, অন্যান্য নিয়ন্ত্রিত শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য এক মাসের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা। সব ওষুধের মূল্য এবং রোগ পরীক্ষার পদ্ধতিসমূহের চার্জ সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করে দিতে হবে।

খোলা চিঠিতে ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, কারাগারে থাকা সব ব্যক্তিকে দ্রুত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা। খুনের দায়ে এবং দুর্নীতির কারণে দণ্ডিত আসামি ছাড়া অন্য সবাইকে জামিনে মুক্তি দেওয়া। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে প্রতিবছর ২০ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি করা এবং এমবিবিএস পাসের পর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এক বছর বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপের সুযোগ করে দিতে হবে। অতীতে এ নিয়ম চালু করে দুই সপ্তাহ পর প্রত্যাহার করে ভুল করেছিলেন।

আগামী বাজেটে সব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের নিরাপত্তা বেষ্টনী সংস্কার, গভীর নলকূপ ও বিদ্যুতায়ন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মেডিকেল, নার্সিং, ফিজিওথেরাপি ও টেকনিশিয়ানদের জন্য ডরমিটরি, ক্লাসরুম, লাইব্রেরি, ডাইনিং রুম এবং ৫ জন চিকিৎসক ও ১০ জন নার্সিং, ফিজিওথেরাপি ও টেকনিশিয়ান প্রধানদের জন্য ৬০০ থেকে ৭০০ বর্গফুটের বাসস্থান, বহির্বিভাগসহ ৩০ শয্যার হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও অপারেশন থিয়েটার নির্মাণের জন্য ৬ কোটি টাকা এবং অপারেশন থিয়েটার, এক্স-রে আলট্রাসনোলজি, চক্ষু ও বিভিন্ন ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতির জন্য কমপক্ষে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দের ব্যবস্থা নিন। এরূপ উন্নয়নে ইউনিয়নের প্রায় এক লক্ষ জনগণের জন্য আধুনিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। লকডাউন কার্যকর করার জন্য দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবারকে সরাসরি আর্থিক প্রণোদনার পরিবর্তে বিনামূল্যে মাসিক রেশন দিতে হবে। রেশন বিতরণে সামরিক বাহিনী, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং এনজিও কর্মীদের ব্যবহার সুফল দেবে।

ট্রিপসের বাধ্যতামূলক লাইসেন্সের মাধ্যমে ভ্যাকসিন উৎপাদন সুবিধা সৃষ্টির জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করে ইউরোপে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য ০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করুন, সুফল পাবেন। গত বছর দ্রুত সিনোজাকের ট্রায়াল অনুমোদন না দিয়ে যে ভুল করা হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়। গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত অ্যান্টিবডি অ্যান্টিজেন অনুমোদন ১ বছরে হয়নি। ড. বিজন কুমার শীলের ভিসা না হওয়ায় বাংলাদেশে ফিরতে পারছেন না। ক্ষতি হচ্ছে দেশের, বিষয়টি আপনাকে পুনরায় অবগত করলাম।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

প্রধানমন্ত্রীকে ডা: জাফরুল্লাহ’র খোলা চিঠি

আপডেট: ০৩:৩০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও খোলা চিঠি দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। চিঠিতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সাশ্রয়ী চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন, ওষুধ, মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সামগ্রী থেকে বিশেষ স্টেচুটরি রেগুলেটরি অর্ডারের (এসআরও) মাধ্যমে সব ধরনের শুল্ক, অগ্রিম আয়কর, মূসক প্রত্যাহার করাসহ ১১টি প্রস্তাবনা তুলেন ধরেন তিনি।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ‘জনস্বার্থে’ প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর খোলা চিঠিটি তার কার্যালয়ে পৌঁছে দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।

চিঠিতে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, কোভিড- ১৯ রোগীর সাশ্রয়ী ও উন্নত চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন, ওষুধ, মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সামগ্রী থেকে সব ধরনের শুল্ক, অগ্রিম আয়কর, মূসক প্রভৃতি প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। আইসিইউ পরিচালনার জন্য জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসক ও নার্স প্যারামেডিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। ২০০ জন চিকিৎসক ও ৫০০ জন নার্স টেকনিশিয়ানকে আইসিইউতে দ্রুত অক্সিজেন প্রদান, নন-ইনভেসিব শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়া,শ্বাসতন্ত্রে টিউব মারফত অক্সিজেন সরবরাহ, অন্যান্য নিয়ন্ত্রিত শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য এক মাসের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা। সব ওষুধের মূল্য এবং রোগ পরীক্ষার পদ্ধতিসমূহের চার্জ সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করে দিতে হবে।

খোলা চিঠিতে ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, কারাগারে থাকা সব ব্যক্তিকে দ্রুত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা। খুনের দায়ে এবং দুর্নীতির কারণে দণ্ডিত আসামি ছাড়া অন্য সবাইকে জামিনে মুক্তি দেওয়া। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে প্রতিবছর ২০ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি করা এবং এমবিবিএস পাসের পর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এক বছর বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপের সুযোগ করে দিতে হবে। অতীতে এ নিয়ম চালু করে দুই সপ্তাহ পর প্রত্যাহার করে ভুল করেছিলেন।

আগামী বাজেটে সব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের নিরাপত্তা বেষ্টনী সংস্কার, গভীর নলকূপ ও বিদ্যুতায়ন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মেডিকেল, নার্সিং, ফিজিওথেরাপি ও টেকনিশিয়ানদের জন্য ডরমিটরি, ক্লাসরুম, লাইব্রেরি, ডাইনিং রুম এবং ৫ জন চিকিৎসক ও ১০ জন নার্সিং, ফিজিওথেরাপি ও টেকনিশিয়ান প্রধানদের জন্য ৬০০ থেকে ৭০০ বর্গফুটের বাসস্থান, বহির্বিভাগসহ ৩০ শয্যার হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও অপারেশন থিয়েটার নির্মাণের জন্য ৬ কোটি টাকা এবং অপারেশন থিয়েটার, এক্স-রে আলট্রাসনোলজি, চক্ষু ও বিভিন্ন ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতির জন্য কমপক্ষে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দের ব্যবস্থা নিন। এরূপ উন্নয়নে ইউনিয়নের প্রায় এক লক্ষ জনগণের জন্য আধুনিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। লকডাউন কার্যকর করার জন্য দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবারকে সরাসরি আর্থিক প্রণোদনার পরিবর্তে বিনামূল্যে মাসিক রেশন দিতে হবে। রেশন বিতরণে সামরিক বাহিনী, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং এনজিও কর্মীদের ব্যবহার সুফল দেবে।

ট্রিপসের বাধ্যতামূলক লাইসেন্সের মাধ্যমে ভ্যাকসিন উৎপাদন সুবিধা সৃষ্টির জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করে ইউরোপে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য ০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করুন, সুফল পাবেন। গত বছর দ্রুত সিনোজাকের ট্রায়াল অনুমোদন না দিয়ে যে ভুল করা হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়। গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত অ্যান্টিবডি অ্যান্টিজেন অনুমোদন ১ বছরে হয়নি। ড. বিজন কুমার শীলের ভিসা না হওয়ায় বাংলাদেশে ফিরতে পারছেন না। ক্ষতি হচ্ছে দেশের, বিষয়টি আপনাকে পুনরায় অবগত করলাম।

ঢাকা/এসএ