০২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

বাড়ছে করোনা, সচেতনতায় মাঠে নামছে পুলিশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১
  • / ৪১৭১ বার দেখা হয়েছে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় তা রোধে মাঠে নামছে পুলিশ। আগামী ২১ মার্চ থেকে জনগণকে মাস্ক পরায় উদ্বুদ্ধ করতে সারাদেশে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি। করোনা সচেতনতা নিয়ে ডাকা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) পুলিশ অডিটরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আইজিপি বলেন, করোনা রোধে মাস্কের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সবার উচিত কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা। যাতে আমরা ও আমাদের পরিবার করোনা থেকে মুক্ত থাকতে পারি।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে জনগণকে মাস্ক পরতে বাধ্য করা হবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আমরা ঠিক ‘বাধ্য’ কথাটা বলছি না। আমরা তাদের প্রেষণা ও প্রেরণা দিয়ে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করতে চাই। তাছাড়া মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে কেন? মানুষ নিজের দায়িত্ববোধ থেকে নিজের ও নিজের পরিবারের জন্য মাস্ক পরবে বলে আশা করছি।

শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

ড. বেনজীর আহমেদ জানান, ২১ মার্চ থেকে ‘মাস্ক পরার অভ্যাস, কোভিডমুক্ত বাংলাদেশ’ স্লোগান সামনে রেখে শুরু হবে এ কার্যক্রম। এতে কমিউনিটি পুলিশ ও বিট পুলিশ কাজ করবে। তারা মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করবে, প্রয়োজনে বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ করবে। সংবাদ সম্মেলনে করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে আইজিপি বলেন, গত এক বছরের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে কম আক্রান্ত ছিল। মার্চে আবার ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৬ লাখ মানুষ টিকা নিয়েছেন, তবে এটা প্রথম ডোজ। এক ডোজে করোনা প্রতিরোধ সম্ভব না, দুই ডোজ লাগে। অবহেলা ও অবজ্ঞা করে করোনা থামানো যাবে না।

তিনি বলেন, সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে, প্রয়োজনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। জনসমাগম বা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় গেলে সেখান থেকে বাসায় ফিরে কাপড় খুলে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

বড় রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, ওয়াজসহ সমাগম হয় এমন নানা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয় পুলিশ। করোনার কারণে অনুমতি দেওয়া বন্ধ থাকবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। আমরা অনুমতি দিলেও প্রতিটি অনুষ্ঠানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তবে বেপরোয়াভাবে মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করতে থাকলে করোনা পরিস্থিতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/টিআর

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

বাড়ছে করোনা, সচেতনতায় মাঠে নামছে পুলিশ

আপডেট: ১২:৫১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় তা রোধে মাঠে নামছে পুলিশ। আগামী ২১ মার্চ থেকে জনগণকে মাস্ক পরায় উদ্বুদ্ধ করতে সারাদেশে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি। করোনা সচেতনতা নিয়ে ডাকা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) পুলিশ অডিটরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আইজিপি বলেন, করোনা রোধে মাস্কের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সবার উচিত কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা। যাতে আমরা ও আমাদের পরিবার করোনা থেকে মুক্ত থাকতে পারি।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে জনগণকে মাস্ক পরতে বাধ্য করা হবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আমরা ঠিক ‘বাধ্য’ কথাটা বলছি না। আমরা তাদের প্রেষণা ও প্রেরণা দিয়ে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করতে চাই। তাছাড়া মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে কেন? মানুষ নিজের দায়িত্ববোধ থেকে নিজের ও নিজের পরিবারের জন্য মাস্ক পরবে বলে আশা করছি।

শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

ড. বেনজীর আহমেদ জানান, ২১ মার্চ থেকে ‘মাস্ক পরার অভ্যাস, কোভিডমুক্ত বাংলাদেশ’ স্লোগান সামনে রেখে শুরু হবে এ কার্যক্রম। এতে কমিউনিটি পুলিশ ও বিট পুলিশ কাজ করবে। তারা মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করবে, প্রয়োজনে বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ করবে। সংবাদ সম্মেলনে করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে আইজিপি বলেন, গত এক বছরের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে কম আক্রান্ত ছিল। মার্চে আবার ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৬ লাখ মানুষ টিকা নিয়েছেন, তবে এটা প্রথম ডোজ। এক ডোজে করোনা প্রতিরোধ সম্ভব না, দুই ডোজ লাগে। অবহেলা ও অবজ্ঞা করে করোনা থামানো যাবে না।

তিনি বলেন, সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে, প্রয়োজনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। জনসমাগম বা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় গেলে সেখান থেকে বাসায় ফিরে কাপড় খুলে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

বড় রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, ওয়াজসহ সমাগম হয় এমন নানা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয় পুলিশ। করোনার কারণে অনুমতি দেওয়া বন্ধ থাকবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। আমরা অনুমতি দিলেও প্রতিটি অনুষ্ঠানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তবে বেপরোয়াভাবে মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করতে থাকলে করোনা পরিস্থিতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/টিআর

আরও পড়ুন: