০৯:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

১০০ বিলিয়ন ডলার ক্লাবের ষষ্ঠ সদস্য ওয়ারেন বাফেট

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১
  • / ৪১৫০ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারের আইকন ওয়ারেন বাফেট ৯০ বছর বয়সে এসে দশ হাজার কোটি ডলারের ঘরে পা রাখলেন। অবশ্য বাফেটের আগেই একশ বিলিয়নের এই ক্লাবে যুক্ত হয়েছেন জেফ বেজোস, ইলন মাস্ক এবং বিল গেটস। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্সের সূত্রানুসারে, দ্য বার্কশায়ার হাথাওয়ের চেয়ারম্যান বাফেটের সম্পদের পরিমাণ বেড়ে ১০০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে।

সরকারি প্রণোদনা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নীতি, ঊর্ধ্বমুখী শেয়ার বাজার সবকিছুই এখন বার্কশায়ারের পক্ষে। বুধবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের কোভিড-১৯ ত্রাণ বিল পাশের পর বাফেটের ব্যবসার পালে হাওয়া লাগল বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কয়েক দশক ধরেই বাফেট বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করে আসছেন। তবে, ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রযুক্তি খাতের দ্রুত সমৃদ্ধির কারণে কিছুটা পিছিয়ে পড়েন তিনি।

শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

২০২১ সালের শুরু থেকেই বার্কশায়ারের শেয়ার মূল্য দ্রুত বাড়তে থাকে। এ বছর প্রতিষ্ঠানটির ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার দর ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি বাফেট বাই-ব্যাকের মাধ্যমে নিজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনে নেওয়ায় বাড়তে থাকে শেয়ার মূল্য।

শেয়ার বাইব্যাক

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বার্কশায়ারের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে যুতসই চুক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। বিশেষত, প্রতিষ্ঠানটি বৃহদাকার হওয়ায় বিষয়টি আরও জটিল হয়ে পড়ে। ফলে, গত পাঁচ বছর ধরেই এস অ্যান্ড পি ৫০০ সূচকে বার্কশায়ারের শেয়ার দর ছিল দুর্বল। ২০২০ সালে বাফেট ২৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বাইব্যাক করেন। অর্থাৎ, প্রতিষ্ঠানটি নিজের শেয়ার নিজেই কিনে নেয়। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বাফেট অন্তত ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার কিনেছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের বিশ্লেষক ম্যাথিউ পালাজোলা বলেন, “বাইব্যাকের মাধ্যমে শেয়ার বাজার গরম করেছেন বাফেট। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রতিও স্পষ্ট এক অভ্যর্থনা ছিল।” এছাড়াও বার্কশায়ারের শেয়ার বাজারের অন্যতম শক্তি অ্যাপেল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে, উল্লেখজনক বিষয় হল, দুহাতে দানের পরেও ওমাহার এই বিলিয়নিয়ার শত বিলিয়নের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। গিভিং প্লেজ নামের দাতব্য ক্যাম্পেইনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওয়ারেন বাফেট ২০০৬ সালের পর থেকে ৩৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ দান করেছেন।

এর ফলে বার্কশায়ারের ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ারের প্রায় অর্ধেকই হারিয়েছেন তিনি। অন্যথায়, আজ বাফেটের সম্পদের পরিমাণ হত ১৯২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। বার্কশায়ারের শেয়ার দর রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছানোর ফলে বুধবার ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার অর্থ যুক্ত হয় ওয়ারেন বাফেটের ঝুলিতে। সেই সাথে এস অ্যান্ড পি ৫০০ সূচকের প্রবৃদ্ধির শীর্ষে আছেন বাফেট।

মহামারির সময় ধনী ব্যক্তিদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। কে-শেপ অর্থনীতির পুনরুদ্ধারও বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। একই সাথে বাড়ছে বৈষম্যের হার। এখনও যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ কর্মসংস্থানহীন। তবে শেয়ারের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় এগিয়ে যাচ্ছেন শীর্ষ ধনীরা।

বিজনেসজার্নাল/ঢাক/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

১০০ বিলিয়ন ডলার ক্লাবের ষষ্ঠ সদস্য ওয়ারেন বাফেট

আপডেট: ১১:৪৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১

পুঁজিবাজারের আইকন ওয়ারেন বাফেট ৯০ বছর বয়সে এসে দশ হাজার কোটি ডলারের ঘরে পা রাখলেন। অবশ্য বাফেটের আগেই একশ বিলিয়নের এই ক্লাবে যুক্ত হয়েছেন জেফ বেজোস, ইলন মাস্ক এবং বিল গেটস। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্সের সূত্রানুসারে, দ্য বার্কশায়ার হাথাওয়ের চেয়ারম্যান বাফেটের সম্পদের পরিমাণ বেড়ে ১০০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে।

সরকারি প্রণোদনা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নীতি, ঊর্ধ্বমুখী শেয়ার বাজার সবকিছুই এখন বার্কশায়ারের পক্ষে। বুধবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের কোভিড-১৯ ত্রাণ বিল পাশের পর বাফেটের ব্যবসার পালে হাওয়া লাগল বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কয়েক দশক ধরেই বাফেট বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করে আসছেন। তবে, ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রযুক্তি খাতের দ্রুত সমৃদ্ধির কারণে কিছুটা পিছিয়ে পড়েন তিনি।

শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

২০২১ সালের শুরু থেকেই বার্কশায়ারের শেয়ার মূল্য দ্রুত বাড়তে থাকে। এ বছর প্রতিষ্ঠানটির ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার দর ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি বাফেট বাই-ব্যাকের মাধ্যমে নিজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনে নেওয়ায় বাড়তে থাকে শেয়ার মূল্য।

শেয়ার বাইব্যাক

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বার্কশায়ারের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে যুতসই চুক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। বিশেষত, প্রতিষ্ঠানটি বৃহদাকার হওয়ায় বিষয়টি আরও জটিল হয়ে পড়ে। ফলে, গত পাঁচ বছর ধরেই এস অ্যান্ড পি ৫০০ সূচকে বার্কশায়ারের শেয়ার দর ছিল দুর্বল। ২০২০ সালে বাফেট ২৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বাইব্যাক করেন। অর্থাৎ, প্রতিষ্ঠানটি নিজের শেয়ার নিজেই কিনে নেয়। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বাফেট অন্তত ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার কিনেছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের বিশ্লেষক ম্যাথিউ পালাজোলা বলেন, “বাইব্যাকের মাধ্যমে শেয়ার বাজার গরম করেছেন বাফেট। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রতিও স্পষ্ট এক অভ্যর্থনা ছিল।” এছাড়াও বার্কশায়ারের শেয়ার বাজারের অন্যতম শক্তি অ্যাপেল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে, উল্লেখজনক বিষয় হল, দুহাতে দানের পরেও ওমাহার এই বিলিয়নিয়ার শত বিলিয়নের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। গিভিং প্লেজ নামের দাতব্য ক্যাম্পেইনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওয়ারেন বাফেট ২০০৬ সালের পর থেকে ৩৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ দান করেছেন।

এর ফলে বার্কশায়ারের ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ারের প্রায় অর্ধেকই হারিয়েছেন তিনি। অন্যথায়, আজ বাফেটের সম্পদের পরিমাণ হত ১৯২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। বার্কশায়ারের শেয়ার দর রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছানোর ফলে বুধবার ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার অর্থ যুক্ত হয় ওয়ারেন বাফেটের ঝুলিতে। সেই সাথে এস অ্যান্ড পি ৫০০ সূচকের প্রবৃদ্ধির শীর্ষে আছেন বাফেট।

মহামারির সময় ধনী ব্যক্তিদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। কে-শেপ অর্থনীতির পুনরুদ্ধারও বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। একই সাথে বাড়ছে বৈষম্যের হার। এখনও যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ কর্মসংস্থানহীন। তবে শেয়ারের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় এগিয়ে যাচ্ছেন শীর্ষ ধনীরা।

বিজনেসজার্নাল/ঢাক/এনইউ

আরও পড়ুন: