০৬:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম, সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বললো প্রতিমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৪৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
  • / ৪১৭৯ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই বার্তা দেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিমন্ত্রী বলে, আগামী দিনগুলোতে যে চ্যালেঞ্জ আসছে, তা মোকাবিলার জন্য যে পরিমাণ ধৈর্য দরকার, তা সবার কাছে আশা করছি। বিদ্যুতের দাম বাড়বে কি না সেটা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বলতে পারবে। প্রস্তাব গেছে, সেটা বিইআরসির সিদ্ধান্ত। সবাই যেন প্রস্তুত থাকে, হয় শকড আসবে, না হয় আসবে না। তবে আমরা চাচ্ছি যতোটুকু সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায়।

নসরুল হামিদ বলে, এখন প্রত্যাশা বাড়ছে, দিনে দিনে আরও বাড়বে। আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। বিশ্বব্যাপী তেল ও এলএনজি গ্যাসের দামের ঊর্ধ্বগতিসহ জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে সেটাকে মাথায় নিয়ে এগোনো আমাদের জন্য একটি চিন্তার বিষয়। আমরা সবকিছু মাথায় রেখেছি। আশা করছি, সামলাতে পারবো।

তিনি বলে, রাষ্ট্র বা সরকার বিদ্যুতে কতোটুকু বিনিয়োগ করবে এই জায়গাটা স্থিতিশীল রাখার জন্য। এটার একটা শকড প্রাইস আছে, সরকার কতোটুকু নিতে পারবে। এটা সরকারে অর্থ বিভাগ বুঝবে। আমাদের তো একটা প্রস্তাবনা আছে। তারা (অর্থ বিভাগ) যদি বলে সব শকড নেবে, তাহলে তো এখানে কোনো প্রশ্ন আসে না। যদি বলে না ফিফটি ফিফটি আমি শকডটা দেব (অর্ধেক ভর্তুতি দেব), তাহলে আরেক রকম প্রশ্ন আসবে। এটা নির্ভর করে ফাইন্যান্সের ওপর।

তিনি আরও বলে, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে আমরা আগামী বছরের জানুয়ারি নাগাদ একটা ভালো জায়গায় যেতে পারবো। ৭০০ নদীর দেশ বাংলাদেশের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আগামীতে বিদ্যুতের ব্যবহারের ব্যাপারে যেহেতু বিশ্বব্যাপী একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাই সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা উচিত।’

রমজান মাসে তারাবিহ নামাজের সময় মসজিদের এসিগুলো অতিরিক্ত দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি করে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলে, ‘আমাদের এই বিষয়টি চিন্তা করতে হবে। যাতে আমরা ওই সময়টা কম ব্যবহার করে সাশ্রয়ী করতে পারি।’

বিদ্যুৎ বিভাগ স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় নসরুল হামিদ বলে, আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত করেছি। এটার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র। শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান এবং মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগ স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে। এটা আমাদের জন্য বিশাল পাওয়া। প্রতিটি বিদ্যুৎকর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। জ্বালানি বিভাগও এই কৃতিত্বের অংশীদার।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম, সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বললো প্রতিমন্ত্রী

আপডেট: ০৭:৪৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই বার্তা দেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিমন্ত্রী বলে, আগামী দিনগুলোতে যে চ্যালেঞ্জ আসছে, তা মোকাবিলার জন্য যে পরিমাণ ধৈর্য দরকার, তা সবার কাছে আশা করছি। বিদ্যুতের দাম বাড়বে কি না সেটা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বলতে পারবে। প্রস্তাব গেছে, সেটা বিইআরসির সিদ্ধান্ত। সবাই যেন প্রস্তুত থাকে, হয় শকড আসবে, না হয় আসবে না। তবে আমরা চাচ্ছি যতোটুকু সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায়।

নসরুল হামিদ বলে, এখন প্রত্যাশা বাড়ছে, দিনে দিনে আরও বাড়বে। আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। বিশ্বব্যাপী তেল ও এলএনজি গ্যাসের দামের ঊর্ধ্বগতিসহ জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে সেটাকে মাথায় নিয়ে এগোনো আমাদের জন্য একটি চিন্তার বিষয়। আমরা সবকিছু মাথায় রেখেছি। আশা করছি, সামলাতে পারবো।

তিনি বলে, রাষ্ট্র বা সরকার বিদ্যুতে কতোটুকু বিনিয়োগ করবে এই জায়গাটা স্থিতিশীল রাখার জন্য। এটার একটা শকড প্রাইস আছে, সরকার কতোটুকু নিতে পারবে। এটা সরকারে অর্থ বিভাগ বুঝবে। আমাদের তো একটা প্রস্তাবনা আছে। তারা (অর্থ বিভাগ) যদি বলে সব শকড নেবে, তাহলে তো এখানে কোনো প্রশ্ন আসে না। যদি বলে না ফিফটি ফিফটি আমি শকডটা দেব (অর্ধেক ভর্তুতি দেব), তাহলে আরেক রকম প্রশ্ন আসবে। এটা নির্ভর করে ফাইন্যান্সের ওপর।

তিনি আরও বলে, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে আমরা আগামী বছরের জানুয়ারি নাগাদ একটা ভালো জায়গায় যেতে পারবো। ৭০০ নদীর দেশ বাংলাদেশের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আগামীতে বিদ্যুতের ব্যবহারের ব্যাপারে যেহেতু বিশ্বব্যাপী একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাই সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা উচিত।’

রমজান মাসে তারাবিহ নামাজের সময় মসজিদের এসিগুলো অতিরিক্ত দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি করে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলে, ‘আমাদের এই বিষয়টি চিন্তা করতে হবে। যাতে আমরা ওই সময়টা কম ব্যবহার করে সাশ্রয়ী করতে পারি।’

বিদ্যুৎ বিভাগ স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় নসরুল হামিদ বলে, আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত করেছি। এটার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র। শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান এবং মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগ স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে। এটা আমাদের জন্য বিশাল পাওয়া। প্রতিটি বিদ্যুৎকর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। জ্বালানি বিভাগও এই কৃতিত্বের অংশীদার।

ঢাকা/এসএ