০৩:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

মন্দা পরিস্থিতিতেও বাড়ছে কোটিপতি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
  • / ৪২০৪ বার দেখা হয়েছে

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও দেশের ঊর্ধ্বমূখী মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতিতেও ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোটিপতি ব্যাংক হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ৭ হাজার ৯৭০টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট আমানত ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬৪টি। এসব হিসাবে মোট জমার পরিমাণ ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ১০ কোটি টাকা। এরমধ্যে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি হিসাবে। শুধু কোটি টাকার ওপরে এসব হিসাবে জমার পরিমাণ ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

সংশ্লিষ্টদের মতে, সংকটকালীন সময়ে একটা শ্রেণী ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অন্য একটা শ্রেণী এ সুযোগে প্রচুর মুনাফা করে। আমাদের দেশে যে আয় বৈষম্য রয়েছে তা কোটিপতি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তবে এর মাধ্যমে প্রকৃত কোটিপতির পরিমাণ নির্ণয় করা যাবে না, কারণ অনেকে টাকা পাচার করে বিদেশের ব্যাংকে জমা রাখে। এছাড়া ক্যাশ টাকা ব্যাংকে না রেখে বিভিন্ন খাতে যারা ইনভেস্ট করছে, তাদের সম্পদের পরিমাণটাও এখানে আসছে না।

এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৮ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৪টি। এসব হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ১২ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। আর কোটি টাকার ওপরে এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টি হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার বেশি আমানতের হিসাব ছিল ৯৩ হাজার ৮৯০টি। হিসাবগুলোতে জমার পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৯৫ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: আট মাসে রাজস্ব ঘাটতি ২৩ হাজার কোটি টাকা

অন্যদিকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকার আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ১৬৭টি। যেখানে জমার পরিমাণ এক লাখ ৮০ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। পাঁচ কোটি থেকে ১০ কোটির ১১ হাজার ৯৪৫টি হিসাবে জমার পরিমাণ ৮৪ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

এছাড়া ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা রয়েছে তিন হাজার ৮৪৫টি, ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটির মধ্যে ১৮৩৩টি, ২০ কোটি থেকে ২৫ কোটির মধ্যে এক হাজার ১৪৩টি, ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৮৮৭টি আমানতকারীর হিসাব।

আর ৩০ কোটি থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৪৭২টি এবং ৩৫ কোটি থেকে ৪০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৩১৫টি, ৪০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা ৫৭৭টি। তাছাড়া ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা হিসাবের সংখ্যা এক হাজার ৭৬২টি। এসব হিসাবে দুই লাখ ২৯ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা জমা রয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

মন্দা পরিস্থিতিতেও বাড়ছে কোটিপতি

আপডেট: ১১:০২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও দেশের ঊর্ধ্বমূখী মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতিতেও ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোটিপতি ব্যাংক হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ৭ হাজার ৯৭০টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট আমানত ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬৪টি। এসব হিসাবে মোট জমার পরিমাণ ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ১০ কোটি টাকা। এরমধ্যে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি হিসাবে। শুধু কোটি টাকার ওপরে এসব হিসাবে জমার পরিমাণ ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

সংশ্লিষ্টদের মতে, সংকটকালীন সময়ে একটা শ্রেণী ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অন্য একটা শ্রেণী এ সুযোগে প্রচুর মুনাফা করে। আমাদের দেশে যে আয় বৈষম্য রয়েছে তা কোটিপতি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তবে এর মাধ্যমে প্রকৃত কোটিপতির পরিমাণ নির্ণয় করা যাবে না, কারণ অনেকে টাকা পাচার করে বিদেশের ব্যাংকে জমা রাখে। এছাড়া ক্যাশ টাকা ব্যাংকে না রেখে বিভিন্ন খাতে যারা ইনভেস্ট করছে, তাদের সম্পদের পরিমাণটাও এখানে আসছে না।

এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৮ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৪টি। এসব হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ১২ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। আর কোটি টাকার ওপরে এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টি হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার বেশি আমানতের হিসাব ছিল ৯৩ হাজার ৮৯০টি। হিসাবগুলোতে জমার পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৯৫ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: আট মাসে রাজস্ব ঘাটতি ২৩ হাজার কোটি টাকা

অন্যদিকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকার আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ১৬৭টি। যেখানে জমার পরিমাণ এক লাখ ৮০ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। পাঁচ কোটি থেকে ১০ কোটির ১১ হাজার ৯৪৫টি হিসাবে জমার পরিমাণ ৮৪ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

এছাড়া ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা রয়েছে তিন হাজার ৮৪৫টি, ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটির মধ্যে ১৮৩৩টি, ২০ কোটি থেকে ২৫ কোটির মধ্যে এক হাজার ১৪৩টি, ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৮৮৭টি আমানতকারীর হিসাব।

আর ৩০ কোটি থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৪৭২টি এবং ৩৫ কোটি থেকে ৪০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৩১৫টি, ৪০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা ৫৭৭টি। তাছাড়া ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা হিসাবের সংখ্যা এক হাজার ৭৬২টি। এসব হিসাবে দুই লাখ ২৯ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা জমা রয়েছে।

ঢাকা/এসএ