১১:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মূর্তি ভাঙচুর একটি সুগভীর ষড়যন্ত্র: নানক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:১৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১
  • / ৪১২৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কুমিল্লা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের কয়েকটি এলাকায় হিন্দু সমাজের ওপর হামলা ও মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। এটি ধর্মীয় উগ্রবাদী ও মৌলবাদীদের একটি সুগভীর ষড়যন্ত্র। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্যায় করে কেউ পার পাবে না। সম্প্রতি কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা, মন্দিরে হামলায় জড়িত আসামিদের ইউপি নির্বাচনের বিষয়ে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ৯/এ নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা কথা বলেন।

এছাড়া দেশে যে সব জেলা-উপজেলার নেতারা বিতর্কিত প্রার্থীদের পরিচয় গোপন করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডে লিস্ট পাঠিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। নানক বলেন, বাংলাদেশ শান্তি এবং সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন ধরেই বিএনপি-জামায়াত তর্জন-গর্জন দিচ্ছে। তারা ঢাকা দখল এবং আন্দোলনের হুমকির কথা বলেছিল। অর্থাৎ দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য তাদের যে অভিপ্রায় ছিল, সেই অভিপ্রায় থেকে তারা বাঙালির একটি ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে ব্যবহার করেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দিরে হামলায় অভিযুক্ত দুই আসামি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর তা বাতিল প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এটি অবশ্যই শঙ্কার বিষয়। তবে সুস্পষ্ট কথা হলো আমাদের মনোনয়নের ব্যাপারে কতগুলো স্তর পার করে চূড়ান্তভাবে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের কাছে আসে।

নানক বলেন- কাজেই এদের যারা চিহ্নিত করে নাই অথবা এদের পরিচয় যারা গোপন রেখেছে, যে স্তরে বা সংগঠনের যে পর্যায়ে এটি গোপন করেছে এদের বিরুদ্ধে, সংগঠনের সেই স্তরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা সংবাদে এটাই প্রমাণ করে এরা ঢুকে পড়েছে। শুধু ঢুকেই পড়ে নাই, এরা বিভিন্ন নেতাদের কাঁধে সওয়ার হয়েছে। কাজেই যে নেতার কাঁধে সওয়ার হয়েছে সে নেতার বিরুদ্ধে কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে আর কখনো কেউ এমন অপকর্ম না করেন।

ঢাকা/এমটি 

শেয়ার করুন

x
English Version

মূর্তি ভাঙচুর একটি সুগভীর ষড়যন্ত্র: নানক

আপডেট: ১২:১৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কুমিল্লা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের কয়েকটি এলাকায় হিন্দু সমাজের ওপর হামলা ও মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। এটি ধর্মীয় উগ্রবাদী ও মৌলবাদীদের একটি সুগভীর ষড়যন্ত্র। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্যায় করে কেউ পার পাবে না। সম্প্রতি কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা, মন্দিরে হামলায় জড়িত আসামিদের ইউপি নির্বাচনের বিষয়ে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ৯/এ নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা কথা বলেন।

এছাড়া দেশে যে সব জেলা-উপজেলার নেতারা বিতর্কিত প্রার্থীদের পরিচয় গোপন করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডে লিস্ট পাঠিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। নানক বলেন, বাংলাদেশ শান্তি এবং সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন ধরেই বিএনপি-জামায়াত তর্জন-গর্জন দিচ্ছে। তারা ঢাকা দখল এবং আন্দোলনের হুমকির কথা বলেছিল। অর্থাৎ দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য তাদের যে অভিপ্রায় ছিল, সেই অভিপ্রায় থেকে তারা বাঙালির একটি ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে ব্যবহার করেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দিরে হামলায় অভিযুক্ত দুই আসামি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর তা বাতিল প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এটি অবশ্যই শঙ্কার বিষয়। তবে সুস্পষ্ট কথা হলো আমাদের মনোনয়নের ব্যাপারে কতগুলো স্তর পার করে চূড়ান্তভাবে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের কাছে আসে।

নানক বলেন- কাজেই এদের যারা চিহ্নিত করে নাই অথবা এদের পরিচয় যারা গোপন রেখেছে, যে স্তরে বা সংগঠনের যে পর্যায়ে এটি গোপন করেছে এদের বিরুদ্ধে, সংগঠনের সেই স্তরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা সংবাদে এটাই প্রমাণ করে এরা ঢুকে পড়েছে। শুধু ঢুকেই পড়ে নাই, এরা বিভিন্ন নেতাদের কাঁধে সওয়ার হয়েছে। কাজেই যে নেতার কাঁধে সওয়ার হয়েছে সে নেতার বিরুদ্ধে কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে আর কখনো কেউ এমন অপকর্ম না করেন।

ঢাকা/এমটি