০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

শেয়ার ধারণের শর্তপূরণ করেনি ৪১ কোম্পানি, ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:৪৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ৪২৯৯ বার দেখা হয়েছে

কয়েক দফা সময় দেয়ার পরও নূন্যতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেনি ব্যাংক, বীমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪১টি কোম্পানি। দ্রুত এই কোম্পানিগুলোর বিরেুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

গত ২৯ জুলাই কোম্পানিগুলোকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে বলা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই কোম্পানিগুলো উদ্যোক্তা-পরিচালকের শেয়ার ধারণের শর্তপূরণ করেনি।

আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি অর্থসূচককে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান।

তিনি বলেন, নিয়ম অনুসারে কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। আশা করছি নির্ধারিত সময়েই কোম্পানিগুলো শর্তপূরণ করবে। যদি কোন কোম্পানি শর্তপূরণ না করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দফা সময় দেওয়ার পর কোম্পানিগুলোর সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার হোল্ডিং নেই। কোম্পানিগুলোকে তলব করা হয়েছে। নতুন করে সময়ও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও ৪১টি কোম্পানি তাদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণ করতে পারেনি।

কোম্পানিগুলো হচ্ছে- সাউথইস্ট ব্যাংক লিমেটেড, ইনটেক লিমিটেড, এক্টিভ ফাইন, আফতাব অটো, অগ্নি সিস্টেম, আলহাজ টেক্সটাইল, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, বারাকা পাওয়ার, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স, সেন্ট্রাল ফার্মা, সিটি ব্যাংক, ডেল্টা স্পিনার্স, এমারেল্ড ওয়েল, ফেমিলি টেক্স, ফাস ফাইন্যান্স, ফাইন ফুড, ফুওয়াং সিরামিক, ফুওয়াং ফুড, জেনারেশন নেক্সট, ইমাম বাটন, বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, ম্যাকসনস স্পিনিং, মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স, মেট্টো স্পিনিং, মিথুন নিটিং, নর্দান জুট, অলেম্পিক অ্যাকসেসরিজ, অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিপলস ইন্সুরেন্স, ফার্মা এইড, পিপলস লিজিং, সালভো কেমিক্যাল, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এবং অ্যাপোলো ইস্পাত ও সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রত্যেক পরিচালককে ন্যূনতম ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা দেয় সদ্য বিদায়ী অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিএসইসি।

সংস্থাটির আইনের ‘২সিসি’ ধারার ক্ষমতাবলে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের এই নির্দেশনা জারি করা হয়। তবে শুরুতে এই নির্দেশনাটি নিয়ে কয়েকটি কোম্পানির পরিচালক হাইকোর্টে রিট করেন। তবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে বিএসইসির নির্দেশনাটির পক্ষে রায় দেন হাইকোর্ট।

শেয়ার করুন

x
English Version

শেয়ার ধারণের শর্তপূরণ করেনি ৪১ কোম্পানি, ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি

আপডেট: ০৯:৪৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

কয়েক দফা সময় দেয়ার পরও নূন্যতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেনি ব্যাংক, বীমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪১টি কোম্পানি। দ্রুত এই কোম্পানিগুলোর বিরেুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

গত ২৯ জুলাই কোম্পানিগুলোকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে বলা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই কোম্পানিগুলো উদ্যোক্তা-পরিচালকের শেয়ার ধারণের শর্তপূরণ করেনি।

আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি অর্থসূচককে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান।

তিনি বলেন, নিয়ম অনুসারে কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। আশা করছি নির্ধারিত সময়েই কোম্পানিগুলো শর্তপূরণ করবে। যদি কোন কোম্পানি শর্তপূরণ না করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দফা সময় দেওয়ার পর কোম্পানিগুলোর সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার হোল্ডিং নেই। কোম্পানিগুলোকে তলব করা হয়েছে। নতুন করে সময়ও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও ৪১টি কোম্পানি তাদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণ করতে পারেনি।

কোম্পানিগুলো হচ্ছে- সাউথইস্ট ব্যাংক লিমেটেড, ইনটেক লিমিটেড, এক্টিভ ফাইন, আফতাব অটো, অগ্নি সিস্টেম, আলহাজ টেক্সটাইল, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, বারাকা পাওয়ার, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স, সেন্ট্রাল ফার্মা, সিটি ব্যাংক, ডেল্টা স্পিনার্স, এমারেল্ড ওয়েল, ফেমিলি টেক্স, ফাস ফাইন্যান্স, ফাইন ফুড, ফুওয়াং সিরামিক, ফুওয়াং ফুড, জেনারেশন নেক্সট, ইমাম বাটন, বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, ম্যাকসনস স্পিনিং, মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স, মেট্টো স্পিনিং, মিথুন নিটিং, নর্দান জুট, অলেম্পিক অ্যাকসেসরিজ, অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিপলস ইন্সুরেন্স, ফার্মা এইড, পিপলস লিজিং, সালভো কেমিক্যাল, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এবং অ্যাপোলো ইস্পাত ও সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রত্যেক পরিচালককে ন্যূনতম ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা দেয় সদ্য বিদায়ী অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিএসইসি।

সংস্থাটির আইনের ‘২সিসি’ ধারার ক্ষমতাবলে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের এই নির্দেশনা জারি করা হয়। তবে শুরুতে এই নির্দেশনাটি নিয়ে কয়েকটি কোম্পানির পরিচালক হাইকোর্টে রিট করেন। তবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে বিএসইসির নির্দেশনাটির পক্ষে রায় দেন হাইকোর্ট।