০১:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:৪৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪১৩০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে পৃথক শোকবার্তায় এ শোক প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে মরহুমের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর আগে, রোববার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু জানান, এখনো জানাজা এবং দাফনের সময় চূড়ান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে সময় নির্ধারণ করা হবে। রাতে মরদেহ সিএমএইচে থাকবে। কাল (সোমবার) সংসদ প্লাজায় জানাজা শেষে নিজ বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা নেওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে ফের ঢাকায় এনে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

সাজেদা চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ মে, তার বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। সাজেদা তরুণ বয়সেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৬৯ সালে তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন সাজেদা চৌধুরী, তখন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৫ সালে তিনি বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। একই সময়ে বাংলাদেশ গার্লস গাইডের ন্যাশনাল কমিশনারও ছিলেন তিনি।

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাজেদা। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে দেশে ফেরার পর তার সঙ্গেও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর ১৯৯২ সাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীতে ছিলেন। ফরিদপুর-২ আসন থেকে তিনি অনেকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭৩ সালে দেশের প্রথম সংসদেও তিনি নির্বাচিত হন। এরপর বারবার তিনি ওই আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে টানা সংসদ উপনেতার পদে ছিলেন তিনি।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাজেদা। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও শেখ হাসিনা তাকে দিয়েছিলেন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনে গঠিত সংসদীয় বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১০ সালে সাজেদা চৌধুরী স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।

আরও পড়ুন: রানির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

আপডেট: ০৯:৪৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে পৃথক শোকবার্তায় এ শোক প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে মরহুমের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর আগে, রোববার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু জানান, এখনো জানাজা এবং দাফনের সময় চূড়ান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে সময় নির্ধারণ করা হবে। রাতে মরদেহ সিএমএইচে থাকবে। কাল (সোমবার) সংসদ প্লাজায় জানাজা শেষে নিজ বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা নেওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে ফের ঢাকায় এনে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

সাজেদা চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ মে, তার বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। সাজেদা তরুণ বয়সেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৬৯ সালে তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন সাজেদা চৌধুরী, তখন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৫ সালে তিনি বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। একই সময়ে বাংলাদেশ গার্লস গাইডের ন্যাশনাল কমিশনারও ছিলেন তিনি।

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাজেদা। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে দেশে ফেরার পর তার সঙ্গেও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর ১৯৯২ সাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীতে ছিলেন। ফরিদপুর-২ আসন থেকে তিনি অনেকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭৩ সালে দেশের প্রথম সংসদেও তিনি নির্বাচিত হন। এরপর বারবার তিনি ওই আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে টানা সংসদ উপনেতার পদে ছিলেন তিনি।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাজেদা। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও শেখ হাসিনা তাকে দিয়েছিলেন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনে গঠিত সংসদীয় বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১০ সালে সাজেদা চৌধুরী স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।

আরও পড়ুন: রানির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা/টিএ